পাতা:শ্রীসনাতন গোস্বামী.djvu/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীসনাতন গোস্বামী চমকিত হইয়া প্রভূর দিকে ধাবিত হইল এবং নানা উপায়ে । তাহাকে নিবৃত্ত করিতে প্রয়াস পাইল । যখন পুরুষের অকৃতকাৰ্য্য হইল, তখন রমণীর দল অগ্রসর হইলেন । পুরুষের ক্রমে ক্রমে পশ্চাতে হটিলেন । একটি শীর্ণকায় প্রখরা রমণী বলিলেন “বাপু, তুমি বললেই ত আর সন্ন্যাসী হওয়া হ’ল না ; সেদিনকার এক ফোটা ছেলে যা বায়না ধরবেন তাই হ’বে ! ওরে বাপ রে ! যেন ওঁর ইচ্ছেতেই সব হবে! আমরা কিছুতেই তোমাকে সন্ন্যাসী হ’তে দিব না।” কোনও শিরোমণির বিদূষী বর্ষীয়সী ঘরণী তাহার স্বামীকে ঠেলিয়া অগ্রবর্তিনী হইয়া কহিলেন, “কি শিক্ষা দিতে তুমি জগতে এসেছ বাবা ? জীবে দয়া ? বিধবা মা, লালিকা স্ত্রীকে মেরে, কি তার পরিচয় দিচ্ছ ? ধৰ্ম্ম ধৰ্ম্ম করে চীৎকার করতে কি তোমার লজ্জাবোধ হচ্ছে না ?” প্রভূ । ধৰ্ম্ম টন্ম কিছুই চাই না মা-চাই আমার কৃষ্ণকে, আমার হৃদয়বল্লভকে । রমণী । অর্থাৎ তুমি নিজের মুখ খোজ , আত্মীয় স্বজনের, তোমার ভক্তদের সুখ দেখ না । এই যে হাজার হাজার লোক চীৎকার করছে, ‘প্রভু নিরস্ত হও—আমাদের ত্যাগ করে না’, সে চীৎকার কি তোমার প্রাণে লাগছে না ? লক্ষ লক্ষ লোক কাদিয়ে, জননী ও ঘরের লক্ষ্মীকে কাদিয়ে, তুমি তোমার নিজের brR