পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नञोज्ज 88ළු এতদ্রুপে আমারদের যথার্থবিচার প্রাপণের যে ভরসা ছিল তাহা দূরগত হইল আনন্দকুমারী ও প্যারিকুমারীর মোহর বদ্ধমান ২১ জুন ১৮২৪ । ( ১২ জাঙ্গুয়ারি ১৮৩৯ । ২৯ পৌষ ১২৪৫ ) প্রতাপচন্দ্রের মোকদ্দমা । .ষষ্ঠবিংশ দিবস। ৩ জানুআরি।—কলিকাতা নিবাসি ডেবিড হের সাহেব সাক্ষ্য দিলেন আমি কলিকাতাস্ত চিকিৎসালয়ের সেক্রেটরী যখন বৰ্দ্ধমানের রাজা প্রতাপচন্দ্র কলিকাতায় থাকিতেন তখন তাহার সঙ্গে সাক্ষাৎ করণের আমার অনেক উপায় ছিল তাহা ১৮১৭১৮ সালে হয় । আমি ছয় সাত বার রাজার সঙ্গে চৌরঙ্গীতে তাহার বাটীতে যাইতাম প্রত্যেকবার এক ঘণ্টা সওয়া ঘণ্টা পৰ্য্যন্ত থাকিতাম আমার বোধ হয় আসামী রাজা প্রতাপচন্দ্রের ঠিকতুল্য। মাজিস্ত্রেট সাহেবের আদালতের নিকটবর্তি কুঠরীস্থ ছবি আমি দেখিয়াছি ঐ ছবির সঙ্গে আমি আসামীর অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বিষয়ে অতিসূক্ষ্ম রূপে বিবেচনা করিলাম এবং আসামীর নাসিক ও ছবির নাসিক ও চক্ষু তুল্যই দেখিলাম এবং থুতি ও অধর ছবির সদৃশষ্ট আছে। ছবির মুখ ও রং আসামী অপেক্ষ কিঞ্চিং ভারি ও গৌরবর্ণ কিন্তু সামান্য আকার তুল্যই আমার বোধ হয় যে আসামী পূৰ্ব্বাপেক্ষ কিঞ্চিং রুশ ও ক্লষ্ণবর্ণ হইয়াছেন আসামী রুশ হওয়াতে প্রথমত আমার বোধ ছিল যে রাজ অপেক্ষ BBBBS BB BB BBB BBBS S BBB BBBS BB BBB BBBBB BB BBB ঠিক প্রতাপচন্দ্রের তুল্য লম্ব অর্থাৎ আমা অপেক্ষ কিঞ্চিৎ লম্বা প্রতাপচন্দ্রও এই রূপ দীর্ঘ ছিলেন আমি অদ্য জেহেলখানাতে আসামীকে দেখিয় তাহার সঙ্গে কথা ককিলাম প্রথমত আসামীর স্মরণ ছিল না যে আমি রামমোহন রায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়া ছিলাম কিন্তু কিঞ্চিৎ পরে কহিলেন যে তুমি রামমোহন রায়কে সঙ্গে করিয়া আমার ঘরে আসিয়াছিল। এবং তোমার সঙ্গে বন্দুকের সিন্দুকের ন্যায় একটা সিন্দুক ছিল তাহার মধ্যে একটা দুরবিণ ছিল সেই দুরবিণের দ্বারা আমরা উভয়ে ছাদের উপরে উঠিয়া চন্দ্র দেখিলাম তিনি আরো কহিলেন যে তোমার নিকটে অতি আশ্চৰ্য্য এক পিজর ছিল তাহার মধ্যে দুই পক্ষী ছিল । তদ্রুপ পিজরা আমার নিকটে ছিল তাহা আমি তৎপরে অযোধ্যার রাজাকে দিলাম আমি সেই পিজরা কখন রাজা প্রতাপচন্দ্রকে দেখাই নাই কিন্তু হইতে পারে যে আমার কোন চাকরে তাহাকে দেখাইয়া থাকিবে । তিনি দুরবিণের বিবরণ অতিস্থঙ্করূপে কহেন নাই কিন্তু তাহার লম্বাইর কথা ঠিক কহিলেন । যে জিজ্ঞাসার বিষয় অামি আসামীকে কহিলাম তাহা আমি কখন কোন ব্যক্তিকে কহি নাই কেন না তাহার প্রত্যাগমনের বিষয় এবং তাহার মৃত্যু ও জমাদারী ত্যাগ করিয়া যাওনের বিষয় অতি বিরুদ্ধ জনরব শুনিয়া বোধ হইল ইহাতে আমাকে সাক্ষী মানিতে পারে অতএব এই সকল জিজ্ঞাসা আমি গোপনে রাখিলাম । অন্ত উাহাকে দেখনের পূর্বে র্তাহার প্রত্যাগমনের পর আমি দুই বার দেখিলাম একবার পানীহাটিতে রাজকৃষ্ণ চৌধুরীর বাটার নাচে গিয়াছিলেন তৎ সময়ে আসামীর দাড়ি ছিল