পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ned & মংবাদ গাত্রে লোকালের কথা তুলা শিম হইতে অবহেলেই ভিন্ন২ করা যায় এবং চার শক্ত ও সবল ও বারমাস স্থায়ী হয়। চতুর্থত আমেরিকা দেশ হইতে আনীত সাগর উপদ্বীপে উৎপন্ন বীচ যাহা সিআই লেণ্ড নামক উপদ্বীপে জন্মান যায় তাহার নমুনা শ্ৰীযুত জেমস কিড সাহেব সভায় উপস্থিত করেন এবং তাহ দেখিয়া দর্শকের কহিলেক যে বঙ্গদেশে এপর্য্যস্ত যে তুলা জন্মিয় সভার দৃষ্টিগোচর হইয়াছে সে সমুদয়াপেক্ষ ইহা উত্তম এবং এই সময়ে বরদেশে উৎপন্ন উত্তম তুলার যে তুলা ছিল তাহাপেক্ষ ইহার মূল্য তিনগুণ অর্থাৎ ১ সিলিং অবধি এক সিলিং দুই পেন্সি পৰ্য্যস্ত নিৰ্দ্ধারিত হয় । পঞ্চমত সভায় চাষে ও তৎকালে বিদেশীয় বীচে তুলা জন্মণওনার্থে মহান্সদ্যোগ হইতেছিল এবং ১৮৩২।৩৩ সালে তথায় ৪৭০০ পোন তুলা ও ১৪৪০ ০ পোন বীচ উৎপন্ন হয় তাহা উইলিস আঘল কোংদ্বারা লিবরপুল নগরে প্রেরণ করা যায় তৎকালে সভ্যেরা এমত অনুমান করেন যে ঐ তুলা নানাধিক ৭ পেনির হিং পোন বিক্রয় হইতে পারিবেক ফলভ ও গড়ে প্রায় ৭ পেনির হিসাবেই পোন বিক্রয় হইয়াছে কারণ সেই সময়ে তুলার মূল্য তদেশে অতি স্থলভ ছিল নচেৎ এক্ষণকার ভাওয়ে তাহার প্রত্যেক পোন ৯ পেনি পর্য্যন্ত বিক্রয় হইতে পারিত এমত সুখজনক সম্বাদ এদেশে আসিবামাত্রে অবশিষ্ট যে তুলা এখানে ছিল তাহ শ্ৰীযুত কোর্ট অফ ডাইরেকটরদিগকে সভা প্রেরণ করেন তাহা তন্মহাশয়ের প্রাপ্ত্যনস্তর তদ্বিষয়ক যে সম্বাদ পাঠান তন্দ্বারা আমারদের দৃষ্টি হইল ষে অপলেও জিয়রজিয়ার সিটির তুলা প্রত্যেক পোন ২৫ পেনস পৰ্য্যন্ত মূল্যে বিক্রয় হইয়াছে। ঐ রূপ বীচ ভারতবর্ষের স্থানে২ রোপিত হইয়া ক্রমেই আরো মূল্যবান ও উত্তম হইয়াছে তাহা দশাইতে আমারদের পত্রে স্থান সঙ্কীর্ণ হওনাশঙ্কায় তদ্বিষয়ে নিরস্ত হইলাম কিন্তু তদ্বিষয়ক ক্রমেই যে উন্নতিপূৰ্ব্বক দর্শিত হইল বিবেচক লোকেরা তন্দ্বারাই অনুভব করিতে পরিবেন ষে তৎপরে ক্রমে২ অবশ্যই তুলা উত্তম উৎপন্ন ও তাহা মূল্যবান হইয়াছে। অপরন্তু অদ্যাপিও যে শ্ৰীযুত কোর্ট অফ ডৈরেকটরেরা এবিষয়ে যথা সাধ্য উদ্যোগ করিয়াছেন তাহা দৰ্শাওনার্থ পাঠকবর্গের কিঞ্চিৎ ক্ষণেক মনোযোগ প্রার্থনা করি । গত ফেব্রুআরি মাসের শ্ৰীযুত কোর্ট অফ ডৈরেকটরদিগের এক পত্র যাহা ভারতবর্ষের গবর্ণর জেনরল বাহাদুরের নিকট সংপ্ৰতি আসিয়াছে তাহার প্রতিলিপি তত্রস্থ সেক্রেটরি শ্ৰীযুত প্রিন্সেপ সাহেব কুষি বিষয়ক সমাজের অধ্যক্ষ শ্ৰীযুত ডাং প্রাই সাহেবের নিকট পাঠাইয়াছেন তদ্বারা অবগতি হইল যে কোর্ট অফ ডৈরেকটরের এদেশের গবর্ণমেণ্টের প্রার্থনাকুসারে বিলাতের ও তন্নিকটস্থ অন্যান্য দেশের ফুল্লভ ও আশ্চৰ্য্য চার ও বীচ সকল ভারতবর্ষে রোপণার্থ প্রেরণ করিবেন এবং সংপ্রতি তাদৃশ কতক চারা ও বীচ যাহা প্রেরণ করিয়াছেন তাহা শীঘ্ৰ এইদেশে উত্তীর্ণ হওন প্রত্যাশা আছে যদ্যপিও সে সমুদ্বয়ের নাম আমরা ঐ লিপির মধ্যে দৃষ্টি করি নাই তথাচ এই জানিলাম ঐ চারা ও বীচ আহারে এবং ঔষধের প্রয়োজনীয় দ্রব্য জন্মিবে এবং আরো ঐ পত্রে উল্লেখিত আছে যে ১৬ প্রকার বীচ শ্ৰীযুক্তেরা বোম্বাইর গবর্ণমেণ্টের অধীনে পাঠাইয়া প্রার্থনা করিয়াছেন যে তাহা সাহরণপুরের উদ্ভিদ্বিদ্যার উদ্যানে