পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q>" মংবাদ গকে মোকাশের কথা কোন অঙ্গ অবিকল ছিল না । উত্তর ইটালির রাস্তার দক্ষিণ পশ্চিম পাশ্বস্থ গারদের নিকটে অপর একজন সন্ন্যাসী পিঠ ফুড়ে ঘুরিয়াছিল অন্য এক সন্ন্যাসী মদ্যপানে মত্ত হইয়া জঙ্ঘাতে বাণ বিদ্ধ করত প্রায় তিন পোয় ঘণ্টাপৰ্য্যস্ত ঘূর্ণায়মান ছিল পরে তাহার অবরোহণসময়ে হুস হইয়া কহিল যে অত্যন্ত্রকালমাত্র আমি পাক খাইলাম বোধ হয় । [ বেঙ্গল হেরল্ড ] ( ২৭ এপ্রিল ১৮৩৩ । ১৬ বৈশাখ ১২৪০ ) - গত সন্ন্যাসবিষয়ক নীলের উপাখ্যান –দেশ দেশান্তর ভ্রমণকারিরা কহেন যে পৃথিবীতে যত জাতি আছে তাহার মধ্যে হিন্দু জাতির আচার ব্যবহার অত্যাশ্চৰ্য্য এবং বহুকালাবধি ইহঁারা যেরূপ কৰ্ম্ম করিয়া আসিতেছেন তন্দ্বারাই এ জাতি বিলক্ষণ পরিচিত আছেন যে সকল ভ্রমণকারির পাঠকবর্গের অগোচর আশ্চৰ্য্য২ বিষয় দর্শন করিয়াছেন তাহারা উপরোক্ত কথা সপ্রমাণ করিয়া কহিয়াছেন এবং এতদেশীয় লোকেরাও ঐমত বোধ করিবেন হিন্দুদিগের ੇਖੋ একটা সামান্ত কথা প্রচলিত আছে যে প্রাচীন মদিরিক ও বন্ধু অত্যন্ত প্রিয়পাত্র এতদ্বিষয়ে যদ্যপি ইঙ্গলওঁীয়েরা স্থধারাকরণে অমুকুল হন তবে হিন্দুরা বলিবেন যে প্রাচীন ব্যবহার প্রাচীন মদিরিকা ও বন্ধুহইতেও অধিক গুরুতর। উপরে যাহা বর্ণন করা গেল তাহার তাৎপৰ্য্য এই যে এতদ্বিষয়ে কিছু উদাহরণ দর্শন যায় ও অস্মদেশীয় লোকেরা এরূপ উদাহরণদিকে অতিযথার্থ বোধ করে । কিন্তু গত সন্ন্যাসবিষয়ক নীলোৎসব দর্শন করিয়া তদ্বিষয়ে কিঞ্চিৎ উক্তিকরাতে পাঠকগণের সন্তোষ জন্মিতে পারে যেহেতুক চরকপূজার বিষয়ে সৰ্ব্বসাধারণের বিশেষ মনোযোগ প্রার্থনা করা গিয়াছিল। অতএব এখনও তদ্বিষয়ে কিঞ্চিৎ বক্তব্য প্রকাশ করিবার স্থসময় বটে। চিৎপুরের রাস্তায় অসংখ্য ঢাকের মহাশব্দ এবং রাস্তার উভয়পাশ্বের বাটীর বারান্দার উপর লোকের মহাকোলাহল হয় । সন্ন্যাসির দলসকল বাণপ্রভৃতি ফুড়িয়া বাস্থ্যসহিত আসিল এই সকল ব্যাপার বেলা ৯ ঘণ্টাপৰ্য্যন্ত দেখা যায় পরে তামাস যাহা দর্শনার্থে অনেক লোক জমা হয় তাহার ক্রমে কম হইয়া আসিতে লাগিল। বঁাশ বাকারি ও কাগজমণ্ডিত একটা পাহাড় নিৰ্ম্মিত হইয়া নীল ও রক্তবর্ণের রং করা গিয়াছিল তদুপরি একটা প্রকাণ্ড মন্দির তন্মধ্যস্থিত কাগজে নিৰ্ম্মিত হিন্দুর দেবতারা ইহাই দেখিয়া প্রথমে দর্শকগণের চমৎকার ভাবিলেন ইহাতে তামাসা এই আছে যে কএকটা সোলার পুত্তলিকা বানাইয়াছিল তৎপথে একখান ময়ুরপঙ্খী দেখা গেল তাহা বঁাশ বাকারিদ্বারা নিৰ্ম্মাণ হয় মুখটা ময়ূরাকার তাহাতে নানা চিত্র বিচিত্র করা গিয়াছিল তাহার উপরে কএক জন লোকেতে গান বাস্থ্যকরত দাড় ফেলিতেছিল । তাহা একটা পাঠশালার ন্যায় কিন্তু বালকের নহে সেটা প্রকাগু মন্থন্ত্যের বিদ্যালয় ইহার গুরুমহাশয় ছাত্ৰগণের মুখত দেখিয়া লজ্জিত হইয়া কহিলেন আমি ইহারদিগকে আর মারিয়া সোজা করিতে পারি না । লোকেরা হাসিতে ২ ঘণ্টা করতাল ধ্বনি শ্রবণ করিতে পারিলেন। পরে গোদযুক্ত একটা বৃদ্ধ পুষ্প চন্দনাদিদ্বারা শরীর আবৃতকরত