পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sషిశ్చి সংবাদপত্রে সেকালের কথা এতদেশীয় প্রজারদের সঙ্গে তুলনা করিতে হইলে ইঙ্গলওয়েরা কেবল এক মুষ্টিপরিমিত হন অতএব এতদ্দেশীয়েরা যদি প্রত্যেক জন ক্ষুদ্র একটি২ ডেলা ফেলিয়াও মারেন তবে ইঙ্গলওঁীয়েরা একেবারে চাপা পড়েন এই কথার কোন মন্দাভিপ্রায় ছিল না তথাপি ঐ প্রস্তাব গবর্ণমেণ্টের প্রধান সেক্রেটরী সাহেবের কর্ণগোচর হওয়াতে সরকারী তাবৎ দপ্তরখানাতে মহেদ্ধেগ জন্মিল তাহারা সকলই স্থির করিলেন যে এই কথা অত্যন্ত রাজবিদ্রোহ ব্যাপারসূচক বলিয়া তৎক্ষণাৎ ঐ সম্বাদ পত্র প্রকাশ হওয়া বন্দ করিতে হুকুম দিলেন তাহাতে ঐ পত্রসম্পাদকেরদিগকে এতদ্ধেশহইতে প্রস্থান করিতে হুকুম হইল বুঝি ঐ সম্পাদক ডাক্তর সুলব্রেট ও ব্রুস সাহেব ছিলেন । পরে ঐ সাহেবলোকেরা আপনারদের ঘাইট স্বীকার করিয়া অত্যন্ত বিনয়পূৰ্ব্বক অঙ্গীকার করিলেন যে আর এমত প্রস্তাব আমরা কখন ছাপাইব না তাহাতে ঐ সম্বাদপত্র পুনৰ্ব্বার প্রকাশ করিতে হুকুম হইল। এবং ঐ পত্রাধ্যক্ষেরদিগকে দেশে থাকিয়৷ পূৰ্ব্ববৎকাৰ্য্য করিতেও অনুমতি হইল । } গত মাসের ১২ তারিখে রিফাৰ্ম্মর সস্বাদপত্রে এক পত্র প্রকাশিত হইয়াছিল তাহাতে ভারতবর্ষে ইঙ্গল গুীয়েরদের রাজ্য বিষয়ে অনেক আশ্চর্য্য উক্তি ছিল এবং ঐ পত্রে এতদেশীয় লোকেরদিগকে অস্ত্র বিদ্যা শিক্ষা করিতে পরামর্শ দেন। অপর গত পূৰ্ব্ব২ রবিবারে প্রকাশিত পত্রে ঐ পত্রসম্পাদক ও স্বয়ং আমেরিকা দেশের স্বাধীনতা হওনবিষয়ক যে প্রস্তাব লিথিয়াছেন তাহা কুরিয়র সম্পাদক মহাশয় রাজবিদ্রোহ অভিপ্রায়িস্বরূপ জ্ঞান করিয়াছেন । ফলতঃ ঐ রিফাৰ্ম্মরের উক্তি সূক্ষ্ম বিবেচনা করিলে কুরিয়রসম্পাদক যাহা বোধ করিয়াছেন সে প্রকৃতই জ্ঞান হয় যেহেতুক ঐ উক্তিতে ইঙ্গলওঁীয়েরদের ভারতবর্ষীয় রাজ্য বিনাশ হওয়া অতি স্পষ্টরূপেই লক্ষিত হইয়াছে । এই সকল কথা পাঠ করিয়া আমারদের মনে এই বিবেচনা হইল যে পূৰ্ব্বতনকাল ও ইদানীন্তন কাল এবং লার্ড উএলেসলি সাহেব ও শ্ৰীযুত লার্ড উলিয়ম বেণ্টিঙ্ক সাহেবের আমলের কি পৰ্য্যস্ত বৈলক্ষণ্য না হইয়াছে যদি এবম্বিধ উক্তি ইহার ৩৬ বৎসর পূৰ্ব্বে প্রকাশিত হইত তবে ঐ সম্বাদ পত্র বন্দ করিতে ক্ষণমাত্র বিলম্ব হইত না অথচ তৎসময়ে ইঙ্গরেজী ভাষা পঠনক্ষম এতদেশীয় দশ জনও প্রায় ছিলেন না এবং এবহুপ্রকার লিখনের ভাব বুঝিতে পারিতেন ঈদৃশ দুই জনও পাওয়া ভার ছিল কিন্তু এইক্ষণে ১৮৩৪ সালে এমত রাজবিদ্রোহি কথা এতদ্দেশীয় এক জন মহাশয়ের সম্বাদ পত্রে প্রকাশ হইয়াছে এবং তাহার দেশস্থ শত২ ব্যক্তি তাহ পাঠও করিয়াছেন কিন্তু গবর্ণমেণ্টসম্পৰ্কীয় কোন ব্যক্তিই ঐ প্রস্তাবে কিছু মনোযোগ করেন নাই এবং তাহাতে এতদেশীয় প্রজারদের মধ্যেও কিছু উৎসাহ জন্মে নাই এবং বুঝি কোন বিবেচক ব্যক্তিও এমত ভাবেন নাই যে এই সকল উক্তির দ্বারা ইঙ্গল গুয়েরদের ভারতবর্ষীয় রাজ্য কিছু আলগা হইয়াছে ফলতঃ এইরূপ অনর্থক উক্তিতে ব্রিটিস গবর্ণমেণ্টের যে কিঞ্চিৎ ক্ষতিসম্ভাবনা এমত বোধ হয় না তথাপি ইঙ্গলণ্ডদেশীয় লোকেরা এমত প্রস্তাব পাঠ করিলে ভারতবর্ষীয় লোকেরদের যাহা ইচ্ছা তাহাই ছাপান শক্তির কিছু সঙ্কোচ করিতে ইচ্ছুক হইতে পারেন। বস্তুতঃ দুই ধূমকেতুর সংযোগ