পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংবাদপত্রে সেকালের কথা সংস্কৃত কলেজ ( ৮ মে ১৮৩০ । ২৭ বৈশাখ ১২৩৭ ) সংস্কৃত কলেজের ছাত্রদিগকে ইঙ্গরেজী শিক্ষা করাণ বিষয়ে পূৰ্ব্বে চন্দ্রিকায় এক পত্র প্রকাশ হইয়াছিল তাহাতে কলেজধ্যক্ষ মহাশয়ের কিছুই মনোযোগ করেন নাই কিন্তু মনোযোগ করা পরামর্শসিদ্ধ হয় যেহেতু ইঙ্গরেজী বিদ্যাভ্যাস করিতে সংস্কৃত কলেজের ছাত্রদিগের কোনমতেই বাঞ্চ নাই তৎপ্রমাণ দেখুন বৈদ্য ছাত্রদিগকে ইঙ্গরেজী পড়াইতে নিতান্ত বলপ্রকাশ করাতে র্তাহারা একেবারে সকলেই কালেজ ত্যাগ করিয়াছেন ইহা অত্যস্ত দুঃখের বিষয় কেননা সংস্কৃত কলেজের যে কএক কেলাস অর্থাৎ শ্রেণী আছে তন্মধ্যে বৈদ্যক কেলাস এদেশের উপকারজনক ছিল যেহেতু এক্ষণে বৈদ্যক শাস্ত্রের স্থপণ্ডিত কুম্প্রাপ্য এ জন্য পণ্ডিত চিকিৎসক অত্যন্ত্র পাওয়া যায় সুচিকিৎসক না থাকিলে যে অমঙ্গল তাহ বর্ণন নিম্প্রয়োজনক অতএব ভরসা হইয়াছিল কলেজের দ্বারা অনেক উত্তম চিকিৎসক হইবেক কারণ বহুবিবেচকগণের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ যে অধ্যাপক তৎ কতৃক ছাত্র সকল স্বশিক্ষিত হইতেছিলেন এক্ষণে সে অধ্যাপক কলেজের কৰ্ম্মে রহিত হইয়াছেন সুতরাং সে আশা নিরাশা হইল যদি বল সেই অধ্যাপকের নিকট সেই সকল ছাত্র অধ্যয়ন করিলে উত্তম চিকিৎসক হইতে পারিবেক তাহ সুদূরপরাহত কারণ ঐ অধ্যাপকের এক স্থানে বেতন স্থির ছিল জীবনোপায়ে নিশ্চিন্ত হইয়া অধ্যাপনা করিতেন ছাত্রেরাও দিনযাপনোপযোগি ব্যয়ে নিরুদ্বেগে অধ্যয়ন করিতেন এক্ষণে তাহার বিপরীতে কি প্রকারে সম্ভবে অতএব কালেজের দ্বারা দেশের উপকার যাহাতে হইত তাহ রহিত হইল যদ্যপি এমত কহ যে র্যাহারা স্মৃত্যাদি শাস্ত্রাভ্যাস করিতেছেন ইহাতে কি দেশের উপকার নাই উত্তর কিছুমাত্র উপকার নাই এমত কহি না ইহাতে সৰ্ব্বসাধারণের উপকারের সম্ভাবনা স্বীকার করিতে পারি না কেননা যে সকল ছাত্র বিদ্বান হইয়া স্থখ্যাতিপত্র প্রাপ্তিপূর্বক কালেজহইতে বহিষ্কৃত হইয়াছেন তাহারদিগকে প্রায়শ্চিত্তাদির কোন ব্যবস্থা জিজ্ঞাসা করিলেই কহেন আমারদিগের সে সকল গ্রন্থ পাঠ হয় নাই ইহাতে ধৰ্ম্ম শাস্ত্রের কোন কৰ্ম্ম তাহারদিগের স্বারা হইতে পরিবেক না কেবল দায়াদি শাস্ত্রে কিঞ্চিং জ্ঞান হইলে দেশের কি উপকার তবে তাহারদের নিজের উপকার কিঞ্চিৎ স্বীকার করা যায় প্রথমতঃ যত দিবস কলেজে থাকেন যত টাকা বেতন পান এই এক উপকার। দ্বিতীয় যদ্যপি কোন স্থানে অর্থাৎ আদালতের পাণ্ডিত্য কৰ্ম্মে নিযুক্ত হইতে