পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&め* মংবাদপত্রে সেনকালের কথা ঐ সোসৈটির শেষ বৈঠকে এই নিশ্চয় করা গেল যে গবর্ণমেণ্ট তদ্বিষয়ে পুনৰ্ব্বার আকুকুল্য করেন এনিমিত্ত দরখাস্ত দেওয়া যায় । কুরিয়র সম্বাদপত্র পাঠে অবগত হওয়া গেল যে গবর্ণমেণ্ট ঐ দরখাস্তের বিষয় উপেক্ষা করিয়াছেন অতএব এইক্ষণে আসিয়াটিক সোসৈটির এইমাত্র উপায় থাকিল যে র্তাহারা এই বিষয়ে কোর্ট অফ ডৈরেক্তসে দরখাস্ত দেন । প্রধান২ ংস্কৃত গ্রন্থসকল সংশোধন করিয়া মুদ্রাঙ্কিতকরণেতে দেশীয় মঙ্গলামঙ্গল লিপ্ত আছে অতএব তদ্বিষয়ে ভারতবর্ষের গবর্ণমেণ্ট কদাচ বিমুখ হইতে পারিবেন না । ( ১৬ মে ১৮৩৫ ৩ জ্যৈষ্ঠ ১২৪২ ) ه٠* শ্ৰীযুত দর্পণপ্রকাশক মহাশয়সমীপেষু —.হে সম্পাদক মহাশয় আমারদিগের বঙ্গদেশে বিচারস্থানাদিতে পারস্য ভাষায় সকল লিখিত পঠিত হইয়া থাকে তাহার তাৎপৰ্য্য কিছুই বোধগম্য হয় না । কেননা যে সকল কৰ্ম্মকারক রাজকৰ্ম্মে নিয়োজিত আছেন তাহারা প্রায় অনেকেই বাঙ্গালি ভাষান্তর অপেক্ষ আপন২ ভাষা বিলক্ষণরূপ জ্ঞাত আছেন এবং সাহেবান ইঙ্গরেজ বাহাদুর র্যাহার রাজকৰ্ম্মাধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত আছেন তাহারা সকলে পারস্তেতে পারদর্শী নহেন কেননা পারস্যের কঠিন সংস্কার ইহা উত্তমরূপ সকলের হয় না এবং যে পারস্য সমুদয় ভাষাপেক্ষ দৃঢ়তর। দেখুন সংস্কৃত বাঙ্গলা ইঙ্গরেজী লেটিন আরমাণি জৰ্ম্মণি ফ্রান্সিস ফিরিঙ্গি সকলেরি লিখনের এক ভঙ্গী অর্থাৎ বাম হইতে দক্ষিণে গমন এবং সমুদয় বর্ণের পৃথকৃ২ সংস্থাপন কিন্তু এ দুরন্ত পারস্ত সমুদয় রীতির বিপরীত অর্থাৎ দক্ষিণ হইতে বামাবৰ্ত্তি এবং বর্ণসকল বর্ণাস্তরে মিশ্রিত হইয় এককালে বিবর্ণ হইয়া রাজকৰ্ম্মাধ্যক্ষ সাহেব বাহাদুরদিগকে সম্যক প্রকারে কোন বিষয়ের বোধাধিকারহইতে পরাজুখ করিতেছে। পূৰ্ব্বকালে যখন জবনাধিকার ছিল তখন র্তাহারা আপন স্বেচ্ছায় প্রজার অনিষ্টচিস্তায় বাঙ্গলা ভাষা রহিত করিয়া আপনারদিগের ধৰ্ম্মকৰ্ম্ম বৃদ্ধিকরণজন্য নিজভাষা পারস্য চলিত করিয়াছেন তাহাতে নিরীহ বাঙ্গালি প্রজারা কি করিতে পারে সুতরাং তাহাই প্রচলিত আছে । কিন্তু সে জবনদিগের সম্যক্রপ্রকারে উচিত ফল এইক্ষণকার দেশাধিপতি শ্ৰীযুত ইঙ্গরেজ বাহাদুর দিয়াছেন কেবল তাহারদিগের অমূলজ পারস্য ভাষা প্রচলিত রাখিয়া দেশাধিপতির অন্যান্য প্রজাপেক্ষ অতিনিরীহ গতিরহিত বাঙ্গালি প্রজাদিগকে হেয়ঞ্জান করিয়াছেন ইহা দেশাধিপতির ধৰ্ম্ম নহে কেননা প্রজাদিগের তুষ্টিতা পরমধৰ্ম্ম । অতএব । প্রজাদির নিজ ভাষা চলিত না করিয়া অপর ভাষা যাহা অতিদুরন্ত ধৰ্ম্মসংহারক পাপাত্মা জবনের প্রচলিত করিয়াছে এ ধৰ্ম্মরাজ ইঙ্গরেজ বাহাদুর ঐ জবনদিগের অমূলজ ভাষা প্রচলিত রাখিয়া কেন ঢেরা সহঁী দেন । র্তাহারা কি আজ্ঞা করিলে এ রীতি নীতি পরিবর্তন হয় না বরং ঐ দুবৃত্ত জবনদিগের ভাষা পরিত্যাগ করিলে উত্তমরূপে রাজকৰ্ম্মাদি নিৰ্ব্বাহ হইতে পারে যেহেতুক বঙ্গদেশে রাজকৰ্ম্মকারকের প্রায় অনেকেই বাঙ্গালি তাহারা স্ব২ জাতীয় ভাষায় সকলেই বিজ্ঞ এবং কৰ্ম্মাধ্যক্ষ সাহেব বাহাদুরেরাও অভ্যন্ত্র পরিশ্রমে বর্ণজ্ঞান করিয়া হুবর্ণভুল্য পরিষ্কাররূপে আপন২ অক্ষিপাতদ্বারা তাহার মৰ্ম্ম বোধ করিতে সক্ষম