পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মংবাদ পত্রে সেনকালের কথা "לצפא দিগের উৎসাহ বৃদ্ধি নিমিত্ত মফসলের সাহেবের গবর্ণমেণ্টের নিকট ঐ সকল ব্যক্তিরদিগের নাম লিখিয়া পাঠাইবেন কিন্তু ঐ ব্যবস্থার পুস্তকেই লেখা রহিয়াছে মফঃসলের সাহেবের এপর্য্যস্তও তদনুসারে কার্য্য করেন নাই ।—জ্ঞানান্বেষণ । ( ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৮৩৮ । ১৪ ফাল্গুন ১২৪৪ ) শ্ৰীযুত দর্পণ সম্পাদক মহাশয় সমীপেষু —একবৎসর গত হইল রেবিনিউ বোর্ডের এক সাধারণ বিজ্ঞাপন পত্রে দৃষ্ট হইয়াছিল এতদ্দেশীয় যে সকল ব্যক্তির দেশের মঙ্গলার্থ অর্থ দান করিবেন গবর্ণমেণ্ট তাহারদিগকে রাজা বাহাদুর উপাধি দিবেন তাহাতে আরো লেখা ছিল রাজা বাহাদুর উপাধি প্রদানের যে২ কারণ হইবে উপাধি প্রদানকালীন তাহণও প্রকাশ করা যাইবেক । তাহার পরে কয়েক ব্যক্তি ঐ উপাধি পাইয়াছেন কিন্তু গবর্ণমেণ্ট র্তাহারদিগের উপাধি প্রাপ্তির কোন কারণ প্রকাশ করেন নাই এবিষয়ে আমার বক্তব্য এই যে গবর্ণমেণ্ট স্বীকার করিয়াছেন কারণ প্রকাশ করিবেন তাহা না করণেতে অঙ্গীকার ভঙ্গ হয় । এবং লোকের মহা সন্ত্রমের পদ প্রাপ্তির কারণ জানিয়া যে ঐ রূপ কৰ্ম্মে অর্থ দান করিতেন তাহার বাধা জন্মে অতএব গবর্ণমেণ্টের ঐ অঙ্গীকার স্মরণ করা উচিত আর ইহাও জানিতে বাঞ্ছা যদি কোন ব্যক্তি কেবল কুকৰ্ম্ম দ্বারা অর্থোপার্জন করিয়া দেশের মঙ্গলার্থ এক বিষয়ে কিঞ্চিৎ প্রদান করেন তবে কি তিনিও রাজা বাহাদুর উপাধির যোগ্য হইবেন । যাহা হউক এবিষয়ে আমার অধিক লিখিবার অভিপ্রায় নয় কেবল জিজ্ঞাস্য এই যে দেশের মঙ্গলার্থ অর্থ ব্যয় করিলে যদি ব্যক্তিরা রাজা বাহাদুর পদ প্রাপ্তির পাত্র হয়েন তবে শ্ৰীযুত বাৰু দ্বারকানাথ ঠাকুর কি অপরাধ করিলেন । ঐ বাবু পূৰ্ব্বে কিরূপ সংকৰ্ম্মেতে কবে কি দিয়াছেন আমি তাহ জানি না কিন্তু হিন্দুকলেজের স্বষ্টি অবধি ১২৪৪ সালের ২৫ মাঘ তারিখ পর্য্যন্ত বলিতে পারি যখন যে বিষয় উপস্থিত হইয়াছে বাৰু দ্বারকানাথ ঠাকুর তাহাতে সৰ্ব্বাগ্রে অধিক দিয়া বসিয়া থাকেন বিশেষতঃ সম্প্রতি র্তাহার পশ্চিম যাত্র দিনে দিল্লিত্ত চেরিটেবল সোসৈটিকে যে লক্ষ টাকা দিয়াছেন আমার বোধ হয় এতদ্দেশীয় লোকের মধ্যে কেহ এরূপ মহা দান কস্মিন কালে করেন নাই । আমি ঐ বাবুর সততার কার্য্য অনেক জানি তাহার মধ্যে এক বিষয় বলি বিলাত হইতে সতী দাহ নিবারণের চুড়াস্ত হুকুম আসিলে পর যে দিবস ব্রহ্ম সভাগৃহে এতদ্দেশীয় লোকের সভা করেন সেই দিবস বাৰু কটকের দুর্ভিক্ষের উপশমার্থ স্বয়ং চাদার প্রস্তাব উপস্থিত করিলেন । এবং যে কয়েক সহস্র টাকার চাদ হইল আপন ভাণ্ডার হইতে বাহির করিয়া পর দিনেই তাহ কটকে পাঠাইয়া দিলেন কিন্তু পরে ঐ টাকা সকলও আদায় হয় নাই । ধৰ্ম্ম সভা নিয়তই ব্রহ্মসভার দ্বেষ করিয়া থাকেন এবং তাহারা যে গোময় লিপ্ত পবিত্র স্থানে ভোজন পাত্র রাখিয়া পীড়িতে বসিয়া ভোজন করেন আর পুষ্পবিল্বপত্রাদি বহুমূল্য দ্রব্য দেবদেবীর উদ্দেশে ফেলিয়া দেন । তাহাতেই বলেন আপনার পরম ধাৰ্ম্মিক