পাতা:শ্রীসনাতন গোস্বামী.djvu/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায়—প্রভুর সন্ন্যাস তখন ভক্তদের বুকের উপর পাহাড় ভাঙ্গিয়া পড়িল ; আর জনসমুহ চঞ্চল ও বিক্ষুব্ধ হইয়া উঠিল । একজন কৃষ্ণকায় বলবান ব্যক্তি অগ্রসর হইয়া বলিল, “সাবধাণ সন্ন্যাসী ঠাকুর, এ দুধের বাচ্ছাকে কিছুতেই আমরা সন্ন্যাস নিতে দেব না । ভাল চাও ত সরে পড়, নইলে আমরাই তোমাকে—বুঝেছ ত ?” এক জন পণ্ডিত অগ্রসর হইয়া ভারতীকে বলিলেন, “এরূপ অশাস্ত্রীয় ব্যাপার কিছুতেই আমরা ঘটতে দেব না। আগে তর্কে আমাকে পরাস্ত করুন, তা’র পর ষা হয় করবেন।” একটা প্রাচীন স্ত্রীলোক অগ্রসর হইয়া ভারতীর চরণসমীপে পড়িল এবং যুক্তকরে অশ্রুপূর্ণনয়নে কহিল, “ঠাকুর, এমন নিষ্ঠুর কাজ করো না ।” কাহাকেও ভারতী লক্ষ্য না করিয়া প্রভুকে বলিলেন, “দেখ / নিমাই, আমি জানি তুমি কে । তোমার বাসনা রোধ করতে পারি এমন সাধ্য আমার নাই । আমি তোমার কিঙ্কর মাত্র, যা’ করাবে তাই করব। কিন্তু তুমি আমাকে প্রণাম করে অপরাধী করে না । আর দেখো ইচ্ছাময়, তোমার আজ্ঞা পালন করতে গিয়ে আমার যেন পরকাল নষ্ট না হয়। প্রভু। এ রকম কথা বলে আমায় অপরাধী করবেন না । আমি যাহাতে আমার প্রাণেশ্বর কৃষ্ণকে পাই, আপনি তা’র উপায় করুন—আমি বড় দুঃখী। কৃষ্ণ আপনার মঙ্গল করবেন। يده لابي