পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩২ সংবাদ পত্রে সেকালের কথা ( ১২ ফেব্রুয়ারি ১৮২০ । ১ ফাল্গুন ১২২৬ ) বিবাহ –গত শুক্রবার ৩০ মাঘ ১১ ফেব্রুয়ারি তারিখে শ্ৰীযুত বাণ রামরত্ব মল্লিক আপন পুত্রের বিবাহ যেরূপ দিয়াছেন এমন বিবাহ শহর কলিকাতায় কেহু কখনও দেন নাই। এই বিবাহে যে২ রূপ সমারোহ হইয়াছে ইহাতে অনুমান হয় যে সাত আট লক্ষ টাকার ব্যয় ব্যতিরেকে এমত মহাঘট হইতে পারে না। ইহার বিশেষ বিবরণ পরে ছাপান যাইবেক । সন ১৮১২ সালে মোং দিল্লীতে এই প্রকার শ্ৰীশ্ৰীযুত মহারাজ মহলাররাও হোলকারের বকসী ভবানীঙ্কররাও নামে এক জন মহারাষ্ট্রের বিবাহ হইয়াছিল তাহতে এগার লক্ষ টাকা খরচ হইয়াছিল সে বিবাহের অধ্যক্ষ প্রধান২ ইংগ্রণ্ডীয় সাহেবেরা ছিলেন । এই বিবাহও তাহাহইতে নূ্যন বড় নহে যেহেতুক সকল লোকেই এ বিবাহের প্রশংসা করিতেছে ও কহিতেছে যে এমন বিবাহ আমরা দেখি নাই । ( ১০ নভেম্বর ১৮২১ । ২৬ কান্তিক ১২২৮) আশ্চৰ্য্য বিবাহ ॥—মোকাম বৰ্দ্ধমানের নিকট এক গ্রামে এক ব্রাহ্মণ আপন কস্তার বিবাহ দিতে এই পণ, করিল যে যে ব্যক্তি চারি শত টাকা পণ দিয়া আর২ খরচ করতে পরিবেক তাহার সহিড এই কন্যার বিবাহ দিব ইহাতে যে অপারক হইবেক তাহার সহিত কপী কহিব না এই পণে কতক দিন গত হইলে কন্যা প্রায় ষোড়শবধ বয়স্ক হইল কিন্তু তিনি তাহাতে পরপর পণের বাহুল্য বাতিরেকে নূন করিতে স্বীকার করেন না স্বতরাং কারও বিবাহ হয় না। পরে তাহার গ্রামের তিন চারি ক্রোশ আন্তরবর্তি এক সান্ন চাকুরিয়া ব্রাহ্মণের স্থা বিয়োগ হইলে সে ব্যক্তি ঘটক আনাইয়া কহিল যে আমি বিবাহ করিব উপযুক্ত কন্যা একটি অন্বেষণ করিমু! শীঘ্র আমার বিবাহ দেও টাকা দিতে আমি কাতর নষ্ট । পরে ঘটক কহিলেন যদি চারি শত টাকা দিতে পার তবে অমুক গ্রামে অমুকের কন্যার সহিত বিবাহ হইতে পারে আর সে কঙ্কা ও উপযুক্ত ঘটে। তাহাতে ঐ ব্রাহ্মণ ও ঘটক উভয়েই পরদিন গ্রাতঃকালে সেই ব্রাহ্মণের বাটীতে গিয়া উপস্থিত হইল । এবং বিবাহের বিষয় পণাপণ স্থির হইয়া কন্যাকৰ্ত্তা কহিলেন আমি বর দেখিব তাহাতে পাত্ৰ কহিল যে আমি বর এই দেখ। বর দেখিয়া তিনি তুষ্ট হটলে বর কছিলেন তোমার কন্য। কোথায় আমিও কন্য। দেখিব। পরে ব্রাহ্মণ কন্যা দেখাইলে ঐ কন্যা ও বর উভয় সন্দর্শনে সুতরাং উভয়ের মনোমিলন হইল। পরে কন্যাকৰ্ত্ত কহিলেন তোমরা অদ্য থাকহ রাত্রিতে আত্মীয় লোক ডাকাইয়া পত্রাদি করিব। ইহা কহিয়া তিনি কৰ্ম্মাস্তরে গেলেন। বরপাত্র স্বানার্থ তাহার বাটার খিড়কির পুষ্করিণীতে গেলেন। ইহা দেখিয়া কন্যাও ঐ ঘাটে গিয়া বরকে কহিল যে তুমি ওখাটে চল আমি তোমাকে কিছু কথা কহিব তাহাতে সে ব্যক্তি ঐ বাক্যে অমৃতাভিষিক্ত হইয় সেই ঘাটে গেল। এবং কন্যাও স্বানের চ্ছলে সেখানে গিয়া তাহাকে কহিল যে আমি কন্য। কিন্তু নিলজ হইয়া কহিতে হইল ইহাতে