পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিক্ষা ৩১ ( ৭ ডিসেম্বর ১৮৩৯ । ২৩ অগ্রহায়ণ ১২৪৬ ) এতদেশীয় বিদ্যাযুক্ত মহাশয়গণ শ্রবণ করিয়া পরমাপ্যায়িত হইবেন যে হিন্দু কালেজান্তর্গত নূতন পাঠশালায় পাঠাকাজিহ্মদিগের বহু সংখ্যক আবেদন পত্র প্রতি দিবস প্রদত্ত হইতেছে ইহাতে আমরা নিঃসন্দেহে কহিতে পারি যে যদি প্রতি দিবস উক্ত প্রকারে আবেদন পত্র প্রদত্ত হয় তবে কলেজের অধ্যক্ষগণ আরো কএকটা গৃহ নিৰ্ম্মাণ করাইবেন । এই রূপ আবেদন পত্র প্রদান হেতু এতদেশীয় জনগণ বিদ্যোপার্জনে অত্যন্ত উৎসুক তাহ। জানা যাইতেছে যদ্যপি ভারতবর্ষস্থ মন্তষ্যেরা এতদেশীয় ভাষা বিদ্যোপার্জনে উৎসুক না হইতেন তবে অত্যন্ত অমঙ্গল ঘটিত । [ জ্ঞানান্বেষণ ] ( ২৫ জানুয়ারি ১৮৪০ । ১৩ মাঘ ১২৪৬ ) শনিবারে বাঙ্গলা পাঠশালার পাঠার ম্ভ কালীন অনেকানেক এভদেশীয় ও ইঙ্গলওঁীয় মহং২ মতুষ্যের সমাগম হইয়াছিল তাহার মধ্যে আমরা এই সকল ব্যক্তিকে জ্ঞাত আছি শ্ৰীযুত রায়েন ডাক্তর ওসাগ্নিসি গ্রান্ট এবং ওয়াইজ ডেবিড হেয়ার শ্ৰীযুত বাবু দ্বারকানাথ ঠাকুর শ্ৰীযুত বাৰু প্রসন্নকুমার ঠাকুর শ্ৰীযুত সত্যচরণ ঘোষাল শ্ৰীযুত বাৰু রামকমল সেন শ্ৰীযুত বাবু মতিলাল শীল হিন্দু কলেজ মেডিকেল কলেজ এবং সংস্কৃত বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অধ্যাপকগণ এই সকল ব্যক্তি ও অন্যান্য জনগণ সমক্ষে শ্ৰীযুত বাৰু রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ ভট্টাচাৰ্য্য উক্ত বিদ্যালয় বিষয়ে উত্তম বক্তৃতা লিপি পাঠ ও তাহার তাৎপর্য্য সহ ব্যাখ্যা করিলেন এবং পাঠশালায় এতদেশীয় মন্তব্যেরদিগের যে লভ্য তাহাও ব্যাখ্যা করিলেন । অনন্তর শ্ৰীযুত বাবু রামচন্দ্র মিত্র ঐ বাঙ্গালার ইঙ্গরেজী অনুবাদ ইঙ্গল ষ্ট্ৰীয়েরদিগের বোধার্থ পাঠ করিলেন । এইরূপ দুষ্ট এক বাঙ্গালা বক্তৃত হইলে ই রায়েন সাহেব গাত্ৰোখানপূর্বক বক্তত করিলেন যে এতদ্দেশে অনেক ইঙ্গরেজী বিদ্যালয় ংস্থাপনে সাহায্য করণহেতু অনেকের বোধ হয় যে এডুকেশন কমিটির ইঙ্গরেজী বিদ্যা বিষয়েই উৎসাহ প্রদান করেন কিম্ব তাঙ্গ নহে এডুকেশন কমিটির সকল বিদ্যালয়েই র্তাহারা সাহায্য করেন । উক্ত কমিটির তাৎপর্য্য এই যে এতদেশীয় মনুষ্যকে ইঙ্গরেজী বিদ্যাভ্যাস দ্বারা স্বশিক্ষিত করাইলে তাহার এই রীত্যনুসারে উপদেশ প্রদান করিবেন । হিন্দু কলেজের স্বশিক্ষিত ব্যক্তিদিগের শিক্ষচু ভবহেতু এই পাঠশালা সংস্থাপন হইয়াছে নতুবা হইত না উক্ত সাহেব আরো কহেন যে উক্ত কমিটির প্রাথিত সিদ্ধি এবং তঁাহারদিগের অতিশয় আনন্দ হইল । আর এই বিদ্যালয় এই সহরে প্রথমতঃ প্রধান হইল অনস্তর গ্রান্ট সাহেব গাত্ৰোখান পূর্বক বক্তৃতা করিলে তাহা অসম্পূর্ণ এইক্ষণে হইল না অনন্তর রিচার্ডসন সাহেব গাত্ৰোখান করিয়া বক্তৃতা করিলেন যে চাসরের কাননে যেমন ইঙ্গরেজী আচ্ছন্ন সেই ন্যায় বাঙ্গলা ভাষা এইক্ষণে আছে। চাসার বুদ্ধি দ্বারা ক্রমশ ইঙ্গরেজী বিদ্যার প্রাচুর্য্য করিলেন তাহার ন্যায় বাঙ্গলা ভাষার ক্রমশ প্রাচুর্ঘ্য হইবে। পরে ওসাগ্নিসি সাহেব গাত্ৰোখান করিয়া কহিলেন ষে