পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓbe মংবাদ পত্রে মেকালের কথা successively, kept the first place in the General list. His character is unexceptionable. In addition to his eminent proficiency in Sansorit, he possesses a fair knowledge of English literature. When, in June last, the overcrowded state of the Grammar classes required a subdivision of the pupils he was temporarily appointed to take charge of a class and discharged his duties very satisfactorily. Of all the ex-students of the Institution, who are still employed, he is decidedly, the best. If the Council be pleased to appoint Tarasankar to the Librarian's post I shall derive great assistance from him. তারাশঙ্কর ১৪ মে ১৮৫৫ তারিখ পর্য্যস্ত সংস্কৃত কলেজের গ্রন্থাধ্যক্ষের পদে নিযুক্ত ছিলেন । এই পদ ত্যাগ করিয়া তিনি মাসিক ১০ •২ বেতনে নদীয়ার সাব-ইনস্পেক্টর হইয়াছিলেন । ১ মে ১৮৫৫ তারিথে বিদ্যাসাগর মহাশয় সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ-পদ ছাড়া, দক্ষিণ-বঙ্গের অ্যাসিষ্টাণ্টইনস্পেক্টরঅব-স্কুলস-এর পদ লাভ করেন । শহরে ও গ্রামে গ্রামে মডেল স্কুল স্থাপন ও পরিদর্শন জঙ্গ তাহাকে জন-কয়েক সাব-ইনস্পেক্টর নিযুক্ত করিতে হইয়াছিল, তন্মধ্যে তারাশঙ্কর তর্করত্ন অন্যতম । তারাশঙ্করের স্থলে সংস্কৃত কলেজে পরবর্তী ১৫ই জুন হইতে জগন্মোহন শৰ্ম্ম নিযুক্ত হইয়াছিলেন । ১৮৫৮ সনে যখন 'কাদম্বরী’র ৪র্থ সংস্করণ প্রকাশিত হয়, তখনও তারাশঙ্কর জীবিত । ইহার অল্প দিন পরেই তাহার মৃত্যু হয় । ১৮৬০-৬১ সনের শিক্ষা-রিপোর্টের শেষে, ৩১ ডিসেম্বর ১৮৬০ তারিখে বিদ্যমান শিক্ষা-বিভাগীয় কৰ্ম্মচারীদের একটি বর্ণানুক্রমিক তালিকা আছে ; এই তালিকায় তারাশঙ্করের নাম পাওয়া যাইতেছে না ; সম্ভবতঃ তিনি ইহার পূর্বেই মারা গিয়াছিলেন । তারাশঙ্কর বাংলায় এক জন সুলেখক ছিলেন । র্তাহার রচিত যে কয়খানি বাংলা পুস্তকের সন্ধান পাইয়াছি, নিয়ে তাহার তালিকা দিলাম :– ( ১ ) ভারত বর্ষীয় স্ত্রীগণের বিদ্যা শিক্ষা । ইং ১৮৫০ । এই পুস্তিকা সম্বন্ধে ৭ নবেম্বর ১৮৫৩ তারিখে ‘সংবাদ পূর্ণচন্দ্রোদয়’ পত্র লেখেন :– স্ত্রীশিক্ষাবিষয়ক পুস্তক —শ্ৰীযুত তারাশঙ্কর শৰ্ম্ম পণ্ডিত মহাশয় ডেবিড হিয়ার সাহেবের স্মরণার্থ সভার দত্ত স্ত্রীশিক্ষা বিষয়ক প্রস্তাব রচনা করিয়া গত বৎসর শত মুদ্র। পারিতোষিক পাইয়াছেন এবং উক্ত সভাইইতে র্তাহার সেই রচনা পুস্তকাকারে মুদ্রিত হইয়াছে উক্ত পুস্তকের এক খণ্ড এপর্য্যস্ত অম্মদাদির হস্তগত না হওয়াতে আমরা তদ্বিযয়ে আপনারদের অভিপ্রায় ব্যক্ত করিতে পারি নাই সংপ্ৰতি জনৈক বন্ধুর দ্বার। তাহার এক খানি পাgয়াতে পাঠ করিয়া দেখিলাম পণ্ডিত মহাশয় এতদেশীয় অবলাদিগের সকল প্রকার অবস্থা বর্ণনা করিয়া তাহারদের বিদ্যা শিক্ষা বিষয়ে শাস্ত্র ও প্রাচীন ব্যবহার প্রমাণ দর্শাইয়া শিক্ষা দেওয়া অত্যাবশ্বক ইহ সংস্থাপন করিয়াছেন ।... ১৮৫১ সালে এই পুস্তিকার দ্বিতীয় সংস্করণ ( পূ. ৫৮) প্রকাশিত হয় । বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষদে বিদ্যাসাগর-গ্রস্থসংগ্রহে ইহার এক খণ্ড আছে ।