পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जआईजुङ्ग 896: ( ১৯ মে ১৮৩৮ । ৭ জ্যৈষ্ঠ ১২৪৫ ) মহামহিম শ্ৰীযুত দর্পণ প্রকাশক মহাশয়েযু —জিলা হুগলির সেওড়াপুলির জমিদার / প্রাপ্ত হরিশ্চন্দ্র রাজা বৈদ্যবাটীর পুরাতন হাটের স্থান সঙ্কীর্ণপ্রযুক্ত অথবা ঐ হাটে দুই তিন জমিদারের সম্পর্ক থাকাতে বা অন্য কোন কারণ প্রযুক্তই হউক অনেক ব্যয়ব্যসন পূর্বক দরবার করত আপনার জমিদারি সেওড়াপুলিতে ঐ পুরাণহাট ভাঙ্গিয়া বসান । বিশেষত রাজা অনেক টাকা ব্যয়পূর্বক বহুসংখ্যক ঘর প্রস্তুত করিয়া দিয়া ঐ সোণার হাট বসাইয়া মাত্র স্বৰ্গীয় হাট করিতে গেলেন । এইক্ষণে খেদের বিষয় যে এই হাটের উত্তরাধিকারিণী দুই রাজমহিষী দুই পোষ্য পুত্ৰ করিয়াছেন ঐ বালকেরা এইক্ষণে নাবালগ এবং রাণীরাও অবলা জমিদারীও হস্তান্তর ইতিমধ্যে কলিকাতা নিবাসি অতিধনাঢ্য বাবু শ্ৰীযুক্ত আশুতোষ দেব মহাশয় ঐ হাটের নিকটস্থ দেবগঞ্জ নামক এক গঞ্জ বসাইয়া ছিলেন, কিন্তু অনেক টাকা ব্যয় ভূষণ করিয়াও তাহাতে প্রায় তাদৃশ কৃতকাৰ্য্য না হওয়াতে এইক্ষণে ঐ নাবালগ বালক ও ঐ অবলারদের হাটের উপর বল প্রকাশ করত ঐ হাট ভাঙ্গিয়া আপনারদের ভগ্ন দেবগঞ্জ পূরণ করিতেছেন এবং শুনা গিয়াছে কলিকাতাস্থ ব্যাপারি লোকেরদিগকে অনেক টাকা দিয়া ঐ দেবগঞ্জের নীচে ভূরি২ নৌকা শনি মঙ্গল বারে বন্ধন করিয়া রাখেন যদ্যপি কলিকাতাস্থ ব্যাপারি লোক রাজার হাটে না যায় সুতরাং রাইয়ত লোকের দ্রব্যাদি বিক্রয় না হইলে দেব বাবুর হাটে আসিতেই হইবেক ইহাতে দেববাবুর কিছু পৌরুষ নাই উক্ত রাজা বৰ্ত্তমান থাকিলে প্রশংসা হইত। কস্যচিৎ পরদুঃখ কাতরস্ত । ( ২১ জুলাই ১৮৩৮ । ৭ শ্রাবণ ১২৪৫ ) পরম পূজনীয় শ্ৰীযুত বাবু প্রসন্নকুমার ঠাকুর মহাশয় শ্ৰীচরণেষু —প্রণামা নিবেদনং বিশেষঃ জেলা পুরণিয়ার ধরমপুর পরগণার মধ্যে ৮রাজা মাধব সিংহের স্থানে সরকার বাহাদুরের বাকী খাজানা আদায় জন্য প্রথমত তস্য জমীদারি বিক্রয় হইয়া সরকারের পাওনা সকল সঙ্কলন না হওয়াতে পরে তস্য লাখেরাজ অর্থাৎ এলামাত মহাল নামক মৌজে জীবন গঞ্জ ও রায়ীসরি ও চরণ ও মহারাজগঞ্জ তৎপটী সম্মিলিত শ্ৰীযুত গবরনর কৌনসলের ও সাহেবান সদর বোর্ডের হুকুমাহুসারে খালিসাসরিফার সন ১৭৮৯ সাল ইঙ্গরাজী ১৪ আকটোবর তারিখে নীলামে বিক্রয় হওয়ায় বহুডান সাকিনের নবকান্ত দাস নামক একব্যক্তি নীলাম খরিদ করিয়া বয় নামা ও আমল নাম পাইয়া মফঃসল দখলীকার থাকিয়া পরে ঐ দাস মজকুর বাঙ্গাল সন ১২১১ সালের ২৭ বৈশাখে ঐ নীলাম খরিদাবস্তু আমার শ্বশুর ৮ বাবু প্রাণক্লষ্ণ সিংহ মহাশয়ের নিকট মবলগে ১৩৫০০ টাকা পণ বাহাতে খোষ কবালায় বিক্রয় করে তদবধি আমার শ্বশুর ও স্বামী ও পুত্র ঐ বিষয়ে দখলকার থাকিয় ঐ এলামাত মহালের সালিয়ানা উপস্বত্ব কমবেস চারি হাজার টাকা সন২ পাইয়া শ্ৰীশ্ৰী ৮ সেবা করিয়া আসিতেছিলেন উক্ত ব্যক্তিদিগের লোকান্তর পরে বিষয়ের অধিকারিণী আমি এইক্ষণে জেলা মজকুরের ডেপুটি কালেকটর সাহেব 4 ఫి