পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য >br登 ইহাতে র্তাহার মনোগত কথা ব্যক্ত করিতে বাঞ্ছা করিলেন অর্থাং সহগমনের প্রতি তাহার কটাক্ষ করা মত এজন্য র্তাহার বন্দ্যোপাধ্যায় বাবুর সহিত অনৈক্য হইল তিনি ঐ কাগজ প্রকাশক ছিলেন তাদৃশ কথা লেখাতে ধৰ্ম্মহানি এবং হিন্দুসমাজে মানহানি জানিয়া কৌমুদী ত্যাগ করিয়া ঐ সালের ফালগুনে সমাচার চন্দ্রিকানামক কাগজের স্বষ্টি করেন ইহাতে কৌমুদী ও চন্দ্রিকায় ঘোরতর সংগ্রাম হইয়াছিল শেষ দত্তজ কৌমুদী কাগজ ত্যাগ করেন পরে কৌমুদীর অনেক দুর্দশা হইয়াছিল সে অনেক কথা অর্থাৎ কৌমুদী হিন্দুমতহইতে একেবারে বহিস্কৃত হইল মধ্যে২ এক বৎসর পড়িয়া যায় শেষ এক জন ঐ নাম ধারণ করিয়া পুনর্বার কাগজ করে এইমত কতককাল গেল এক্ষণে শ্ৰীযুত বাবু রামমোহন রায়ের পুত্র শ্ৰীযুত বাবু রাধাপ্রসাদ রায় কৌমুদীনামে কাগজ করিতেছেন ঐ কাগজের গ্রাহক কেবল সতীদ্বেষী কএক মহাশয়েরা আছেন শুনিয়াছি তাহার বায়নিমিত্ত শ্ৰীযুত বাৰু কালীনাথ মুন্সী ১৬ টাকা আর শ্ৰীযুত বাৰু দ্বারিকানাথ ঠাকুর ১৬ টাকা দেন ইহাতেই তাহার জীবনোপায় হইয়াছে নচেৎ কৌমুদী এত দিনে কোন স্থানে মিলাইয়া যাইতেন যাহা হউক বাঙ্গালিরদিগের মধ্যে চন্দ্রিক ও কৌমুদী এই দুই কাগজ ছিলমাত্র চন্দ্রিকার ক্রমে২ উন্নতি হইতে লাগিল কারণ যত ধৰ্ম্ম স্ততোজয় অর্থাৎ সপ্তাহে দুইবার হইয়া পাচ শতাধিক গ্রাহক হইল । অপর সন ১২৩০ সালের কাৰ্ত্তিক মাসে তিমিরনাশকনামক এ অকিঞ্চনদ্বারা স্থষ্টি হয় ৭ বৎসর প্রচলিত হইলে পরে ১২৩৭ সালাবধি সপ্তাহেতে দুইবার প্রকাশ করিতেছি এইক্ষণে পাঠকবর্গের রুপায় তিমিরনাশকের বিনাশের আশা দূরে গিয়া অনেক প্রত্যাশা হইতেছে এই সকল দেখিয়া অনেকে সমাচার কাগজ করিতে মানস করিলেন । প্রথমতঃ সন ১২৩৬ সালে বঙ্গদূত শ্ৰীযুত বাবু নীলরত্ব হালদার মহাশয় তাহার প্রকাশক হইয়াছিলেন কিন্তু শেষ রক্ষণ হইল না কেননা মুপ্রিম কোর্টে কাগজের দায়ে দোষী হইয়াও তথাচ কাগজ করিতেছিলেন শেষে সতীদ্বেষী হইতে আদেশ হয় তাহাতেই ত্যক্ত হইয়া ত্যাগ করিলেন শ্ৰীযুত ভোলানাথ সেন সতী বিপক্ষহইতে মহানন্দে মগ্ন হইয়া বঙ্গদূতের এডিটর নাম প্রকাশ করিলেন শেষে বঙ্গ ভূতরূপে কাগজ হিন্দুসমাজে খ্যাত হইল তাহার কাহিনি কত লিখিব । সন ১২৩৭ সালের ১৬ মাঘে প্রভাকর পত্র উদয় হয় তাহার কিরণে বুঝি জগৎ আলোক হইবেক এমনি প্রখর কিরণ প্রকাশ হইল তাহার কারণ কেবল ধৰ্ম্মপক্ষ আশ্রয় করিয়াছিল নচেৎ তাহাতে মুন্সীআনা বা বিদ্যা বুদ্ধি কোন কথাই প্রকাশ পায় নাই কেবল নাস্তিকদিগকে অনেক কটু কহিয়াছিল তাহতে হিন্দুসমাজে মান্য হইল কেননা ভদ্রলোক নাস্তিকের সঙ্গে বিবাদ করিতে কেহ বাসনা করেন না সুতরাং প্রভাকর অকুতোভয়ে অনেক পচাল পাড়িয়াছিল এইক্ষণে তিনি ধৰ্ম্মদ্বেষী হইয়াছেন যদি তাহার তাদুশ প্রবলতা এখন থাকে তবে জানি বৈদ্যপোর ক্ষমতা অথবা তাহার মুরব্বির যোগ্যতা । ঐ সনের ৫ ফালগুণে ক্ষুধাকর স্বজন হয় তাহার প্রকাশক শ্ৰীযুত প্রেমচাঁদ রায় তিনিও 8