পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪২ মংবাদ শত্রে মোকামোল কথা কহিতে হইবে ঐ বিতরণীয় টাকাসকল একত্র করিলে এইক্ষণে পৰ্ব্বতাকার টাকা হইত। অনস্তর বিভ্ৰাট সময়ে তিনি ধৈর্য্য প্রকাশ করিয়াছিলেন অত্যস্ত সঙ্কটাবস্থাতেও তাহার মন অবসন্ন হয় নাই । অপর দেউলিয়া হওনের দুই তিন বৎসর পরে পুনৰ্ব্বার ব্যবসায় আরম্ভ করিলেন তাহাতে লাভের মধ্যে যৎকিঞ্চিৎ স্বার্থ রাথিয় অবশিষ্ট কুঠা দেউলিয়া হওয়াতে ক্ষতিগ্রস্ত লোকেরদিগকে ক্ষতিপূরণার্থ কিছুই করিয়া দিলেন। ঐ বিপদসময়েও তাহার এতদ্রুপ বদান্ততা প্রকাশ হইল। এতদেশীয় অনেক ও ইউরোপীয় সাহেবের তাহার দ্বারা ধনবান হইয়াছেন কিন্তু তিনি চরমাবস্থাতে অতিবিপন্ন হইয়া নিঃস্বতাতে ইহলোক ত্যাগ করিলেন । বহু সংখ্যক মিত্রগণ এবং তাহার গুণগণেতে আকৃষ্টান্তঃকরণ এমত বহুতর মহাশয় ব্যক্তি তদীয় কবরের সময়ে উপস্থিত হইয়াছিলেন । ( ৪ জুন ১৮৩৬ । ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১২৪৩ ) গত ৬ ফেব্রুঅারি তারিখে মৃত জান পামর সাহেবের সন্ত্রমার্থে এবং তাহণকে চিরস্মরণ রাখিবার নিমিত্তে র্তাহার সুহৃদ আমাত্যবর্গ এতন্মহানগরের টেনহালে এক সভা সংস্থাপন করিয়াছিলেন তাহাতে শ্ৰীযুত কর্ণল বিটসন সাহেব সভাপতি হওনাস্তর এই নিৰ্দ্ধারিত হইল যে ৮ প্রাপ্ত সাহেবের বন্ধুবৰ্গকর্তৃক একটা চাদ হইয় তাহার প্রতিমূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণ করিয়া কোন এক নিৰ্দ্ধারিত স্থানে সংস্থাপন হয় এই কথা সভাস্থ সৰ্ব্বজনকর্তৃক গ্রাহ হইলে । অবশেষে শ্ৰীযুত বাবু দ্বারকানাথ ঠাকুর ও শ্ৰীযুত বাৰু রামরত্ব রায় এবং কতিপয় মান্ত ইঙ্গলওঁীয় মহাশয়েরদিগের আকুমত্যকুসারে ইহা নিৰ্দ্ধারিত হইল যে এতদ্দেশীয়েরদিগের মধ্যে একটা চাদ হইয়া মোং কলিকাতা কিম্বা ইহার অন্তঃপাতি কোন গ্রামে যে স্থানে দরিদ্র প্রজাগণ জলের নিমিত্তে অত্যন্ত কষ্ট পায় সেই স্থানে উক্ত সাহেবের পুণ্যে একটা পুষ্করিণী খনন হয় তাহাতে উক্ত বাবুরা অনুগ্রহপূর্বক প্রত্যেকে সিঙ্কা ১০০ টাকার হিসাবে চাদার বহিতে স্বাক্ষর করিয়াছেন ••• ১৬ জ্যৈষ্ঠ সন ১২৪৩ সাল । শ্ৰীগঙ্গাপ্রসাদ মজুমদার। ( ৯ ডিসেম্বর ১৮৩৭ । ২৫ অগ্রহায়ণ ১২৪৪ ) বাজার অনেক কমিয়াছে । শিবনারায়ণ পাল ও কাশীনাথ পাল র্যাহার কলিকাতায় ৭ বৎসরাবধি স্থখ্যাতিপূর্বক বাণিজ্য করিতেছিলেন তাহারদের বাণিজ্যের কুঠ দেউলিয়া হইয়াছে। কথিত আছে যে তাহারা ২৫ লক্ষ টাকার কারবার করিতেছিল কিন্তু আমরা শুনিয়াছি উাহারদিগের দুই লক্ষ টাকা লোকসান হইয়াছে এই ক্ষতি এবৎসর আফীন বিক্রয় করাতে হইয়াছে ইহার দায় একটান অংশি কাশীনাথের উপর তাহার ভ্রাতা বিবাদ করিয়া দিয়াছেন কিন্তু তাহার ভ্রাতার এই লোকসান শোধন হইবার অনেক উপায় আছে । —জ্ঞানান্বেষণ ।