পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধন্ম @やが○ তাহার এক পার্শ্বে শস্য ক্ষেত্ৰসকল অন্য পাশ্বে নানা বৃক্ষের বন । ঐ বত্মের সীমান্তে গঙ্গ দেখা যায় তৎস্থানীয় গঙ্গার উভয় পাশ্বে দুই শ্রেণী ক্ষুদ্র পৰ্ব্বত আছে এবং উপত্যকাভূমি আয়তনে দুই ক্রোশ দীৰ্ঘে চারি পাচ ক্রোশ তাহার মধ্যস্থানে বালুক ও প্রস্তরময় একটা চড়া পড়িয়াছে ঐ চড় বৃহৎ২ বৃক্ষেতে সমাকীর্ণ তাহাতেই তত্রস্থা গঙ্গা দ্বিধাবিভক্ত হন হরিদ্বারের দিগে পশ্চিমের প্রবাহের নাম গঙ্গাজী এবং পূৰ্ব্ব দিগের স্রোত নীল পৰ্ব্বতের তলদিয়া বহে তাহার নাম নীলধারা । ঐ স্থানীয় প্রবাহ বড় চৌড়া ও গম্ভীর নয় কিন্তু অতিশয় স্রোত পরস্তু নীলধারাতে শঙ্কাও আছে কোন২ স্থানে পৰ্ব্বতের অতিসন্নিহিত তলদিয়া স্রোত বহে অন্যান্য স্থানে গঙ্গা ও পৰ্ব্বতের অন্তরাল কিঞ্চিৎ২ ভূমি আছে তাহ বনেতে আবৃত বা কৃষির নিমিত্ত প্রস্তুত । এমত এক স্থানে গঙ্গার পশ্চিম তটে হরিদ্ধার নগর গ্রথিত ঐ নগর বৃহৎ২ সুদৃশু অট্টালিকা শ্রেণী ও বাজারসমেত দীঘে প্রায় আধ ক্রোশ এবং নূতন রাস্তা লইয়া অম্বুমান এক পোয়৷ ভূমি চৌড়া। ঐ মহোপকারক পথ শ্ৰীলশ্ৰীযুত লার্ড উলিয়ম বেন্টাঙ্ক সাহেবের আজ্ঞাতে প্রস্তুত হয় এবং যে স্থানে কনখলের রাস্ত বন্দ হয় সেই স্থান অবধি এই রাস্তার আরম্ভ তাহা চৌড়ায় বিংশতি হাত দীৰ্ঘে প্রায় এক ক্রোশ । হরিকা পয়রি অর্থাৎ হরিপদচিহ্নিত স্নানঘাটপর্য্যন্ত ঐ রাস্তা গিয়াছে ঐ রাস্ত প্রস্তুতকরণার্থ চল্লিশ হাত উচ্চ পৰ্ব্বতের শত২ হাতপৰ্য্যস্ত কাটা গিয়াছে। ঐ পৰ্ব্বত বালুকাময় প্রস্তর এবং একপ্রকার রক্তবর্ণ মৃত্তিকাঘটিত এবং ছোট বড় নানা জাতীয় বৃক্ষেতে আবৃত হরিপয়রি ঘাটপর্য্যস্ত আগত ঐ রাস্তা ১৮২০ সালের পর যে নূতন রাস্ত হইয়াছে তাহার সঙ্গে মেলে। এবং দেরাধুন শ্ৰীনগর কেদার ভদ্রী ও সীমলার রাস্তার সঙ্গে মেলে। তথাকার পর্বতসকল অত্যুত্তম স্বদৃপ্ত বৃক্ষেতে সমাকীর্ণ এবং তাহাতে বৃহৎ২ কাষ্ঠ ও জালানি কাষ্ঠ এবং কয়লা বেত্র নলপ্রভৃতি এবং পশ্বাদির ভক্ষণীয় একপ্রকার শুষ্ক তৃণ ও গৃহ নিৰ্ম্মাণকরণোপযুক্ত বঁাশ ও খড় জন্মে। এ সকল গবৰ্ণমেণ্ট ইজারায় দিয়াছেন । হরিদ্বারে সামান্যতঃ কতক বণিক হালুইকর পশারি শরাফ কংসবণিকপ্রভৃতি বাস করে তদ্ভিন্ন কতক গোস্বামিরা তথায় থাকিয়া পৰ্ব্বতজাত দ্রব্যাদি লইয়া বাণিজ্য করেন । দেরাধুনে তণ্ডুল গাছমরিচ হরিদ্র আর্দ্রক প্রভৃতি জন্মে এই সকল দ্রব্য ধুননিবাসি ও বৈদ্যনাথ পৰ্ব্বত নিবাসি লোকেরা আনয়ন করিয়া লবণের পরিবর্তে দেয় । হরিদ্বারে বর্ষাকাল অতিঅস্বাস্থ্যজনক হয় তৎকালে গমন করিলেই লোকসকল জর শোথ উদরভঙ্গপ্রভৃতি রোগগ্রস্ত হয় । মেলার সময় অর্থাৎ মার্চ আপ্রিল মাসে কালগতিকের কিছু নিশ্চয় নাই কখন অতিশয় গ্রীষ্ম কখন বা অসহ শীত এবং কখন বা অতিশয় ঝড় ও বৃষ্টি এবং মধ্যে২ শিলাবৃষ্টিও হয় । r ( ৮ সেপ্টেম্বর ১৮৩২ । ২৫ ভাদ্র ১২৩৯ ) ভাস্কর পুষ্কর –কাশীর অন্তর্গত দক্ষিণখণ্ডে প্রভাস ও পুষ্কর নামে দুই মহাতীৰ্থ আছেন বর্ষাকালে প্রায় ৩০ হস্ত পরিমাণে অলক নন্দার জল বৃদ্ধি হইয়া অসিসঙ্গমের বক্স দিয়া ঐ দুই