পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিক্ষা ృNరి কিছু না লইয়া বর্ষমধ্যে বেয়াল্লিশ দিন পাঠ দিবেন ও যে দিন পাঠ দিতে ত্রুটি করেন তাহাতে র্তাহার এক শত টাকা দগু হইবে এবং যদি অকারণেতে বৎসরের নিয়মিত পাঠ প্রদান করিতে নূ্যনত করেন তবে তিনি অপদস্থ হইবেন তাহার বেতন বার্ষিক দশ হাজার টাকা স্থির হইয়াছে । উক্ত প্রস্তাবের দ্বারা পাঠক মহাশয়ের অবগত হইবেন যে ইউরোপে সংস্কৃত বিদ্যার চর্চা নিৰ্ব্বাণ না হইয়া বরং উত্তরোত্তর বৃদ্ধি হইতেছে বিশেষতঃ ইঙ্গলগু দেশে । অতএব আমারদের প্রত্যাশা এই যে ইউরোপের বিদ্বানলোকেরা যে সময়ে সংস্কৃত বিদ্যার আকর খনন করিতেছেন তৎসমকালীন ভারতবর্ষীয় শিশুগণো ইঙ্গরেজী ভাষার অনুশীলনেতে তাহারদের তুল্য পরিশ্রমী হইবেন । ঐ ইঙ্গরেজী ভাষার মধ্যে র্তাহারা তম্ভাষা বিদ্যা কোষ হইতে এত ধন প্রাপ্ত হইবেন যে তদ্বারা তাহারদের পরিশ্রমের উপযুক্ত ফল হইবে । এইক্ষণে আমরা চন্দ্রিকণপ্রকাশক মহাশয়কে জিজ্ঞাসা করি যে তিনি কি নিমিত্তে স্বদেশীয় বালকদিগকে ইঙ্গরেজী বিদ্যা অভ্যাস না করিতে পরামর্শ দিতেছেন যেহেতুক ইউরোপের বিদ্যালয়স্থের নিরন্তর সংস্কৃত ভাষা অভ্যাস করিতেছেন কিন্তু তাহারদের হিন্দু হওনের কিছু ভাবনা নাই অতএব তিনি কি কারণে ইহা বোধ করিয়াছেন ষে হিন্দুরা ইঙ্গরেজী ভাষা অভ্যাস করিলে তাহারা আপনারদের পৈতৃক ধৰ্ম্ম ত্যাগ করিবে । ( ৭ সেপ্টেম্বর ১৮৩৩ । ২৩ ভাদ্র ১২৪০ ) ভারতবর্ষের মধ্যে বিস্তীর্ণরূপে বিদ্যা প্রচারের নিমিত্তে সমাচার পত্রসম্পাদকেরা যতই লিখেন বোধ হয় গবর্ণমেণ্ট তাহাতে শ্রুতিপাতই করেন না কেন না তিনি শ্রুতিপাত করিলে এতদিনে ভারতবর্ষ পরিপূর্ণ বিদ্যার ভাণ্ডার হইতে পারিত কিন্তু তাহা না হওয়াতেই ভারতবর্ষের মধ্যে ইউরোপীয় রাজার অধিকারের প্রায়াংশ অরণ্যময় রহিয়াছে আমরা এমত কহিতে পারি না যে গবর্ণমেণ্ট ভারতবর্ষের রাজস্ব হইতে এতদেশীয় লোকের বিদ্যাশিক্ষার্থ প্রতি বৎসর কিছু না দিতেছেন যেহেতুক এডুকেশন সোসৈটাই তাহার প্রমাণ রহিয়াছেন কিন্তু আমারদিগের উপর গবর্ণমেণ্ট এমত কোন আজ্ঞা দেন নাই যে প্রতি বৎসর লক্ষ টাকা কি কৰ্ম্মে ব্যয় হইতেছে তাহার জিজ্ঞাসা করিতে পারি অতএব সুতরাং পূৰ্ব্বোক্ত সোসৈটির বিবেচনাতে যে বিদ্যায় খরচ করা উচিত বুঝেন তদৰ্থেই খরচ করিতেছেন কিন্তু এইমাত্র কহিতে পারি ঐ খরচের দ্বারা ভারতবর্ষের সর্বসাধারণের কি উপকার দশিতেছে আমরা এ পৰ্য্যন্ত তাহার কিছু জানিতে পারি নাই ঐ কমিটির দ্বারা এতদেশের কতক বিদ্যালয় চলিতেছে ইহা আমরা অস্বীকার করি না কিন্তু তাহাতে শহরসম্পৰ্কীয় কতক লোকেরই উপকার দশে এবং এখনও পল্লীগ্রামের দুর্ভাগ্য প্রজারা যেরূপান্ধকারে ছিলেন সেইরূপই