পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমাজ • 9א"שכא বিচার স্বাভাবিক লোকে পাচ ঠাকুরের দলও বলিয়া থাকে নিবেদন মিতি । কস্যচিৎ ভাটপাড়ানিবাসিনঃ ॥ ( ১৩ আগষ্ট ১৮৩১ । ২৯ শ্রাবণ ১২৩৮ ) হিন্দুর পৈতৃকবিষয়ক ব্যবস্থা –সম্বাদপত্রের দ্বারা আমরা অবগত হইলাম যে সুপ্রিম কোর্টের সম্প্রতিকার এক মোকদ্দমায় সর চার্লস গ্রে সাহেব এমত এক বচন দিলেন যে পিতা আপনার পৈতৃক বিষয় স্বেচ্ছাক্রমে পুত্রেরদিগকে অসমানরূপ বিভাগ করিয়া দিতে পারেন না। বোধ হয় যে শ্ৰীযুত চীফ জুষ্টিস সাহেব নীচে লিখিতব্য ডিক্রীর উপর নির্ভর রাখিয়া এই বচন দিলেন ১৮১৬ সালের যে মোকদ্দমায় ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ফরিয়াদী ও তাহার পিতা রামকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় আসামী সেই মোকদ্দমায় বঙ্গদেশীয় আপীলবিষয়ে সদর দেওয়ানী আদালতে ফম্বেল সাহেব ও হারিংটন সাহেব ডিক্ৰী করেন । এ মোকদ্দমার প্রস্তাবে শ্ৰীযুত মেকনাটন সাহেব ইহা কহেন যে ঐ ডিক্রীক্রমে এই আজ্ঞা হয় যে পিতা আপন পুত্রেরদের মধ্যে স্বীয় পৈতৃক স্থাবর বিষয় অসমানাংশে বিলি করিলে তাহ বেআইনী ও বাতিল । উক্ত আছে যে শ্ৰীযুত সর চার্লস গ্রে সাহেব উক্ত মোকদ্দমায় পণ্ডিতেরা যে ব্যবস্থা দিলেন তন্তুষ্টে কহিয়াছেন যে পৈতৃকবিষয়ে হিন্দুরদের কেবল জীবনপৰ্য্যন্ত সম্পর্ক আছে এবং তাহা লইয়া তিনি যথেচ্ছাচার করিতে পারেন না । এবং হিন্দুরা উইল করিলে তাহা বেআইনী হয় । এতদ্রুপ বচনেতে সকলেই ভীত হইয়াছেন যেহেতুক পিতা পুত্রেরদিগকে এতদ্রপে পৈতৃকবিষয় অসমানাংশরূপে বিভক্ত করিয়া দিতে অবশ্য পারেন ইহার উপর নির্ভর: রাপিয়া ভূম্যাদির বিক্রয় ও হস্তাস্তর চিরকাল হইয়া আসিতেছে এবং এতদ্রুপ বিভাগকরণ বহুকাল স্থাপিত ব্যবহার এবং অতিবিজ্ঞ স্মাৰ্ত্ত পণ্ডিত ও আদালতের ডিক্ৰীদ্বারা মঞ্জুর হইয়াছে । ষে দুই পণ্ডিতের ব্যবস্থাতে সদর দেওয়ানী আদালতে ডিক্ৰী করেন তাহারদের নাম চতুভূজ ন্যায়রত্ব ও স্বব্রহ্মণ্য শাস্ত্রী । অপর দৃষ্ট হয় যে ইহার পূর্বে এক মোকদ্দমায় বিশেষতঃ যে মোকদ্দমায় রামকুমার ন্যায়বাচস্পতি ফরিয়াদী ও ক্লষ্ণকিঙ্কর তর্কভূষণ আসামী সেই মোকদ্দমায় পূৰ্ব্বোক্ত ব্যবস্থার বিপরীত ব্যবস্থা উক্ত পণ্ডিতেরা দিয়া কহিয়াছিলেন যে পিতা আপনার পৈতৃকবিষয় পুত্রেরদিগকে অসমানাংশরূপে দান করিতে পারেন । কিন্তু শেষোক্ত মোকদ্দমার রিপোর্ট হইতেই চতুভূজ ন্যায়রত্বের লোকান্তর গমন হইল। পরে স্বব্রহ্মণ্য শান্ত্রিকে উক্ত ব্যবস্থার বৈপরীত্যবিষয়ে জিজ্ঞাসাকরাতে তিনি কহিলেন যে আমি প্রথম যে ব্যবস্থা দিয়াছিলাম সেই প্রকৃত শেষ অপ্রকৃত । শ্ৰীযুত সর ফ্রান্সিস মেকনাটন সাহেব হিন্দুর ব্যবস্থার বিষয়ে যে গ্রন্থ প্রকাশ করিয়াছেন তন্মধ্যে লিখেন যে সদর দেওয়ানী আদালতের শেষোক্ত ব্যবস্থা অকিঞ্চিৎকর । হিন্দুর ব্যবস্থার বিষয়ে কোলবোরক সাহেব অতিপ্রামাণিক। ১৮১২ সালে মাম্রাজের চীফ জুষ্টিস শ্ৰীযুত সর তামস স্ত্রেঞ্চ সাহেব হিন্দুরদের উইলবিষয়ে তাহাকে জিজ্ঞাসা