পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S88 মংবাদ পত্রে মেকালের কথা হইল দেখিয়া আপন মৃত স্বামির শরীর ঐ প্রজলিত কুণ্ডে নিক্ষেপ করিল। অনন্তর ঐ স্ত্রী গঙ্গাস্নান করিয়া ও স্বৰ্য্যার্ঘ্য দিয়া এক ইড়িী স্থত কক্ষদেশে করিয়া ঐ অগ্নিকুণ্ডে ঝণ দিয়া পড়িল এবং তৎক্ষণাৎ ভস্মসাৎ হইল তাহার আত্মীয় লোকেরা হরিধ্বনি করিতে লাগিল । এতাদৃশ সহমরণ ব্যবহার এতদ্দেশে নাই তৎপ্রযুক্ত বিশেষ করিয়া লিখা গেল। ( ৭ জুলাই ১৮২১ । ২৫ আষাঢ় ১২২৮) সহমরণ ॥—দুই সপ্তাহ হইল জিলা বৰ্দ্ধমানের পূর্বস্থলী গ্রামের হামশঙ্কর ভট্টাচাৰ্য্য অনুমান পঞ্চাশ বৎসর বয়স্ক হইয়া পরলোক প্রাপ্ত হইয়াছেন তাহার স্ত্রী চল্লিশ বৎসর বয়স্ক র্তাহার সহিত মোকাম গোপীপুরের গঙ্গার তীরে চিতারোহণ করিয়া আত্ম শরীর পরিত্যাগ করিয়াছে। র্তাহারদের দুই পুত্র ও দুই কন্যা বর্তমান আছে। ( ১৮ আগষ্ট ১৮২১ । ৪ ভাদ্র ১২২৮ ) সহমরণ ॥–এই সহমরণবিবরণ এক সাহেবের পত্র প্রমাণে মোং কলিকাতার ইংরেজী সমাচারপত্রে ছাপা হইয়াছে তদুষ্টে আমরাও ছাপা করিতেছি কিন্তু কোন মোকামে ও কোন লোকের মধ্যে তাহা লিখিত নাই। কোন স্থানে এক ব্যক্তির মৃত্যু হইলে পর তাহার ত্রিশ বৎসরবয়স্ক স্ত্রী সহগমন করণার্থে আজ্ঞাপেক্ষা করিম তথাকার জজ সাহেবের নিকটে আসিয়ছিল পরে বৈকাল বেলাতে শযুত জজ সাহেব ও যে সাহেব এই পত্র লিখিয়াছেন এই দুই জন একত্র হইয় তাহার বাটতে গেলেন যে বাটতে তাহার মৃত প্রাণপতি ছিল সে বাটতে সে স্ত্রী ছিল না যেহেতুক চারি বৎসর পর্য্যস্ত ঐ স্ত্রী পুরুষের পার্থক্য হইয়াছিল। সাহেবের সেখানে দেখিলেন যে ঐ স্ত্রী হরিদ্রা মাগিয়া আম্রশাপা হন্তে করিয়া ঘরের পিড়ায় বসিয়া আছে। জঙ্গ সাহেব ঐ স্ত্রীকে কহিলেন যে আমি তোমার সহিত কিঞ্চিৎ কথা কহিতে বাসনা করি। তাহ শুনিয়া ঐ স্ত্রী আপনি জজ সাহেবের নিকটে আইল । সাহেব বিনম্ন পূর্বক তাহাকে কহিলেন যে তুমি দগ্ধ হইয়া মরিলে আত্মঘাতিনী হইব। অতএব দগ্ধ হইয়া মরণে ক্ষস্তি হও তোমার বংশ্বের তোমাকে অনাদর করিবে ইহা মনে করিয়া চিন্তা করিও না আমি তোমার স্বতন্ত্র ঘর করিয়া দিব ও যাবজ্জীবন তোমার ভক্ষ্য পরিচ্ছদ দিব । ইহা গুনিয়া ঐ স্ত্রী স্তিররূপে সবিনয় কহিল যে হে কোম্পানি আমি যাহাতে অস্তে স্বগ পাই সেরূপ অনুমতি কর আমি তিন জন্ম এষ্ট স্বামির সহিত সহগমন করিয়াছি । এই কথোপকথন হইতেই স্থধ্যাপ্ত হইল তথন জঙ্গ সাহেব কহিলেন যে এখন কি করিব । তাঁহাতে সে স্ত্রী কহিল যে অদ্য রাত্রি হইল অদ্য হইবে না কলা স্বর্ধ্যোদয় হইলে সহগমন করিব। তখন সাহেব ঐ স্ত্রীর নিকটে নেগাহবান লোক রাথিস্থা স্বস্থানে গেলেন। কারণ সে স্ত্রী কোহন মাদক দ্রব্য ভক্ষণ না করে। পরে তাহার আত্মীয় বর্গের সে মৃত শরীর সেই স্থানে আনিল এবং আপনি মৃত স্বামির সহিত বসিয়৷ পূৰ্ববং জাগরণে সে কামিনী ঘামিনী প্রভাত কাঞ্চল ।