পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭২ মgবাদ পত্রে মেকালেৰ কথা শ্ৰীযুত বাবু গোপীনাথ শিরোমণি সভাপতি হন পরে ত্রযুত বাৰু তামচাদ বাড়য্যের প্রস্তাবে শ্ৰীযুত বাৰু ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের পৌষ্টিকতায় এই স্থির হইল যে কলিকাতা নিবাসি মহাশয়েরদের এক সবকমিটি কলিকাতায় স্থাপিত হয় এবং তাহারা সাধারণ কমিটির অধীনে বিদ্যালয়ের তাবদ্ধ্যাপার নির্বাহ করেন । পরে বাবু ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের প্রস্তাবে শ্ৰীযুত বাবু মোহনলাল মিত্রের পোষকতায় এই স্থির হইল এই বিদ্যালয় স্থাপনীয় বিবরণের পাণ্ডুলেখ্য এই জিলার জাইণ্ট মাজিস্কেট সাহেবের নিকটে অর্পণ করা যায় এবং ইহাতে তিনি পোষকতা করেন এমত প্রার্থনা করা যায় । বাৰু ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের প্রস্তাবে ও বাবু গিরীশচন্দ্র গুপ্তের পোষকতায় এই স্থির হইল ষে ঐ আবেদন পত্র শ্ৰীযুত শুশমাচরণ বাড়ুৰ্য্যে ও শ্ৰীযুত উদয়চন্দ্র ঘোষের দ্বারা ইঙ্গরেজী ভাষাতে লিখিত হয় । পরে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের প্রস্তাবে দয়ালচন্দ্র ঘোষের পোষকতায় এই স্থির হইল যে এই বিদ্যালয়ের অন্তঃপাতি বারাসত নিবাসি মহাশয়েরা ঐ আবেদন পত্রে স্বাক্ষর করণার্থে উপস্থিত হন এবং নির্দিষ্ট উত্তর কোন দিনে তাহ শ্ৰীযুত সাহেবের নিকটে অর্পণ করা যায় । তৎপরে পাঠশালার যে সকল নিয়ম নিদিষ্ট হইয়াছিল তাহ পাঠ করাতে সকলের সম্মতি হইল এবং শ্ৰীযুত সভাপতির নিকটে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করণানস্তর সভ্যেরা স্বস্বাবাসে প্রস্থান করিলেন । রায় মোহনলাল মিত্র । নবীনচন্দ্র মিত্র সেক্রেটরী । ( ৩ মার্চ ১৮৩২ । ২১ ফাল্গুন ১২৩৮ ) চুচুড়ার পাঠশালাবিষয়ক —শ্ৰীযুত চন্দ্রিকাগ্রকাশক মহাশয় । কএক সপ্তাহহইতে জনরব হইয়াছে যে চুচুড়া শহরের এবং তদধীন স্থানসকলের বাঙ্গালা লেখা পড়ার যে কএকটা সরকারি পাঠশালা আছে তাহ উঠিয়া যাইবেক...আমি উক্ত স্থানে বাস করি ঐ সকল পাঠশালার বিষয় যথার্থ যাহা জ্ঞাত আছি তাহ লিখিয়া পাঠাই, ইঙ্গরেজী ১৮১৪ সালে অথবা কহ ১৮ বৎসর হুইল চুচুড়ার হাকিম ফারবেস সাহেব একটা পাঠশালা উপস্থিত করেন তাহার অধ্যক্ষ এবং অধ্যাপক পাদরি মে নামক এক জন মিসিনরি সাহেব ছিলেন তাহাতে অধিক সংখ্যক বালক ইঙ্গরেজী ও বাঙ্গালা পড়িত কিন্তু কোন কারণবশতঃ সে পাঠশালা উচ্ছিন্ন হইয়া গেলে পরে মহামহিম শ্ৰীযুত বেলি সাহেবের আমুকুল্যে বাঙ্গালা পাঠশালাব নিমিত্ত সরকার হইতে মাসিক ৬০০ শত টাকা দিতে হুকুম হয় তদ্বারা মে সাহেব গরিহাট অবধি কৃষ্ণনগরপর্য্যন্ত গঙ্গার ও খালের ধারে হাটে বাজারে ও রাজপথে পাঠশালা স্থাপন করেন কিন্তু ইহার কৰ্ত্ত বা সংস্থাপক কে তাহার যথার্থ স্পষ্টরূপে বহুকাল ব্যক্ত হইল না স্থতরাং মিসিনরি সাহেব অধ্যক্ষ ইহাই লোকেরদিগের বোধ হইল এজন্য বিশিষ্টলোকের বালকেরা তাহাতে পাঠ স্বীকার করিল না পরে পাদরি সাহেব আপন পরিশ্রম ও আয়াস নূ্যন করিবাতে পাঠশালার সংখ্যা অল্প করিলেন অর্থাৎ যেখানে২ হাট