পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృa a মংবাদ গন্তে মোকালের কথা শাস্তন ও সাহায্যের আবশুকতা তাহ কি তিনি ঐ অজ্ঞান স্ত্রীর নিকটে পাইতে পারিবেন। ঐ স্ত্রীর নিকটে কি তিনি আপনার অন্তঃকরণীয় বার্তা প্রকাশ “ করিতে পারিবেন। আপনার অনেক সস্তানেরদের রক্ষণাবেক্ষণার্থ তাদৃশ স্ত্রীর নিকটে কি উপযুক্ত পরামর্শ পাইতে পারিবেন। এতদেশীয় প্রাচীন রীত্যকুসারে পুরুষের উপরেই সাংসারিক তাবৎ ভার পড়ে অথচ স্ত্রী । কেবল বসিয়া থাকিবেন অধিকন্তু প্রতিবাসি বা পরিবারের মধ্যে বিবাদ জন্মায় এবং ঐ বিবাদ ভঞ্জনার্থ পুরুষেরদের কি পৰ্য্যস্ত সময় হরণ না হয় । সকলই অবগত আছেন যে ঐ স্ত্রীরদের বিবাদ কেবল অত্যঙ্গ তুচ্ছ কারণেতে জন্মে এবং তদ্বারা ভ্রাতা পিতৃব্য ও অন্যান্য বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে ঘোরতর বিচ্ছেদ হয় কখন২ মোকদ্দমাও ঘটে তাহাতে সৰ্ব্বস্বাস্ত হয় ইহার কারণ কেবল স্ত্রীরদের মুখত তাহারদিগকে উত্তমরূপে বিদ্যাভ্যাস করাউন এবং পৃথিবীস্থ বস্তু সকল দর্শাউন তবে মূর্খতা দূর হইবে ཨ་ཅ་ཐ་ནཱ་ আমি স্বদেশীয় মিত্রবর্গের প্রতি এই বিনীতি করি যে ইহার প্রতিকারক কোন উপায় স্থির করেন এই অকিঞ্চনের বোধে কলিকাতা বরাহনগর পানীয়হাটি চুচুড়া শান্তিপুর প্রভৃতি প্রধান২ গগুগ্রামে শিষ্ট বিশিষ্ট মান্য ব্যক্তিরদের উচিত যে তাহারা সকলে একত্র হইয়া স্ত্রীরদের বিদ্যাভ্যাসার্থ এক২ পাঠশালা স্থাপন করেন । আমি জানি যে এই বিষয়ে অনেকের সম্মতি আছে কিন্তু কেহ অগ্রসর হন না। এক ব্যক্তি ইচ্ছা করেন যে অপর ব্যক্তি আরম্ভ করেন কিন্তু এতদ্রপ টাল মাটাল আর কতকাল পর্য্যস্ত করিবেন। অতএব অতিসাহসপূর্বক আমরা কেহ এইক্ষণে আরম্ভ করি কৰ্ম্ম উত্তম বটে এবং শ্ৰীশ্ৰী পরমেশ্বরের প্রসাদে আরম্ভ করিলেই নিতান্ত সুফল দশিতে পারিবে ...কস্তচিৎ ব্রাহ্মণস্য । চুচুড়া ২৪ ফেব্রুঅারি ১৮৩৮ । ( ২৬ মে ১৮৩৮ । ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১২৪৫ ) শ্ৰীযুত দর্পণ প্রকাশক সমীপেষু —আপনকার ১১৮১ সংখ্যক দর্পণে কন্যচিৎ চুচুড়া নিবাসি গুপ্ত নামধারি ব্রাহ্মণস্য ইতিস্বাক্ষরিত এক অদ্ভুত পত্র প্রকাশ হইয়াছে কিন্তু কাৰ্য্যাস্তরে স্থানান্তরে থাকাতে তাহ পাঠ করিতে বিলম্ব হইয়াছিল এইক্ষণে দৃষ্ট মাত্রই লেখকের ভ্রাস্তি শাস্ত্যর্থে যৎকিঞ্চিৎ লিখিলাম স্বধীর মহাশয়েরা বিবেচনা করিবেন । লেখক মহাশয় । স্ত্রীগণের বিদ্যাভ্যাস না হওয়াতে আস্তরিক খেদিত আছেন । সম্পাদক মহাশয়গো লেখক মহাশয় নারীগণের বিদ্যাভ্যাস নাহওয়াতে দেশীয় সৌষ্ঠবের ৰিলম্ব হইতেছে লিখিয়াছেন । হায় কি অপূৰ্ব্ব কথা অঙ্গনারা বিদ্যাশিক্ষা করিলে দেশের যে কিসে উপকার দর্শিত তাহা আমার বোধগম্য হয় না যেহেতুক স্ত্রীলোককে সৰ্ব্বশাস্ত্রেই অবিশ্বাসী ও খল কহিয়াছেন তাহার এক প্রমাণ। বিশ্বাসে নৈৰ কৰ্ত্তব্য স্ত্রীষু রাজকুলেষু চ । ইহাতে লেখক মহাশয় এইক্ষণে দেশের সৌষ্ঠব হওনে স্ত্রীরদিগের বিদ্যাভ্যাসের উপরই নির্ভর করিয়াছেন ইহা কেবল তাহার অপূৰ্ব্ব বুদ্ধির তীক্ষত মাত্র তিনি কি আশ্চৰ্য্য দেশহিতৈষী যে দেশের