পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্ম &హి(t আছেন যে ধৰ্ম্মসভাপতি বাৰু শিবনারায়ণ ঘোষজ কিছু দিন হইল ঐ সভার প্রতিজ্ঞায় অবজ্ঞা করিয়া অন্য সভাপতির বাসনায় নানাপ্রকার চেষ্টা করিতেছিলেন । সংপ্রতি দলকলকুশল কোন লোকের কৌশলে উক্ত বাবুর মানস সম্পন্ন হইয়াছে। যেহেতুক গত সংক্রাস্তি দিবসে ঐ বাবুর বাটতে তুলার অতুলা সভা হইয়াছিল তাহাতে প্রধান ধাৰ্ম্মিক বাৰু ভগবতীচরণ মিত্রজ যিনি বাবু মথুর মল্লিকের ভাগিনেয়কে কন্যাপ্রদান করিয়াছেন এবং বাবু নবীন সিংহ যাহার পিতৃব্যপুত্রের বিবাহকালীন ধৰ্ম্মসভায় ধৰ্ম্মনিষ্ঠ বিশিষ্ট কায়স্থ মহাশয়েরদের নিয়মপত্র লিখিত হয় আর নন্দনবাগানস্থ প্রধান কায়স্থ ধৰ্ম্মভয়ে দলাদলবিষয়ে নিরস্ত শ্ৰীযুত বাৰু শম্ভুচন্দ্র মিত্রঙ্গ ও শ্ৰীযুত বাৰু কাশীনাথ বস্থজ আর ধৰ্ম্মসভাপতি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ শ্ৰীযুত বাবু কালাচাদ বস্থজের পৈতৃক দল ও উক্ত বাবুর পত্তনিয়া শ্ৰীযুত বাৰু জয়চন্দ্র মিত্রের স্বকৃত দল সকল ঐক্য হইয়া মাল্যচন্দন করিয়া সভান্তরের শরণাপন্ন হইয়াছেন । ইহাতে ধৰ্ম্মসভা পতিবিরহিণী অতিদুঃখিনী হইয়৷ শ্ৰীযুত বাবু প্রাণনাথ চৌধুরীর মুখ নিরীক্ষণ করিয়া এক পদ ধৰ্ম্ম ভাবিয়া আশুতোষ দেবের উপাসনা করিতেছেন । সে যাহা হউক সম্পাদক মহাশয় এ বড় থেদের বিষয় ধৰ্ম্মসভা চীরকালীন পতিব্ৰতা প্রিয়তমা ছিলেন তাহাকে পরিত্যাগ করিয়া তৎপতিরা যে যথেষ্ট খাদ্য নানাবিধ গানবাদ্যাদির অনুরোধে পৈতৃক দল বল বিক্রয় করিয়া বৃদ্ধাবস্থায় অন্যাসক্ত প্রিয়তমার অনুরক্ত হইতে উদ্যুক্ত হয় তাহারা কি প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ ভয় মনেও করিল না হায় কি বিভ্ৰাট ইতি । কস্যচিৎ সমদশিনঃ । ( ৩০ এপ্রিল ১৮৩৬ । ১৯ বৈশাখ ১২৪৩ ) এই বৎসরে গত দিবসের অপরাহ্নে ধৰ্ম্মসভার প্রথম বৈঠক হয় তাহাতে শ্ৰীযুক্ত মহারাজা কালীকৃষ্ণ বাহাদুর সভাপতি হইলেন । অপর সভাসম্পাদক গত বৈঠকের বিবরণ পাঠ করিলে রীতিমত সভার নানা ব্যাপার সম্পাদন হইল । - পরে শ্ৰীযুত বাবু রামকমল সেন শ্ৰীযুত ডাক্তর উইলসন সাহেবের স্থানহইতে যে পত্র প্রাপ্ত হন তাহার চুম্বক পাঠ করিলেন তাহাতে ঐ সাহেব লেখেন যে ভারতবর্ষীয় লোকের মঙ্গলবৰ্দ্ধক প্রকৃতোপায় ভারতবর্ষের কৃষিকার্য্যের প্রতিপোষণকরণ। অনন্তর উক্ত বাবু প্রস্তাব করিলেন যে ধৰ্ম্মসভাতে জাতীয় বা ধৰ্ম্মবিষয়ে যে সকল কাৰ্য্য হইয়া থাকে তদ্বিবরণ চন্দ্রিকাপত্রে আর প্রকাশ না হয় যেহেতুক তাহা প্রকাশকরণেতে লোকের কিছুমাত্র উপকার নাই বরং তাহাতে আমারদের মধ্যেই পরস্পর ঈর্ষাঈর্ষি জন্মে এবং পরিণামে ধৰ্ম্মসভারো লোপসম্ভাবনা। আরো কহিলেন যে রাজকীয় ব্যাপারবিষয়ক বিবেচনার্থ এই সভাতে সৰ্ব্বজাতীয় লোকেরা উপস্থিত হওনে কোনপ্রকারে সকলের মতের ঐক্য হইতে পারে না। অতএব আমার পরামর্শ এই যে একটা শাখা সভা অবিলম্বে স্থাপন হয় এবং এইক্ষণকার সভাতে অপ্রয়োজনীয় যে নানা বিষয় উপস্থিত হইতেছে তাহা ঐ