পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্ম ৫২৫ ( ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৮৩২ । ১৪ ফাল্গুন ১২৩৮ ) শ্ৰীযুত দর্পণপ্রকাশক মহাশয় সমীপেষু –নিবেদনবিশেষঃ সন হালের ১৪ জানুআরি তারিখের সমাচার দর্পণের দ্বারা বোধ হইল যে জিলা হিজলীর এলাকার জলামুঠাওগয়রহের জমীদার শ্ৰীযুত রাজা নরনারায়ণ রায় আপন জ্যেষ্ঠ রাজকুমার শ্ৰীযুক্ত বাবু রুদ্রনারায়ণ রায়ের শুভবিবাহের লগ্ন ২২ জানুআরি তারিখে স্থির করিয়া পাচ লক্ষ টাকা খরচের দ্বারা কল্পবৃক্ষের ন্যায় হইবেন এমত আশয়ে ছিলেন ইতিমধ্যে রাজসভাসদ মন্ত্ৰী শ্রীরাধাকৃষ্ণ খানসাম৷ ও শ্ৰীমুলী মুকুন্দরাম ও শ্রীসেবকরাম বস্থ পেস্কার ও শ্ৰীভোলানাথ দাস উড়ীয়া মুহুরির ও ঐহিণী মাইতি নাপিতপ্রভৃতি গোপনে পরামর্শ করিলেন যে বৰ্ত্তমান ভূপতি কল্পবৃক্ষের ন্যায় হইলে সৰ্ব্বস্ব যাইতে পারে যাহাতে কল্পবৃক্ষের ন্যায় না হন এমত পরামর্শ দেওয়া কৰ্ত্তব্য বিবেচনা করিয়া তাবৎ আমলাগণে ঐক্য হইয়া ভূপতির সাক্ষাৎ গলবস্ত্রে যোড়করে বিবাহের পূৰ্ব্বদিবসে সায়ংকালে উপস্থিত হইবাতে ভূপতি জিজ্ঞাসা করিলেন কারণ কি রাধাকৃষ্ণ কহিলেন আপনকার সরকারে পুরুষানুক্রমে আমরা প্রতিপালন হইয়া আসিতেছি এক্ষণে মহারাজ কল্পবৃক্ষের ন্যায় হইলে যথাসৰ্ব্বস্ব যাইবেক এবং সুখ্যাতি লইতে পরিবেন না কারণ বিবাহের সম্বাদে বহুদেশের মকুন্য আসিয়াছে এবং আসিবেক দশ লক্ষ টাকা তহবীলে মজুৎ আছে মাত্র কিন্তু মহলখুকী ইহাতে সরকারের খাজান দুই লক্ষ তঙ্ক দিতে হইবেক বাকী আট লক্ষ তঙ্ক থাকিবেক এ বাক্য শ্রবণে ভূপতি যথেষ্ট খেদিত হইয়া বিবাহের বিষয়ের ভারাভার আমলাগণে দিয়া ক্ষান্ত থাকিলেন ঐ সকল আমলা একে মনসা ছিলেন দ্বিতীয়তঃ পুনার গন্ধ পাইলেন বিবাহের বিষয় কিঞ্চিং নিবেদন করিতেছি ব্যাপক করিতে অনুমতি হইবেক । 母 প্রথমতঃ বিবাহের দিবস হাজরির কাগজাতের দ্বারা বোধ হইল যে বাস্থ্যকর ৭৯৬ জন ও বেহার ৬৭৩ জন বাই ৯২২ জন ও সামাজিক ২৭০৩ জন ও ভাট ৫২৩ জন ও ব্রাহ্মণ ২৫১৩ জন ও অতিথি ৮১২ জন ও দেশিবিদেশিতে পহুছেন তৎপরে নিজাধিকারের কুলিবেগার আন্দাজী তিন হাজার লোক সন্ধ্যার সময় উপস্থিত হইবাতে উপরের লিখিত লোকদিগকে খাদ্যসামগ্রী কোনরকমে কিছু না দিয়া বরসজ্জা করিয়া তথাহইতে তিন ক্রোশ তফাত মথনানামে এক গ্রাম আছে তথায় রাহি হইলেন বারুদের গাছ ১৪০ নানা রকমের ছিল তাহা দগ্ধ করিলেন । দ্বিতীয়তঃ পাতিফুলছড়ির দ্বারা ॥৫ সের মোমবাতির রোশনাই হয় । তৃতীয়তঃ নারিকেল তৈল ২২/ মোন ছিল তাহা আড়া ও হাতমশালের দ্বারা রোশনাই হইল ইহাতে রাত্রিশেষ বিবাহ হইতে পারে নাই পরদিবস দিবা চারি দণ্ডেরকালীন বিবাহ হইল ঐ দিবস তিনপ্রহরপর্য্যন্ত কেহ জল স্পর্শ করে নাই কারণ পল্লিগ্রামে পাইলেক না এবং ভূপতিও দিলেন না তৎপরে কতক লোক তথাহইতে পলায়ন করিয়া রাত্রিকালীন বাস্থদেবপুর মোকামে পহুছিয়া আপন২ নিকটহইতে মুদ্রাদি ভঞ্জিত করিয়া মুদির নিকটে চালুইত্যাদি খরিদ করিয়া প্রাণ রক্ষা করে তথাকার মুদীতে যে প্রকার ডাকাইতি করিলেক তাহা লিখন নহে