পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هاری؛ ۵ তথ্য আছে। এই অংশের প্রথম কয়েকটি সংবাদ এ-দেশের লোককে উচ্চ পদে নিযুক্ত করা সম্বন্ধে । ১৮৩৩ সনে এ-দেশের লোকদিগকে গ্র্যাণ্ড জুরীর ও জষ্টিস অফ দি পীসের কাজ এবং যে-সকল মোকদ্দমাতে খ্ৰীষ্টানরা লিপ্ত আছে এরূপ মোকদ্দমা করিবার অনুমতি দেওয়া হয় । এই সংবাদ দিয়া ১৮৩৩ সনের ২রা মার্চ ‘সমাচার দর্পণ’ এ-সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করেন । এই মূল্যবান আলোচনাটি ৩৬৭-৭০ পৃষ্ঠায় উদ্ধৃত হইয়াছে। ইহা হইতে আমরা জানিতে পারি, ইংরেজের দেওয়ানী-প্রাপ্তি হইতে আরম্ভ করিয়া ১৮৩৩ সন পৰ্য্যস্ত ইংরেজ গবর্মেন্ট কর্তৃক রাজকাৰ্য্যে এ-দেশীয় লোক নিয়োগ সম্বন্ধে তিনবার বিধিপরিবর্তন হয়। প্রথমে এ-দেশীয় লোকেরা খুব উচ্চপদে নিযুক্ত হইত। ‘সমাচার দর্পণ হইতে জানিতে পারা যায় যে তখন এতদ্দেশীয় প্রধান কৰ্ম্মকারক সাম্বৎসরিক ৯ লক্ষ টাকার লুনি নহে বেতন পাইতেন অর্থাৎ এইক্ষণকার তাবৎ ভারতবর্ষের গবর্ন জেনরল বাহাদুরেরদের বেতনাপেক্ষ তিন গুণ অধিক । দ্বিতীয় যুগে রাজকাৰ্য্যে এ-দেশীয় লোক নিয়োগ একেবারে বন্ধ হইয়া যায় এবং তৃতীয় যুগে আবার এ-দেশীয় লোকদিগকে খুব উচ্চপদে না-হইলেও দায়িত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ করা আরম্ভ হয় । ‘সমাচার দর্পণের এই বিবরণ হইতেই আমরা জানিতে পারি যে, বিচারকায্যে স্বজাতীয় লোক নিয়োগে এ-দেশের লোকে প্রথমে খুব সস্তুষ্ট হয় নাই । ‘সমাচার দর্পণের বিবরণ এইরূপ,— পরস্তু আমরা এতদ্রুপ রীতিপরিবর্তনে উল্লসিত বটে কিন্তু সামান্ততঃ দেশের মধ্যে লোকসকল তাদৃশ আহল্লাদিত নহেন । এই দর্পণের সম্পাদকত্ব পদোপলক্ষে মফসলের ভুরি২ ব্যক্তির সঙ্গে লিখনপঠন চলনেতে দেশীয় লোকেরদের যে নানাবিষয়ক নানা অভিপ্রায় তাহা জ্ঞাপনার্থ অামারদের অনেক সুগম আছে । অতএব নিতান্তই কহিতে হইল ষে এতদেশীয় লোকেরা যে নুতন আদালতের কৰ্ম্মে নিযুক্ত হইলেন সেই আদালতে যাহারদের নিতাস্তই মোকদমা করিতে হইবে তাহারা একেবাবে ভয়ে মগ্ন দেশের স্বভাবসিদ্ধতাপ্রযুক্ত উৎকোচের ভয় তাহারদের মনে লগ্নই বহিয়াছে। কৰ্ম্মচারিরা ভারি বেতন পাইয়াও অন্যায়স্কপ টাকা লওনের উপায় যে পরিত্যাগ করবেন এমত ইতরের স্বপ্নেও উদয় হয় না বরং তাহারদেব এমত বোধ হয় যে ইহার যত অধিক বেতন পাল তত অধিকই উৎকোচের লোভ বাড়ে এবং এমত বোধ করে যে এই উচ্চ পদপ্রাপণে লোকেরদের এতদ্রুপ যে লালস জন্মিয়াছে তাহার কারণ তত্তৎপদের গৌরব বা বেতন প্রাপণাশয় নহে কিন্তু তত্ত্বৎপদের দ্বারা ধনসঞ্চয়ের যে অশেষোপায় হইবে তাহাই । অতএব তাহাবদের এই বোধ যে যাহারা কেবল স্বার্থের নিমিত্তই পদ গ্রহণ করিয়াছেন এবম্বিধ ব্যক্তিরদের হস্তে পতিত হওয়ায় আমর। বদ্ধহস্তপদ হইয়া একেবারে আকুলসমুদ্রে নিক্ষিপ্ত হইলাম । এই নূতন নিয়মাকুযায়ী সৰ্ব্বপ্রথম গ্র্যাণ্ড জুরীতে নিযুক্ত হন আশুতোষ দেব, দ্বারকানাথ ঠাকুর, রসময় দত্ত, বীরভৃসিংহ মল্লিক, রাধাকৃষ্ণ মিত্র, কাশীপ্রসাদ ঘোষ ও রাধামাধব বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩৭০-৭১ পৃষ্ঠায় ইহাদের কয়েক জনের সম্বন্ধে কিছু কিছু জ্ঞাতব্য তথ্য সন্নিবিষ্ট করা হইয়াছে। জষ্ট্রিস অফ দি পীস নিয়োগের সংবাদও ৩৭১ পৃষ্ঠায় দেওয়া হইয়াছে। প্রথম