পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্ম ¢\ኳፋ চূড়োপরি এতদেশীয় লোকের উষ্ণীষের ন্যায় এক আকৃতি নিৰ্ম্মিত আছে তাহ এমত দৃশুমান হইয়াছে যে অগ্রভাগে গ্রস্থিবিশিষ্ট একটা রক্তবর্ণ বস্ত্রের স্তম্ভবিশেষ। তাহা কাবল অথবা পাঞ্জাবদেশীয় এক জন বণিককর্তৃক সম্পন্ন হয় এবং তাহ মদনমোহনক মন্দিরনামে বিখ্যাত ঐ মন্দির অতিস্থদূত ও অতিদূরদৃশ্যও বটে তাহার নিকটে অপর দুইটা ক্ষুদ্র মন্দির আছে। মদনমোহনের মন্দিরের কিঞ্চিদন্তরিত পূৰ্ব্বভাগে ভরতপুরের রাজবংশু গঙ্গারাণীকর্তৃক নিৰ্ম্মাপিত এক ক্ষুদ্র রাজবাটী আছে । ঐ রাজরাট সর্বত্র কাছারীবাটনামে বিখ্যাত ঐ বাটীর দক্ষিণভাগে যমুনাতীরে উক্ত রাণীর বাসস্থান ঐ রাজবাট দোতালা । এবং ভরতপুরের অন্তঃপাতি ভূবাসস্থানের সন্নিহিত অতিনিৰ্ম্মল শিশুমৃগের ন্যায় বর্ণ প্রস্তরনিৰ্ম্মিত যে রাজবাটী তাহার অন্তঃপ্রকোষ্ঠের তাবন্নিৰ্ম্মাণও তদ্রুপ প্রস্তরেতে হইয়াছে অতএব তাহ অতিস্থদর্শনীয় । মথুরাস্থ শিবিরহইতে যে সাহেবের বৃন্দাবন দর্শনাদি করিতে আইসেন তাহারা প্রায় ঐ স্থানেই ভোজনাদি করেন । ভরতপুরের রাণীর উক্ত হাবেলির নিকটে একটা চবুতর আছে এবং তাহ প্রস্তর বেষ্টনেতে বেষ্টিত এবং কথিত আছে যে ঐ স্থানেই শ্রীক্লষ্ণ রাসমণ্ডলী নৃত্যাদি করিতেন ঐ স্থানহইতে কিঞ্চিদস্তরে এবং নদীহইতে কিঞ্চিদূরে জয়পুরের বর্তমান রাণী শ্ৰীকৃষ্ণের সম্মানার্থ এক অত্যুত্তম নূতন মন্দির গ্রন্থন করিয়াছেন। ঐ মন্দিরের তাবদবয়বই রক্তবর্ণ প্রস্তরে নিৰ্ম্মিত বিগ্রহের নিজমন্দির শুক্লবৰ্ণ প্রস্তরে নিৰ্ম্মিত ঐ মন্দিরের মধ্যে শ্ৰীকৃষ্ণের এক বিগ্রহ আছেন তাহা হরিমোহন বৃন্দাবনচন্দ্রনামে বিখ্যাত সেই মূৰ্ত্তির কৃষ্ণের ন্যায় মুখ এবং তাহাতে সুবর্ণময় বংশী ন্যস্ত আছে ফলতঃ তদেশে কৃষ্ণবিগ্রহের বিশেষ লক্ষণ এই যে কৃষ্ণবর্ণ ও বংশী ও একপ্রকারবিশেষ উষ্ণীষ আছে । শেষোক্ত মন্দিরহইতে কিঞ্চিদস্তরে গোবিন্দজীক মন্দির নামে এক অতিস্থদৃশু মন্দিরের ভগ্ন অবয়ব আছে পূৰ্ব্বে ঐ মন্দিরই বৃন্দাবনের মাহাত্ম্যের সামগ্রী ছিল এবং অদ্যাপি তাহাতে যে ভগ্নাংশসকল আছে সেওঁ পরমসুন্দর কিন্তু পূৰ্ব্বে ঐ মন্দিরের উপরিভাগ আওরংজেব বাদশাহ খামখা নষ্ট করিয়াছিলেন । ঐ মন্দির অতিবিখ্যাত জয়পুরের রাজা জয়সিংহকর্তৃক নিৰ্ম্মাপিত । তাহার নিৰ্ম্মাণ প্রকার হিন্দুরদের মন্দিরের ন্যায় তাহার আকৃতি এক প্রকারে রোমাণ কার্তলিকেরদের গির্জাঘরের ন্যায় তাহার দীর্ঘাংশ আশী হাত লম্বা এবং পরিসরে ছেযটি হাত। পূৰ্ব্ব কোণে এক প্রকার অষ্ট কোণাকৃতি এক কুঠরী আছে তাহার বেড় ছাব্বিশ হাত উচ্চ পয়ত্রিশ বা চল্লিশ হাত তাহাই একপ্রকার চূড়ার ন্যায় দৃপ্ত হয়। অট্টালিকার ঐ ভাগে কৃষ্ণের মহাগোবিন্দজীনামে বিখ্যাত মূৰ্ত্তি স্থাপনার্থ ঐ মন্দির গ্রথিত হয় কিন্তু ঐ মন্দির অপবিত্র হইলে সেই স্থানহইতে উত্থাপনপূর্বক জয়পুরে নীত হয় ঐ তাবৎ অট্টালিকা রক্তবর্ণ প্রস্তরে নিৰ্ম্মিত এবং তন্মধ্যে প্রস্তরে নিৰ্ম্মিত উত্তম২ ছবি আছে । নগরের পূর্ব কোণে গঙ্গাতীরহইতে কিঞ্চিদস্তরে লালাবাবুর মন্দিরের অতিসুন্দর শ্বেত প্রস্তরে নিৰ্ম্মিত দুইটা শৃঙ্গাকার স্থাপিত আছে। কিন্তু যে ইউরোপীয়েরা মন্দিরের অন্তর্ভাগ