পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>目ノe আমরা একেবারে সরাসরি স্ত্রী-স্বাধীনতার যুক্তিও পাই । ২৫৭ পৃষ্ঠায় “চু চূড় স্ত্রীগণস্য” স্বাক্ষরিত যে পত্রটি উদ্ধত হইয়াছে, উহাতে স্ত্রীলোকদিগের পক্ষ হইতে ছয়টি দাবি করা হইয়াছে। এই ছয়টি দাবি এইরূপ,—( ১ ) সভ্যদেশীয় স্ত্রীগণের মত বিদ্যাধ্যয়নের অধিকার ; (২) স্বাধীনভাবে সকলের সহিত আলাপ ; (৩) বলদ বা অচেতন দ্রব্যের মত হস্তান্তরিত না-হওয়া ; ( ৪ ) কন্য-বিক্রয় বন্ধ হওয়া ; ( ৫ ) বহুবিবাহ রহিত করা ; এবং ( ৬ ) বিধবার পুনর্বিব্বাহ । এই পত্ৰখানি খুব সম্ভব স্ত্রীলোকের লেখা নহে। তবে ইহাতে যে অনেক সত্য কথা আছে সে-বিষয়ে সন্দেহ নাই । এই যুগেই যে বিধবা-বিবাহের জল্পনা-কল্পনা চলিতেছিল, তাহার প্রমাণ ২৬৪ পৃষ্ঠায় দেওয়া হইয়াছে। সে-যুগের সমাজ-সংস্কারকদিগের চক্ষে যে কিছুই বাদ যাইত না, তাহ আমরা ২৭০-৭১ পৃষ্ঠায় উদ্ধৃত একখানি পত্রে পাই। লেখকের আপত্তি বাঙালী সমাজে হুক্ষ বক্স পরিধান সম্বন্ধে । তিনি বলিতেছেন,— এতদেশীয় স্ত্রীলোকের পরিধেয় অতিসূক্ষ্ম এক বস্ত্রই সাধারণ ব্যবহার্য্য ইহা অনেক দোষাভাসের ও ভিন্নদেশীয় লোকেরও ঘৃণা এবং নব্য ব্যবহারক্ট অনুভব হয় । এই প্রসঙ্গে “সম্পাদকীয়” অংশে উদ্ধৃত ‘সংবাদ পূর্ণচন্দ্রোদয়’-সম্পাদকের আপত্তি আরও গুরুতর । তিনি লিখিতেছেন,— কেবল বঙ্গ রাজ্যের মধ্যে সরু কাপড়ে স্ত্রী পুরুষ সাধারণ সকলের দৃষ্টি পড়িয়াছিল, এই কারণ ঢাকা, চন্দ্রকোণা শাস্তিপুরাদি স্থানে সুক্ষ্ম বস্ত্ৰ নিৰ্ম্মাণারম্ভ হয় ঐ তিন স্থানীয় বস্ত্রেতেই বঙ্গ দেশীয় পুরুষ পুরুষীগণ লম্পট লম্পট হইয়| উঠিয়াছেন, । তাহার পরই সংবাদ দেওয়া হইয়াছে যে, বৰ্দ্ধমানাধিপ তাহার অধিকার হইতে সূক্ষ্মবস্ত্র ব্যবহার উঠাইয়া দিয়াছেন এবং নবদ্বীপাধিপতিও মোটা কাপড় ব্যবহার করেন । ইহার পর ২৭১ হইতে ২৭৬ পৃষ্ঠা পৰ্য্যন্ত কলিকাতায় সামাজিক দলাদলির বিবরণ দেওয়া হইয়াছে এবং ২৭৭-৭৮ পৃষ্ঠায় মেলা প্রভৃতিতে জুয়াখেলার প্রাদুর্ভাবের ও নিবারণের ংবাদ আছে । , এ-পর্য্যন্ত যে-সকল বিবরণ ও সংবাদ উদ্ধৃত হইয়াছে, সে-সকলই দেশের ও সমাজের নৈতিক অবস্থা সম্পর্কে । ২৭৯ হইতে ২৮৯ পৃষ্ঠা পৰ্য্যন্ত সেকালের আমোদ-প্রমোদ সংক্রান্ত সংবাদ আছে। এই অংশে যাত্রা, নাচ, বুলবুলি পার্থীর লড়াই প্রভৃতি প্রাচীন এবং প্রচলিত আমোদ-প্রমোদের, এমন কি থিয়েটার প্রভৃতি নূতন ধরণের আমোদ-প্রমোদের উল্লেখ আছে । ১৮৩১ সনের ডিসেম্বর মাসে বাঙালীর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত প্রথম নাট্যশালা স্থাপিত হয়—উহা প্রসন্নকুমার ঠাকুরের হিন্দু থিয়েটার । এই নাট্যশালার বিবরণ ২৭৯ হইতে ২৮১ পৃষ্ঠায় উদ্ধৃত হইয়াছে। ইহা ছাড়া এই অংশে আখড়া গান, দুর্গোৎসবে মুসলমান বাঈজীর নাচ-গান প্রভৃতিরও সংবাদ আছে । এই সকল বিবরণের মধ্যে ২১২ পৃষ্ঠায় উদ্ধৃত বুলবুলাখ্য পক্ষির যুদ্ধ' শীৰ্ষক বৃত্তান্তটি খুবই কৌতুহলোদ্দীপক। এই বুলবুলির লড়াই আশুতোষ দেবের বাড়ীতে হইয়াছিল, এবং মহারাজ বৈদ্যনাথ রায় উহার শালিস