পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ֆն Կ মংবাদ পত্রে মেনকালের কথা করিষা ঐ মন্দির দর্শনার্থ গেলেন কিন্তু সেখানকার অধিকারির জুতা পায়ে দিয়া মন্দিরের মধ্যে যাইতে দিল না। পরে সাহেবের জুতা খুলিয়া মন্দিরের মধ্যে প্রবিষ্ট হইলেন ও দেখিলেন যে তাহারদের পূজাদি ব্যবহার সকল নানকপস্থিরদের মত । এবং তাহারদের নিকটে ঐ জীসাহেবের বিবরণ শুনিলেন যে এক শত বৎসর পূৰ্ব্বে কোন এক বাদশাহ আপন উজীরকে এক দিন কহিলেন যে হিন্দু লোক কখনও মুসলমান হয় না । তাহাতে উজীর কহিল যে ভাল আমি হিন্দুকে মুসলমানের মধ্যে আনিতে পারি। ইহা কহিয়া কিঞ্চিৎ ধন লইয়া এক ছোকরা চেলাকে সঙ্গে করিয়া মোকাম পান্নাতে পছছিল এবং ঐ চেলাদ্বারা আপনার বুজুরুকী প্রকাশ করিতে লাগিল । পরে তাহার বুজরুরী কিঞ্চিৎ প্রকাশ হইলে কন্য। ভারাক্রান্ত এক ব্রাহ্মণ আসিয়া কহিল 4ে হে সাই সাহেব আমি শুনিয়াছি যে আপনি যাহা মনে করেন তাহাই করিতে পারেন অতএব আমি দামগ্ৰস্ত আমি যেরূপে কিছু টাকা পাই তাহ করুন। ইহা শুনিয়। ঐ বুজরুক কহিল যে ভাল তুমি এখন যাও বৈকালে আদিও । ইহা কহিয়া ঐ ব্রাহ্মণকে বিদায় করিয়া আপন চেলাদ্বারা এক বৃক্ষের নীচে গুপ্ত রূপে এক শত টাকা রাখিল । বৈকালে ব্রাহ্মণ আইলে কিঞ্চিৎ কাল ভ্ৰকুট করিয়া কহিল যে অমুক বৃক্ষের নীচে তোমার কারণ ঈশ্বর টাকা রাখিয়াছেন। ব্রাহ্মণ অত্যন্ত তুষ্ট হইয়৷ তথা গিয়া ঐ এক শত টাকা পাইল । ইহাতে ঐ “ বুজুরুকের প্রতি ঐ ব্রাহ্মণের নিতান্ত বিশ্বাস জন্মিল ও সে ক্রমেই আপন মত ত্যাগ করিয়া ঐ মতাবলম্বী হইল। কিন্তু ঐ বুজুরুক অতিশয় জ্ঞানী সে মৃত্তিক বিবেচনা করিয়। মুত্তিকার নীচস্থ বস্থর বিষয় নিশ্চয় কহিতে পারিত তাহতে এক স্থানের মৃত্তিক পরীক্ষা করিয়া চতুঃশাল নামে এক রাজাকে কহিয়াছিল যে ঐ স্থানে হাঁর আছে। ঐ রাজা সে স্থান খনন করিয়া ঈরা পাইয়াছিল তাহাতে ঐ রাজা অতিশয় ভক্তি করিয়া আপন রাজ্য সমেত উন্মতাবলম্বী হইল। তদবধি ঐ বুজুরুক মুসলমানেরদের নিকটে জীসাহেব নামে ও হিন্দুর নিকটে প্রাণনাথ নামে মান্ত হইয়াছিল এবং কতক হিন্দু ও মুসলমানকে আপন মতে আনিয়াছিল। পরে তাহার মৃত্যু হইলে তাহার কবর হইয়াছিল এবং সে কবরের উপরে এখন প্রস্তরময় এক মস্তক ও তাহার কপালে ত্ৰিশূলের আকৃতি আছে এবং মস্তকের উপরে এক ত্ৰিশূল আছে । ঐ সাহেবেরা এই সকল বৃত্তাস্ত শুনিয়। ৪ দেখিয়া অল্পমান করিলেন যে আওরঙ্গজেব বাদশাহের অধিকার কালে তাঙ্গার উজারের এই কীৰ্ত্তি হইতে পারে যেহেতুক এক শত বৎসর পূৰ্ব্বে আওরঙ্গজেব বাদশাহ হইয়াছিলেন এবং এতাদৃশ বিষয়ে তাঙ্গর অনেক২ কথা শুনা যায়। ( ৩০ জানুয়ারি ১৮৩০ । ১৮ মাঘ ১২৩' ) ধৰ্ম্মসভার আচকুলে যে সকল টাকা চাদায় সই হইতেছে তাহার বেণ্ডর চন্ত্রিকা প্রকাশ হইতেছে গত বৃহস্পতিবারের চন্দ্রিকায় নীচে লিখিত টাকার সই দেখিতেছি ।