পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মংবাদ গকে মোকালের কথা وفاجن তবে তাহারদের অন্নভোজনে ব্রাহ্মণের শূদ্রীয় ভোজনের পাপ হউক এই আপত্তি দৰ্শাইয়া তাহার উত্তর লিখিয়াছেন যে কেবল যাগাদি কৰ্ম্মেই স্ত্রীলোকের শূন্দ্রতুল্য। কিন্তু পাকাদি কৰ্ম্মে নহেন অতএব তাহারা যে অন্ন পাক করিবেন তম্ভোজনে শূদ্রান্ন ভোজনের পাপ হয় না । এই বিধিকারক মহাশয় কেমন দয়ালু দেখুন যাগাদি কৰ্ম্ম যদিও পৌত্তলিক হউক তথাপি তদৰ্থে বেদপাঠ করিয়া যে স্ত্রীলোকের কিঞ্চিং জ্ঞানযোগ হইতে পারে তাহাতে একেবারে নিষেধ করিয়া দিলেন কিন্তু গৃহাদি পরিষ্কার ও পাকশালাতে ধূমে চক্ষুজালা হস্তদাহ প্রভৃতি করিয়া রন্ধনাদি করিলে যে পুরুষেরা পরমস্থথে ভোজন করিতে পারেন তাহারি বিধান লিখিলেন কি অন্যায় স্ত্রীলোকেরা কি এতই নীচ যে তাহারা অন্ধকারে থাকিয়া পুরুষের দাসীবৃত্তি করিবেক আর শূদ্রেরাই বা কি পাপ করিয়াছিলেন যে র্তাহারাই শাস্ত্ৰ পড়িতে পরিবেন না কিন্তু কেবল ব্রাহ্মণাদি তিন জাতির দাসত্ব করিবেন ইহাই শাস্ত্রকারকের লেখেন এ সকল কথা তথাপি বিশ্বাসের যোগ্য হইতে পারে যদ্যপি হিন্দুরদের প্রধান শাস্ত্র বেদের কোন স্থলে স্ত্রী শূদ্রের প্রতি ঐক্কপ লেখা থাকিত কিন্তু বেদের কোন স্থলেই তাহা নাই কেবল পুরাণাদি বক্তারা আপন২ পক্ষ টানিয়া স্ত্রী শূদ্রকে শাসনে রাখিয়াছেন যাহা হউক এইক্ষণে অনেকানেক ভদ্র শূদ্র সস্তানেরা অন্যান্ত শাস্ত্রে স্ববিদ্য হইয়া বোধ করিতেছেন যে পুরাণবক্তারা র্তাহারদের নিতান্ত বিপক্ষ ছিলেন এবং বেদপাঠে যে শূদ্রের অধিকার নাই ইহাও যুক্তিস্বারা র্তাহারদের মিথ্যা বোধ হইতেছে কারণ মনুষ্য সকলই সমান এবং জ্ঞান পাওনের বাঞ্ছা সকলেরই আছে তবে যে জ্ঞানোপযোগি শাস্ত্রপাঠে শূদ্র জাতীয়ের অধিকার না থাকা ইহা সৰ্ব্বথা অসম্ভব অতএব অল্পমান হয় অনেক ভব্য নব্য শূদ্রেরা বেদের অনুশীলন অবস্থা করিবেন সংপ্ৰতি যে চুপ করিয়া রহিয়াছেন তাহার কারণ এই যে যদিও ইহঁারদের মনের মধ্যে পুরাণাদির লিখিত বহুতর বিষয়ে অবিশ্বাস হইয়াছে তথাপি সকলে হঠাৎ কোন কৰ্ম্ম করিতে পারিতেছেন না কেননা পূৰ্ব্বরীতিবিরুদ্ধ কোন বিষয়ের নাম লইতেই তাহারা স্বস্ব পরিবারস্থ প্রাচীন লোকের স্বারা মহান বাধা পান এবং রাজার স্বারা ও এমত বিশেষ শক্তি পান নাই যে পরিবারের বা জ্ঞাতি কুটুম্বের বাধাকেও তুচ্ছ করিতে পারেন সুতরাং জানিয়া শুনিয়াও র্তাহারদের জড়সড় হইয়া থাকিতে হইয়াছে কিন্তু সময় পাইলে যে র্তাহারা স্ব স্ব মানস প্রকাশ করিবেন তাহাতে সন্দেহ নাই সংপ্রতি এই যে এক রাজাজ্ঞা হইয়াছে যে কেহ পূৰ্ব্বপুরুষের ধৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিলেও পৈতৃকবিষয়ে অনধিকারী হইবেন না ইহা এক মহান মঙ্গলের চিহ্ন এইরূপ বিবাহের আদান প্রদানবিষয়ে যদ্যপি কোন এক স্থপথ হয় তবেই কেহ কাহারও বাধা শুনিবেক না নতুবা অনেকেই ভাত আছেন যে যদ্যপি প্রকাশরুপে পূৰ্ব্বের ব্যবহারাতিরিক্ত আধুনিক ব্যবহার করেন তবে বিবাহ করিতে পারিবেন না অথবা কন্যা পুত্রের বিবাহদেওনে সঙ্গাতীয়ের ঘর পাওয়া ভার হইবেক যাহা হউক বুদ্ধিশালি পুরুষের আপন২ স্থপথ চিন্তা অবশু করিবেন কিন্তু স্ত্রীলোকেরা যে অন্ধকারে রহিয়াছেন ইহা দূরহওনের কোন স্থযোগ হঠাৎ দেখা যাইতেছে না কেননা পুরুষের ভয়ে তাহারা সৰ্ব্বদা