পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२९ সংবাদ শত্রে মোকালেৰ কথা ( ৫ জানুয়ারি ১৮৩৩ । ২৩ পৌষ ১২৩৯ ) এদেশের শাস্ত্রের শাসন কেবল স্ত্রীলোক আর শূত্রের উপরই অধিক চলে দেখ এই এক অশৌচ পালন যাহাতে শূদ্রের প্রতি এক মাস ক্লেশ ভোগ লিথিয়াছেন স্ত্রীলোকের প্রতিও তাহার বিধান প্রায় সমান যেহেতুক সস্তান হইলে ব্রাহ্মণ শূদ্র সাধারণ তাৰং স্ত্রীলোকের প্রতিই অশোঁচের বিধান সমান হইয়াছে পুত্র প্রসব করিয়াও র্তাহারা বহুদিনব্যতিরেকে দেব পিতৃকর্মের কোন সমগ্রী স্পর্শ করিতে পারেন না এবং হিন্দুদের প্রধান শাস্ত্র বেদ তৎপাঠে একেবারে শূত্রের অনধিকার যদি বা বেদের সারার্থ শ্রবণেও কিঞ্চিৎ জ্ঞানেদন্থের সম্ভব তাহাতেও পূদ্রেরদিগকে মহান ভস্থ দেখাইয়াছেন যেহেতুক বেদার্থ শ্রবণ কৰিলে শূত্রের কর্ণ শুষ্কলী বন্ধ করিয়া দিতে হয় স্ত্রীলোকের প্রতিও এতদ্বিষয়ে লিখিয়াছেন যে র্তাহার বেদমন্ত্র উচ্চারণ করিতে পারিবেন না যেহেতুক বেদমন্ত্র উচ্চারণ করিয়া কৰ্ম্মকরণে স্ত্রীশূদ্রের সমানাধিকার ইহাতে কোন গ্রন্থকার এই লেখেন যদ্যপি ব্রাহ্মণের স্ত্রীলোকের শূদ্রতুলা হন তবে তাহারদের অন্নভোজনে ব্রাহ্মণের শূদ্রান্ন ভোজনের পাপ ইউক এই আপত্তি দৰ্শাইম্বা তাহার উত্তর লিথিয়াছেন যে কেবল যাগাদি কৰ্ম্মেই স্ত্রীলোকের শূদ্রতুল্য। কিন্তু পাকাদি কৰ্ম্মে নহেন অতএব তাহার সে অন্ন পাক করিবেন তন্তোজনে শূদ্রান্ন ভোজনের পাপ হয় না। এই বিধিকারক মহাশয় কেমন দয়ালু দেখুন যাগাদি কৰ্ম্ম যদিও পৌত্তলিক হউক তথাপি তদৰ্থে বেদপাঠ করিয়া যে স্ত্রীলোকের কিঞ্চিং জ্ঞানযোগ হইতে পারে তাহাতে একেবারে নিষেধ করিয়া দিলেন কিন্তু গৃহাদি পরিষ্কার ও পাকশালাতে ধূমে চক্ষুজালা হস্তাহপ্রভৃতি করিয়া রন্ধনাদি করিলে যে পুরুষেরা পরমস্বথে ভোজন করিতে পারেন তাহারি বিধান লিখিলেন কি অন্যায় স্ত্রীলোকেরা কি এতই নীচ যে তাহার অন্ধকারে থাকিয়া পুরুষের দাসীবৃত্তি করিবেক আর শূত্রেরাষ্ট বা কি পাপ করিয়াছিলেন যে তাহারাষ্ট শাস্ত্ৰ পড়িতে পারিবেন না কিন্তু কেবল ব্রাহ্মণাদি তিন জাতির দাসত্ব করিবেন ইহাই শাস্ত্রকারকের লেখেন এসকল কথা তথাপি বিশ্বাসের যোগ্য হইতে পারে যদ্যপি হিন্দুরদের প্রধান শাস্ত্র বেদের কোন স্থলে স্ত্রী শূদ্রের প্রতি ঐরূপ লেখা থাকিত কিন্তু বেদের কোন স্থলেই ভাহা নাই কেবল পুরাণাদি বক্তারা আপন২ পক্ষ টানিয়া স্ত্রী শত্রকে শাসনে রাখিয়াছেন যাহা হউক এইক্ষণে অনেকানেক ভদ্র শত্র সস্তানের অন্যান্য শাস্ত্রে স্ববিদ্য হইম্ব বোধ করিতেছেন যে পুরাণবক্তারা তাহারদের নিতান্ত বিপক্ষ ছিলেন এবং বেদপাঠে যে শূদ্রের অধিকার নাই ইহাও যুক্তিত্বার। র্তাহারদের মিথ্য বোধ হইতেছে কারণ মনুষ্য সকলই সমান এবং জ্ঞান পাওনের বাঞ্চ সকলেরই আছে তবে যে জ্ঞানোপযোগি শাস্ত্রপাঠে শূত্র জাতীয়ের অধিকার না থাকা ইহা সৰ্ব্বথা অসম্ভব অতএব অল্পমান হয় অনেক ভব্য নব্য শদ্রের বেদের অনুশীলন অবগু করিবেন সংপ্ৰতি যে চুপ করিয়া রহিয়াছেন তাহার কারণ এই যে যদিও ইহঁারদের মনের মধ্যে পুরাণাদির লিখিত বহুতর বিষয়ে অবিশ্বাস হইয়াছে তথাপি সকলে হঠাৎ কোন কৰ্ম্ম করিতে পারিতেছেন না কেননা পূৰ্ব্বরীতিবিরুদ্ধ কোন বিষয়ের নাম লইতেই তাহার স্বস্ব পরিবারস্থ প্রাচীন লোকের দ্বারা মহান বাধা পান এবং রাজার দ্বারাও এমত বিশেষ শক্তি পান নাই যে পরিবারের বা জ্ঞাতি কুটুম্বের বাধাকেও তুচ্ছ করিতে পারেন সুতরাং জানিয়া