পাতা:শ্রীসনাতন গোস্বামী.djvu/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* তৃতীয় অধ্যায়—প্রভুর সন্ন্যাস উপবিষ্ট । প্রভুপাদ নিত্যানন্দ, বক্রেশ্বর, চন্দ্রশেখর, মুকুন ও দামোদর, প্রভুকে বেষ্টন করিয়া উপবিষ্ট । চারিদিকে লোক জমিয়া গিয়াছে। প্রভুর আজানুলম্বিত সুবর্ণদণ্ডস্বরূপ বাছ মধে। চন্দ্ৰবদন লুক্কায়িত ছিল । সহসা তিনি চন্দ্রকে সুবর্ণদণ্ডের আবরণ হইতে মুক্ত করিয়া বলিলেন, “গোসাই, আমাকে সন্ন্যাস দেও, আমার উপায় কর ।” ভারতী । আমার দ্বারা তা হবে না । ভূ । সন্ন্যাস দিতে তুমি যে প্রতিশ্রুত আছ গোসাই । ভারতী ! দেব বলেছি, তা’ এক সময়ে দেব। সন্ন্যাসের ত একটা সময় আছে, না কচি কচি বাচ্ছ ধরে সন্ন্যাসী করতে হবে ? সমবেত জনমণ্ডলী ধন্য ধন্ত করিয়া উঠিল । কাহার ও ইচ্ছা নয় প্রভু সন্ন্যাস গ্রহণ করেন । এই কিশোর বয়স, এই রূপ ! যে পুত্তলি অতিপতাপে শুকাইয়া যায়, পবনসঞ্চালনে যাহার দেহ বিবর্ণ হয়, সন্ন্যাস তাহার জন্য নয়। যখন জনতা শুনিল যে, প্রভুর গৃহে বৃদ্ধ মাতা, তরুণী ভাৰ্য্যা, তখন তাহার করুণাহিদয়ে বলিল, “ঘরে ঘিরে যাও বাছা।” রমণীগণ একদিকে দাড়াইয়া ছিলেন ; তাহারা নয়নে বস্ত্রাঞ্চল দিয়া বলিতে লাগিলেন, “কার ঘর অন্ধকার করে এসেছ দুলাল ?” কিন্তু যখন সকলে শুনিল যে, ইনিই নবদ্বীপের অবতার, তখন অনেকে যুক্ত করে বলিয়া উঠিল, “এ আবার তোমার কি লীলা, লীলাময় ?” ዋ ቅ