পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जनश्रांझ gove যদি বলেন যে ইঙ্গলওঁীয় রাজকৰ্ম্মকারিদিগের বেতনের লাঘব করিলে ব্যয়ের অল্পতা হইতে পারে আমার জানিত ষেপৰ্য্যস্ত অল্পকরণ সম্ভব তাহার উদ্যোগের ও অনুষ্ঠানের ক্রটি দেখিতেছি না কিন্তু ইহাও বিবেচনা কৰ্ত্তব্য যে ঐ বিজ্ঞবরের বিপুলধন ব্যয়পূর্বক স্বশিক্ষিত হইয়া কেবল ধন লোভে মহাঘোর সমূদ্র ও দুর্গম পথ অতুল ক্লেশে উত্তীর্ণ হইয়া ভারতবর্ষে আগমনানস্তর অন্মদাদির দেশ রক্ষার্থে প্রায় অধিকাংশ ব্যক্তি যথাসাধ্য নিরপেক্ষতারূপে পরিশ্রম করেন ইহাতে র্তাহারদিগকে প্রচুর বেতন দেওয়াই বিচারসিদ্ধ নচেৎ অল্প বেতন প্রদানে নানারূপ বিপরীত মন্দাচরণের সম্ভাবনা । আমার বোধে কোন ব্যক্তি বিশেষ বলবৎ স্বত্বব্যতিরেকে নিষ্কররূপে ভূমির উপস্বত্বাদি ভোগকরার স্বত্বাধিকারী নহেন যেহেতু বিবেচনা করুন যে দেশের তাবৎ প্রজা রাজশাসনকর্তৃক দস্থ্য ও তস্বরাদি অন্য২ উপদ্রবে তুল্যরূপে রক্ষিত ও বিচারিত হইতেছেন তবে কি বিশেষ কারণে কাহারো স্থানে ভূমির কর গ্রহণ করা ও কাহাকে নিষ্কররূপে দেওয়া যাইবেক যুক্তিসিদ্ধ সাধারণের মঙ্গলার্থে র্যাহারা স্বোপার্জিত ধন ব্যয় করিয়াছেন অথবা দেশের শুভার্থে বিশেষ সংগ্রামাদিতে র্যাহারা স্বার্থ বিহীন হওত ক্লিষ্ট হুইয়াছেন এরূপ ব্যক্তি ভিন্ন অন্য কোন জন নিষ্কররূপে ভূমি প্রাপ্ত হওনের কদাচ যোগ্য নহে এবং কোন রাজা কোন ব্যক্তিকে উক্ত কারণবিশিষ্ট নহিলে নিষ্কররূপে ভূমি প্রদান করার ক্ষমতাপন্ন নহেন যেহেতু দেশ ও ভূমিতে সাধারণের তুল্য স্বত্ব রাজা কেবল সদসদ্বিবেচনা ও বিচারের অধিকারী মাত্র। যদি কথিত হয় যে জবনের যুদ্ধ বিগ্ৰহেতে এদেশ বলপূর্বক আক্রমণ করিয়া স্বাধীনত্বরূপে তাবৎ ভূমির স্বত্বাধিকারী হইয়াছিলেন অতএব তাহারা নিষ্কররূপে ভূমি প্রদানে অবশ্য২ ক্ষমতাবিশিষ্ট হইবেন এবং ইষ্টইণ্ডিয়া কোম্পানি সন্ধিপত্রের নিয়মানুসারে দিল্লীর বাদশাহের নিকট এরাজ্যের দেওয়ানী ভার প্রাপ্ত হন তাহাতে অনেকরুপ প্রতিজ্ঞাদি আছে তদনুসারেও জবন বাদশাহের দত্ত নিষ্কর ভূমির কর গ্রহণ করা উচিত হয় না এ আপত্তি ভঞ্জনার্থে আমার নিজাভিপ্রায় বক্তব্যের পূর্বে এই বলিতেছি যে বৰ্ত্তমান রাজকৰ্ম্মাধ্যক্ষ বা চলিতাইনানুসারে ইষ্টইণ্ডিয়া কোম্পানি দেওয়ানী প্রাপণের পূর্বে অর্থাৎ ইং সন ১৭৬৫ সালের অগ্ৰে যে সকল নিষ্করভূমি দত্ত হইয়াছে যাহার যথার্থ নিদর্শন পত্রাদি নিঃসন্দেহরূপে প্রাপ্ত হয় তাহা কর গ্রহণ হইতে বর্জিত রাখিয়াছেন ফলিতাৰ্থ এ অকিঞ্চনের বোধে জবনের যে বলপূর্বক দম্বার স্তায় এদেশাধিকার করেন অতএব যথার্থ বিচার করিলে ঐ অপহ্নবকারিদিগের অবিহিত দান কোনরূপে সিদ্ধ থাকিতে পারে না যেমন কোন নিয়মানুসারেই দক্ষ্যবৃত্তির ধনের দান প্রসিদ্ধ হয় না বিশেষতঃ ইষ্টইণ্ডিয়া কোম্পানি যৎকালীন দিল্লীর বাদশাহের সহিত সন্ধিপত্র করেন তখন ঐ বাদশা রাজ্যভ্রষ্ট ছিলেন অর্থাৎ স্থানেই অনেক ব্যক্তি বলপূর্বক স্বাধীন হইয়াছিল ইষ্টইণ্ডিয়া কোম্পানি অগ্রপশ্চাৎ অনেক কারণ বিবেচনা করিয়া তৎকালীন রাজবিদ্রোহিদিগের ক্ষান্ত ও নিবারণার্থে এরূপ সন্ধিপত্র করেন নচেৎ ইষ্টইণ্ডিয়া কোম্পানির বুদ্ধির কৌশলে তথা চতুরতাপ্রযুক্তই এদেশ হস্তগত হয়।