পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ኔፃ8 মংবাদ পত্রে মোকালের কথা বিভিন্ন স্থানের ইতিবৃত্ত ( ২৬ ডিসেম্বর ১৮১৮ । ১৩ পৌষ ১২২৫ ) প্রাচীন কথা –চাকদহের উত্তর পূর্ব অনুমান চারি ক্রোশ অন্তরে দেবগ্রাম নামে এক গ্রাম আছে সেখানে একটা লুপ্তপ্রায় বাট আছে তাহার আয়তন অতিবড় প্রায় এক ক্রোশ তাহার চারি কোণে মালিম্বাদহ ইত্যাদি নামে চারিট পৰ্ব্বতাকার স্মৃত্তিকার বুরুজ ও বাটীর মধ্যে চারি পাঁচ প্রকোষ্ঠ তাহার প্রতিপ্রকোণ্ডেতেই দুই২ সজল বৃহৎ পুষ্করিণী আছে এবং স্থানে২ মুত্তিকার মধ্যে ইষ্টক ও প্রস্তর আছে । এই বাটীর বিষয়ে লোক কহে যে এখানে পূৰ্ব্বে দেবপালনামে এক রাজা ছিল । তাহার রাজা হওয়ার বৃত্তান্ত এই ৷ ঐ দেবগ্রামে দেবপাল নামে এক কুম্ভকার ছিল এক দিন এক সন্যাসী তাহার বাটতে অতিথি হইল পরে ঐ সপ্ল্যাণী আপন কুলী চালের বাতায় টাঙ্গাইয়া স্বানার্থে গেল এই সময়ে বৃষ্টি হওয়াতে সেই ঝুলীর মধ্যে প্রবেশ করিয়া বুটির জল নীচে পড়িতে লাগিল ঝুলীর মধ্যে স্পর্শমণি ছিল তাহার জল নীচে কোদালিতে পড়িলে কোদালি স্বর্ণ হইল। ইহা দেখিয়া কুম্ভকারের স্ত্রী আপন স্বামীকে কহিল। কুম্ভকার সেই মণি হরণ করিল। সন্তাসী ঐ মণি না পাইয়া কুম্ভকারকে অভিসম্পাত করিল যে তুই যেমন আমার মণিহরণ করিলি ঐ ধন তোর কিম্বা তোর বংশের ভোগার্থ না इउँक ও তুই ও তোর বংশ শীঘ্র উচ্ছিন্ন হবি। ইহা কহিয়া সন্তাপী গেল। কুম্ভকার ঐ স্পর্শমণি প্রসাদে ভাগ্যবান রাজা হুইয়া অসংখ্য ধন সঞ্চয় করিল পরে বাটীর চারি কোণে চারিট হ্রদ করিয়া ধনেতে পূর্ণ করিয়া চারি স্থানে চারি জাতির চারি বালক বধ করিয়া ঐ ধনরক্ষার্থে হ্রদমধ্যে রাখিয় তাহার উপরে মৃত্তিকাদ্বারা চারি বুরুজ নিৰ্ম্মাণ করিল তাঁহাতে যে স্থানে মালির বালক রাখিয়াছিল তাহার নাম মালিয়াদহ রাখিল এই রূপ চারি জাতিতে চারি বুরুজের নাম রাখিল । কিছুদিন পরে এই সকল বৃত্তান্ত শুনিয়া দিল্লীর বাদশাহ কুদ্ধ হইয়। তাহাকে কয়েদ করিয়া লইয়া যাইতে সৈন্য পাঠাইলেন সে যখন কমেন হুইয়া দিল্লী যায় তখন আত্ম পরিজনেরদিগকে কহিল যে যদি দরবারে আমার অমঙ্গল হয় তবে এই দুই কপোত অগ্রে এখানে আসিবে ইহারা আসিবামাত্র তোমরা সকলে প্রাণত্যাগ করিব। ঘূর্দি মঙ্গল হয় তবে এই দুষ্ট কপোত আমার সঙ্গেই আদিবে। এই কহিয়া আপনি কয়েদ হইয়। দিল্লীতে গেল । সেখানে গিয়া অনেক ধন ব্যাঘার বাদশাহকে তুষ্ট করিয়া মঙ্গলপূর্বক ৰাট আসিতেছে দৈবাৎ ঐ দুই কপোত উড়িয়া বাট আলিবামাত্র তাহার সকল গোষ্ঠী বাটীর পুষ্করিণীতে ডুবিয়া প্রাণত্যাগ কৰিল । দেবপালও কপোত উড়িয়া যাইবামাত্র এক উত্তম ঘোড়াতে আরোহণ করিয়া বাটী আসিয়া দেখে যে সকল পরিজন ডুবিয়া মরিয়াছে। পরে বিবেচনা করিল ষে একেল আমার জীবন নিফল আমি প্রাণত্যাগ করি। ইহা ভাবিয়া আপনিও ঐ পুষ্করিণীতে ডুবিয়া মরিল। এই রূপ কথা অনেকে কহেন কিন্তু এ অমূলক কথায় প্রামাণ্য হয় না কিন্তু সে স্থানে যেমত২ বাটীর সংস্থান আছে তাহাতে জানা যায় যে এ বাটী যাহার ছিল সে অতিবড় লোক ও অকুমান হয় যে অতিবিস্তর দিনেরও নম্ব