পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিক্ষা లి তত্তম্ভাষায় অনায়াসে প্রবেশ করিতেছেন এবং বঙ্গ ভাষার মূলসংস্থাপক একপ্রকার তাহাকে বলা যায় যেহেতুক তিনি বঙ্গভাষার এক ব্যাকরণ স্থষ্টি করিয়া ইউরোপীয় লোকেরদের বঙ্গভাষা শিক্ষিবার অত্যন্ত সুগম সোপান করিয়াছেন । অপর পরস্পর পত্রাদি লিখন পঠনব্যতিরেকে ইতিহাস কি প্রাচীন কোন বৃত্তান্ত বঙ্গভাষায় গষ্ঠ রচনা করিয়া কোন গ্রন্থ করা এতদ্দেশীয় লোকের প্রথা ছিল না কিন্তু ডাক্তর কেরী সাহেব ফোর্ট উলিয়ম কলেজের অধ্যাপকতাপদ প্রাপ্ত হইয়া আপনার অধীন পণ্ডিতেরদের প্রতি উপদেশদ্বারা হিতোপদেশ ও বত্রিশসিংহাসন ও রাজাবলি ও পুরুষপরীক্ষাপ্রভৃতি নানা পুস্তক প্রস্তুত করিয়াছেন ইদানীং তদৃষ্টে শতই লোক স্বীয়২ জীবিকার নিমিত্ত শত২ পুস্তক প্রস্তুত করিয়া নিবৃতি করিতেছে এবং তদবধি বঙ্গভাষায় নানা অকুপ্রাস ও শ্লেষোক্তি ও ব্যঙ্গোক্তি ও পদপদার্থের উত্তমতা উত্তরোত্তর বদ্ধিষ্ণু হইতেছে। এবং তিনি অকারাদিক্রমে এতদেশীয় সংস্কৃতপ্রভৃতি নানা শব্দ সংগ্রহ ও ইঙ্গরেজীতে তদৰ্থ সঙ্কলনপূর্বক এক মহাকোষ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন তাহাতে তিনি অনেক আয়ুঃক্ষয় ও ধন ব্যয় করিয়াছেন ইত্যাদি প্রকার বিবিধ বিদ্যার বীজ রোপণ করিতে আয়ুঃশেষপৰ্য্যস্ত তিনি ক্রটি করেন নাই । অতএব এই অল্প আয়ুর মধ্যে ডাক্তর কেরি সাহেব এতাবৎ পরোপকারঘটিত সুকীৰ্ত্তি সংস্থাপন করিয়াছেন যদি পরমেশ্বর ইহঁাকে অধিক আয়ুষ্মান করিতেন তবে ইহঁাহইতে কত সংকৰ্ম্ম হইবার সম্ভাবনা ছিল তাহা অনিরূপণীয় ইত্যলং বিস্তরেণ । কস্যচিৎ দপণপাঠক বিপ্রস্ত । ( ৮ জুলাই ১৮৩৭ । ২৬ আষাঢ় ১২৪৪ } কোলবোরোক সাহেবের মৃত্যু —আমরা অতিখেদপূর্বক জ্ঞাপন করিতেছি যে ইঙ্গলগুহইতে যে শেষ সম্বাদ পহুছিয়াছে ভদ্বারা অবগম হইল যে কোলবোরোক সাহেব লোকাস্তরগত হইয়াছেন । যদ্যপি ইহার ২৫ বৎসর পূৰ্ব্বে তিনি ভারতবর্ষ ত্যাগ করিয়া ইঙ্গলণ্ডে গমন করেন তথাপি আমারদের পাঠকবর্গের মধ্যে অনেকেই তাহাকে শব্দপরিচিত আছেন । ঐ সাহেব কএক বৎসরাবধি সদর দেওয়ানী আদালতের প্রধান জজ ছিলেন পরে কৌন্সেলভুক্ত হইয়াছিলেন । কিন্তু ভারতবর্ষে তাহার মহাখ্যাতি সংস্কৃত বিদ্যা ও পণ্ডিত লোকেরদের প্রতিপোষকতাকরণের উপরেই প্রকাশ আছে । ভারতবর্ষে তাহার তুল্য সংস্কৃত বিদ্বান কোন ইউরোপীয় ব্যক্তি ছিলেন না জোন্স সাহেবও নহেন এবং সৰ্ব্বসাধারণ লোকই স্বীকার করেন তিনি সৰ্ব্ববিষয়েই স্বদেশীয় সৰ্ব্বাপেক্ষা গুণবান ছিলেন । ইঙ্গলগু দেশে প্রত্যাগত হইলে পরও তিনি আপনার অতিপ্রিয় সংস্কৃত বিদ্যার চর্চাতে বিরত হন নাই । কএক সংস্কৃত গ্রন্থ ইঙ্গরেজীতে অনুবাদকরত মুদ্রাঙ্কিত করিয়াছেন। লগুননগরের রায়েল আসিয়াটিক সোসৈটি সংস্থাপনের নিমিত্ত তিনি প্রধান উদ্যোগী ছিলেন । ঐ সোসৈটি স্থাপনের অভিপ্রায় যে ভারতবর্ষের পুরাবৃত্ত ও বিদ্যার বিষয় অনুসন্ধানকরণ এবং এতদ্দেশীয় ভাষায় যে সকল বহুমূল্য গ্রন্থ আছে তাহা ইঙ্গরেজীতে ভাষান্তরকরণ। > (t