পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্ম ծ Ֆ:» ( ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৮৩১ । ১৬ ফাল্গুন ১২৩৭ ) নববাবুদিগের নবকীৰ্ত্তি -যদ্যপি নীচের লিখিত বিষয় গ্রহণযোগ্য নহে কিন্তু গুণজ্ঞ মহাশয়ের ঔদাস্ত না করিয়া অবশ্যই বিবেচনার দ্বারা ইহার কারণানুসন্ধান করিবেন এতদুৎসাহে উৎসাহী হইয়া ভবদীয় সন্নিধানে প্রেরিত করিলাম আপনি কৃপাবলোকন করিয়া পাঠকবর্গকে অবগত করাইবেন বাশবাড়িয়া নিবাসিনঃ ৮ মথুরামোহন মুখোপাধ্যায়ের পুত্ৰ শ্ৰীযুত শ্ৰীনাথ মুখোপাধ্যায় ও y রামলোচন গুণাকরের পুত্র শ্ৰীযুত কৃষ্ণকিঙ্কর গুণাকর এবং শ্ৰীযুত নবকিশোর বাবুর পুত্ৰ শ্ৰীযুত মতিলাল বাবু এই কএক জন বাবু একত্র হইয়া মোং কাচড়াপাড়ার অন্তঃপাতি পাচঘরা সাকিনে এক জন পোদের ভবনে এক ইষ্টকনিৰ্ম্মিত বেদি তদুপর চৌকী এবং তদুপরে কুস্কম মাল্য প্রদানপূর্বক পরম মুখে পরম সত্যনামক বেদি স্থাপন করিয়া বহুবিধ খাদ্যদ্রব্য আয়োজনপূর্বক বিবিধ বর্ণ প্রায় পঞ্চ সহস্ৰ লোক এক পংক্তিতে বসিয়া অন্নব্যঞ্জনাদি ভোজন করিয়াছেন এবং ত্রিবেণী ও বঁাশবেড়িয়া ও হালিশহরনিবাসি প্রায় শত ব্রাহ্মণ নিমন্ত্রিত হইয়া এক এক পিত্তলের থাল ও সন্দেসাদি বিদায় পাইয়াছেন এবং তৎস্থানে ফিরিঙ্গীতে বাইবেল পুস্তক পাঠ করিয়াছে এবং মুসলমানে কোরাণ পাঠ করিয়াছে এবং ব্রাহ্মণ পণ্ডিত গীত পাঠ করিয়াছেন এবং ঐ পরম সত্যবিষয়ে দুই নহবত দুই স্থানে বসাইয়াছিলেন একটা গুস্তের খালের সম্মুখে আর একটা ঐ বেদির নিকটে আর দুই ইশতেহার কথিত দুই স্থানে রাখিয়াছিলেন তাহাতে পরম সত্যবিষয়ের অনেক বিবরণ লেখা ছিল তাহ সমুদয় পাঠ করি নাই কিন্তু আমি আশ্চৰ্য্য হইয়া নিবেদনপূৰ্ব্বক লিখিলাম ইতি । শ্ৰীজগচ্চন্দ্র বন্দোপাধ্যায়ঃ । সংবাদ প্রভাকর । ( ৪ ফেব্রুয়ারি ১৮৩২ । ২৩ মাঘ ১২৩৮ ) চন্দ্রকোণা।--হুগলী জিলার অন্তঃপাতি চন্দ্রকোণানামে এক স্থান আছে তথায় বৰ্দ্ধমানের রাজার পক্ষহইতে,এক দেবালয় ও রঘুনাথ নামে মূৰ্ত্তি আছেন তথায় সেবাদিও উত্তমমতে হইয়া থাকে সে স্থানে চিরকালহইতে এইরূপ নিয়ম বন্ধ আছে যে প্রতি বৎসর পৌষী পূর্ণিমাতে এক বৃহৎ জাত হইয়া থাকে সেই নিয়মমতে বর্তমান বর্ষের ৫ মাঘ মঙ্গলবার পূর্ণিমাতে রীতিমতে জাত হইয়াছিল। ( ২৫ এপ্রিল ১৮৩৫ । ১৩ বৈশাখ ১২৪২) তুলাদান —আমরা আহলাদপূৰ্ব্বক জ্ঞাত করাইতেছি ইটালিনিবাসি শ্ৰীযুত বাবু দেবনারায়ণ দেব গত মহাবিষুব সংক্রান্তি দিবসে তুলা দান অর্থাৎ যথাশাস্ত্র আত্ম শরীর পরিমিত অষ্ট ধাতুনির্মিত জলাধারাদি নানা প্রকার ব্যবহার্ঘ্য পাত্র এবং স্বর্ণরূপ্য মুদ্রা দ্বারা তুল করিয়া বিপ্রাগ্রগণ্য মান্য পণ্ডিত মহাশয়গণকে দান করিয়াছেন তাহাতে জ্ঞানবান ব্রাহ্মণগণ সন্তুষ্ট হইয়াছেন যেহেতু মহাদান। যদ্যপি তুলাই মহাদান ইহা গ্রহণ অবিহিত ইহাতে তৃপ্তির