পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अश्रांछ 8ساS সভানামক এক সভা সংস্থাপন করেন কিঞ্চিৎকাল ঐ সভায় কএক জন লোক যাতায়াত করিয়াছিলেন যেহেতুক তাহারদের অনুমান হইয়াছিল যে এই সমাজদ্বারা বুঝি এদেশের কিছু উপকার জন্মিতে পারে অবশেষে জানিলেন যে সৰ্ব্বনাশের বীজরোপণ করিতে চাহেন অর্থাৎ ঐ সভায় কেবল দেবদ্ধিজাদির দ্বেষমাত্র প্রকাশ হয় তথন সকলে সতর্ক হইলেন ফলতে ভদ্রলোকসকল ঐ সভায় পুনর্গমনাগমন করিলেন না তাহাতেই সে সমাজ ছিন্নভিন্ন হইল। এবং তাহার আহার আচার ব্যবহার হিন্দুর ধারামত নহে ইহাও ব্যক্ত হইল। তৎকালাবধি রামমোহন রায় হিন্দুরদের ত্যজ্য হইলেন ইহারে এক প্রমাণ লিখি । অনেকের স্মরণে থাকিবেক যে পূর্বের চিফজুষ্টিস সর এন্ড বার্ড হাইডইষ্ট সাহেব যখন হিন্দু কালেজ স্থাপন করেন তখন নগরস্থ প্রায় সমস্ত ভাগ্যবস্তু লোক উক্ত সাহেবের অনুরোধে এবং দেশের মঙ্গল বোধে অনেক২ টাকা চান্দা দিলেন ইহাতে হাইডইষ্ট সাহেব তুষ্ট হইয়া কলেজের নিয়ম করিয়াছিলেন তাহাতে এতদ্দেশীয় মহাশয়েরদের মধ্যে উপযুক্ত পাত্র বিবেচনা করিয়া ঐ পাঠশালায় কৰ্ম্মাধ্যক্ষ নিযুক্ত করিলেন তন্মধ্যে রামমোহন রায় গ্রাহ হইলেন না যেহেতু তাবৎ হিন্দুর মত নহে । দ্বিতীয় প্রমাণ । রামমোহন রায় হিন্দুরদের সমাজে গ্রাহ হওয়া দূরে থাকুক তাহার সহিত সহবাস ছিল এই অপরাধে এক জন অতিমান্য লোকের সন্তান বিদ্বান এবং অনেক ধনদানে বিলক্ষণ সক্ষম তিনিও তৎপদে নিযুক্ত হইতে পারিলেন না তাহাকে তৎপদাভিষিক্তকরণাশয়ে সদর দেওয়ানীর জজ মেং হেরিংটন সাহেব বিশেষ অনুরোধ করিয়াছিলেন তাহাও রক্ষণ হইল না । রামমোহন রায়ের সহবাসে এতাদৃশী দুরবস্থা লোকের ঘটিয়াছে আহার ব্যবহার করিলে কি হইত বলা যায় না এ কথা বিলাতে ইষ্টে সাহেবকে জিজ্ঞাসা করিলে সপ্রমাণ হুইবেক । রামমোহন রায় অনেককালাবধি অনেক প্রকার ভাষা গ্রন্থ ছাপা করিয়া লোককে প্রদান করিয়াছেন তাহা প্রাপ্তিমাত্র সাধুসকল তুষ্ট না হইয়া মহারুষ্টপূৰ্ব্বক মিসন্তরি সাহেবেরদের রচিত গ্রন্থের ন্যায় অগ্রাহ করিয়াছেন যেহেতু তাহাতে যাহা লেখেন তাহার তাৎপৰ্য্য স্বেচ্ছাচারি হওয়া উত্তম দেবদেবীপূজা অপক্লষ্ট কৰ্ম্ম এবং পিতৃমাতৃশ্ৰাদ্ধতপণাদি ত্যাগ করিলে ক্ষতি নাই । ইহা এ প্রদেশের ইতর লোকের বালকেও বিশ্বাস করে না । রামমোহন রায় আপন গ্রন্থে ঐ বিষয় বারম্বার প্রকাশকরাতে কএক জন অবোধ এবং কএক জন ধনহীন কেহ বা তাহার অধীন ঐ মতাবলম্বী হইল । অপরঞ্চ রামমোহন রায় হিন্দু কলেজের অধ্যক্ষতায় নিযুক্ত হইতে পারিলেন না একারণ মনোভীষ্ট সিদ্ধির ব্যাঘাতে ব্যাকুল হইয়া অপমান বোধে তদুঃখ । মোচনার্থ ইঙ্গরেজী বিদ্যাভ্যাসের এক পাঠশালা স্থাপিতা করিলেন তাহার তাৎপৰ্য্য এই যে অধিকবয়স্ক ব্যক্তি সকল তাহার বাক্য অগ্রাহ করেন অতএব বালককে উপদেশ করিলে অবশু বহু হইবে । ক্রমেই ঐ পাঠশালায় শিক্ষিত ক্ষুদ্রজাতীয় বালক সকল তন্মতাবলম্বী হইল ভদ্র লোকের ○ 。