পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(teషి মৃংবাদ পত্রে মেকালের কথা বিরুদ্ধপক্ষে ছিলেন । আসামীর সঙ্গে ঐ উকীলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কথাকাতে ফরিয়াদী বোধ করিলেন যে ঐ উকীল আসামীর পরামর্শ সম্পূর্ণরূপে গ্রহণ করিয়াই আদালতে সওয়াল জবাব করিয়া থাকেন এইপ্রযুক্ত আসামী একেবারে তাহার ক্ৰোধপাত্র হইলেন অতএব ফরিয়াদী আসামীর প্রতি জাতক্রোধ হইয়াই আসামীকে এককালে বিনষ্টকরণার্থ এই নালিশ করিয়াছেন এবং ফরিয়াদী ভরসা করেন যে র্তাহার সন্ত্রম ও প্রতাপপ্রযুক্ত র্তাহার পক্ষেই জয় হইবে এবং র্তাহার এমত অসংখ্যক ধন আছে যে ঐ ক্রোধাকুরূপ ইষ্টসিদ্ধ হওয়াতে আসামীকে যদি একেবারে বিনষ্ট করিতে পারেন তবে নালিশের ভূরি২ ব্যয়ের নিমিত্ত র্তাহার ক্ৰক্ষেপও হইতে পারে না । জওয়াব ফরিয়াদী আপন নালিশের হেতুবাদ সকল যে সেপ্রকারে স্থির রাখিয়া অধিক কথার মধ্যে এই লিখিলেন ষে আসামীর পিতা তাহার অতিসম্রাস্ত মোস্তাজের মধ্যে গণ্য ছিলেন এবং তাহার সঙ্গে অত্যন্ত আত্মীয়তা ছিল। যখন২ তাহার স্থানে কিস্তিবন্দির টাকু চাহিতেন তখনি তিনি এই ওজোর করিতেন যে এইক্ষণে আমার দেওনের কিছু সঙ্গতি নাই র্তাহার মরণোত্তর ঐ টাকার দাওয়া তাহার উত্তরাধিকারী জগমোহন রায়ের নিকটে করা যায় এবং তাহার মরণোত্তর তাহার পুত্ৰ গোবিন্দপ্রসাদ রায়ের স্থানে করা গেল কিন্তু তাহারা উভয়েই নানা ওজোর ও টালমাটাল করিয়া টাকা দিলেন না ফরিয়াদী আসামীর ষে নানা মহোপকার করিয়াছেন সেসকল বিস্মৃত হইয়৷ এইক্ষণে ফরিয়াদীর দাওয়া লোপ করণার্থ আগামী ১৭৯৩ সালের ৩ আইন দেখাইতেছেন কিন্তু ১৮০৫ সালের ২ আইনে পাওনবিষয়ের দাওয়াকরণার্থ ষাইট বৎসরপর্য্যন্ত মিয়াদ নির্দিষ্ট আছে অতএব ঐ আইন দশায়নে কি হইতে পারে । জওয়াবলজওয়াব ৷ আসামী আপন জওয়াবে যাহা লিখিয়াছেন তাহাই জওয়াবলজওয়াবে পুনৰ্ব্বার লিখিতেছেন অধিকন্তু এই লেখেন যে কোন পুত্র যদি পিতার সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হন তবে পিতার কর্জের দায়ী, বটেন কিন্তু পিতা জীবৎ থাকিতে যদি পুত্র পিতার সঙ্গে পৃথক হন এবং পিতার সঙ্গে সম্পর্ক না রাখিয়া কেবল স্বীয় উদ্যোগেই টাকা উপার্জন করেন এবং যদি পিতার মরণোত্তর পিতার সম্পত্তির কিয়দংশও উত্তরাধিকারিস্বরূপে প্রাপ্ত না হন তৰে শাস্ত্র ও ব্যবহারানুসারে কোন প্রকারেই এমত পিতার কর্জের দায়ী পুত্র হইতে পারেন না বটে । - আসামী গোবিন্দপ্রসাদ রায়কে হাজিরকরণার্থ যদ্যপি ইয়ালামনামা তাহার নামে বাহির হয় তথাপি তিনি স্বয়ং বা উকীলের দ্বারা হাজির হন নাই । 's প্রবিনস্তল আদালতের জজ শ্ৰীযুত ব্রাডন সাহেব অতিমনোযোগপূর্বক তাবৎ কাগজপত্র দৃষ্টি করিয়৷ এই স্থির করিলেন যে খত সহীকরণের পর রামকান্ত রায় ছয় বৎসরপর্য্যন্ত জীবদ্দশায় থাকিতে ফরিয়াদী তাহার উপর যে কখন দাওয়া করিয়াছিলেন এমত প্রমাণ দশাইতে পারিলেন না । জগমোহন রায় ও গোবিন্দপ্রসাদ রায়ের উপর ফরিয়াদী যে দাওয়া