পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

به روی 'সৰ্ব্বতত্ত্বদীপিকা’ নামে আর একটি সভা বাংলা ভাষা আলোচনার জন্যই প্রতিষ্ঠিত হয়। ইহার উদ্যোক্তারা রামমোহন রায়ের হিন্দু স্কুলে ( হেদুয়া পুষ্করিণীর দক্ষিণ-পূর্ব কোণে অবস্থিত ) এই সভা স্থাপন করেন । সৰ্ব্বতত্ত্বদীপিকা সভার প্রথম সভাপতি হন রমাপ্রসাদ রায় এবং প্রথম সম্পাদক দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর । এই সভা স্থাপিত হইবার তিন বৎসর পরে ( ১৮৩৬ ) বাংলা ভাষা চর্চা করিবার জন্য কলিকাতার ঠনঠনিয়ায় জ্ঞানচন্দ্রোদয় নামে আর একটি সভা, ১৮৩৮ সনে ঢাকাতেও তিমিরনাশক সভা নামে অপর একটি সভা স্থাপিত ફ ( જૂ. ૨૧-૨ ) সভা-সমিতি প্রসঙ্গে ধৰ্ম্মসভার উল্লেখ করা প্রয়োজন । ১২৫ পৃষ্ঠায় উহার বিবরণ পাওয়া যাইবে । ধৰ্ম্মসভার একটি কাজ ছিল পণ্ডিতদিগের পরীক্ষণ লওয়া । উদ্ধৃত বিবরণে আছে,— # vমহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায় স্বর্গগত হইলে পর পণ্ডিতগণের পরীক্ষা লইয়া কেহ সম্মান প্রদান করেন নাই অতএব নিয়মানুসারে পরীক্ষা হইলে দেশের শাস্ত্র রক্ষণ হইবেক । সে-যুগে অনেকেই যে বাংলা ভাষার চর্চা সম্বন্ধে সচেতন হইয়া উঠিয়াছিলেন, তাহার প্রমাণ আমরা সভা-সমিতি প্রতিষ্ঠা ভিন্ন অন্যত্রও পাই । ১৩৩ পৃষ্ঠায় উদ্ধৃত এক পত্রে পত্রপ্রেরক ইংরেজী ভাষার তুলনায় এ-দেশে বাংলা ভাষা ও দেশীয় বিদ্যার চর্চা মোটেই হইতেছে না বলিয়া দুঃখ করিয়াছেন । ১৩৬-৩৭ পৃষ্ঠায় শিক্ষার জন্য এ-দেশের কে কত দান করিয়াছেন, তাহার একটি তালিকা আছে । উহা হইতে জানা যায়, রাজা বৈদ্যনাথ রায় এ ব্যাপারে অগ্রণী ছিলেন । ইনি অন্যান্য জনহিতকর কাৰ্য্যেও অকাতরে দান করিতেন । এই অংশের ১৩০ পৃষ্ঠায় পাশ্চাত্য দেশে সংস্কৃত চর্চার একটি বিবরণ উদ্ধৃত হইয়াছে। উহাতে অক্সফোর্ডে বিখ্যাত বোডেন প্রফেসারের পদ প্রতিষ্ঠার কথা জানা যায়। এই পদটি এখনও অক্সফোর্ডে রহিয়াছে । చి এই পুস্তকের দ্বিতীয় বিভাগ সাহিত্য-বিষয়ক । এখানে “সাহিত্য” কথাটি ব্যাপক অর্থে ই ব্যবহৃত হইয়াছে। সুতরাং সঙ্কলনের এই অংশে সে-যুগের মুদ্রিত পুস্তক, সংবাদপত্র, ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ক আলোচনা ইত্যাদি অনেক বিষয়ে তথ্য পাওয়া যাইবে - প্রকৃতপ্রস্তাধে উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্দ্ধে বাংলা দেশে আজকাল আমরা সাহিত্য বলিতে যাহা বুঝি, তাহা খুব কমই ছিল । দু-চারিখানি পুস্তকের কথা ছাড়িয় দিলে সে-যুগে মৌলিক সাহিত্য ছিল না বলিলেই চলে । বর্তমান সঙ্কলনের সাহিত্য-বিষয়ক বিভাগেও মৌলিক সাহিত্য রচনার সংবাদ খুবই কম। সে-যুগের নূতন পুস্তকগুলিকে প্রধানতঃ চারিটি ভাগে বিভক্ত করা যাইতে পারে,–( ১ ) বঙ্গানুবাদের সহিত প্রাচীন সংস্কৃত গ্রন্থের পুনমুদ্রণ কিংবা শাস্ত্রীয় তত্ত্বের সঙ্কলন ; (২) ছাত্রপাঠ্য পুস্তক—যেমন, ব্যাকরণ, অভিধান, সহজবোধ্য