পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা প্রথম খণ্ড.djvu/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఆఫి মংবাদ পত্রে মোকালেৰ কথা । মহন্ত কথা অদ্যপৰ্য্যন্ত এতদেশে প্রচরন্দ্ৰপ চলিত আছে তাহা সকল যদি সংগ্রহ করা যায় তবে আমোদপ্রমোদের অত্যুত্তম এক পুস্তক হয় । , অপর কাশীপ্রসাদ ঘোষ বিদ্যাসুন্দরনামক এক পুস্তকের কথা উল্লেখ করিয়াছেন তাহা ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গলের এক অংশ । তিনি যথার্থরূপে তাহার অনেক প্রশংসা করিয়াছেন। তাহার কএক পয়ারে তিনি ইঙ্গরেজী ভাষায় তরজমা করিয়াছেন এবং তাহাতে অনেক কাব্যরস দৃষ্ট হইতেছে। বাঙ্গলা ভাষার মধ্যে এই ক্ষুদ্র পুস্তকের সংস্কৃতাম্ববায়ি ভাষায় রচিত উৎকৃষ্ট অন্য তুল্য এমত পুস্তক নাই কেবল মধ্যে২ অনেক আদিরসঘটিত কথার দ্বারা ভাহাতে কলঙ্ক আছে। অপর তিনি কহেন যে কলিকাতার যোড়াসকোর শ্রযুত রাধামোহন সেন বাঙ্গলা ভাযায় কাব্যরচনার বিষয়ে স্বদেশীয় লোকের মধ্যে অতিপ্রসিদ্ধ । # শ্ৰীকাশীপ্রসাদ ঘোষের এই এক উত্তম লিখিতপত্র আমরা স্থানাভাবপ্রযুক্ত প্রকাশ করিতে না পারিয়া কেবল তাহার সংক্ষেপ প্রকাশ করিলাম কিন্তু আমারদের পাঠকবর্গের মধ্যে যাহারা ইঙ্গরেজী বুঝেন তাহারা সম্পূর্ণরূপে তাহা পাঠ করুন ইহা আমারদের পরামর্শ।. (২৭ ফেব্রুয়ারি ১৮৩০ । ১০ ফাস্তুন ১২৩৬ ) পূৰ্ব্ব সপ্তাহের দর্পণে চক্ষু অর্পণ করাতে কবিকাব্য রসাস্বাদনে সরসচিত্ত শ্ৰীযুত বাবু কাশীপ্রসাদ ঘোষজকর্তৃক লিটেররি গেজেটে প্রকাশিত পত্রের সংক্ষেপে সংগ্ৰহ সংদর্শনে বঙ্গভাযায় গ্রন্থ ও গ্রন্থকার এবং গদ্য পদ্যরচনায় এক প্রকার সারোদ্ধার বোধ হইল যাহা পাঠকগণের বিজ্ঞাপন ও মনোরঞ্জনার্থে এতৎপত্রে পুনরঙ্কিত করিলাম । পূৰ্ব্বোক্ত ঘোষজ মূলপত্রে লিখেন যে পদ্যাপেক্ষ গদ্যরচনায় এতদেশীয় লোকের মনোযোগের অল্পতা ছিল ইহাতেই নিশ্চয় বোধ হইতেছে যে এপর্য্যন্ত বঙ্গভাষার শোধন হয় নাই এ অনুমান অসম্ভব নহে কিন্তু ইদানী ভদ্ভাষাভাষিত । কোষাদি নানা গ্রন্থ প্রচলিতহওয়াতে বিশেষতঃ তদ্ভাষোক্ত সমাচারপত্র দেশ দেশাস্তরে ব্যাপ্তহওয়াতে যে অনুশীলন হইতেছে ইহাতে সংশোধিত হওনের আশ্বাসে সম্পূর্ণ বিশ্বাস নির্বাষ করা যাইতে পারে যেহেতুক কএক বৎসর পূৰ্ব্বে অনেকেই বর্ণশুদ্ধিক্রমে পত্র লিখিতে পারিতেন না এক্ষণে অনেকপত্রে সাধুভাষায় সবিন্যাস সান্থপ্রাস বচন রচনা দৃষ্ট হইতেছে কিন্তু এখনো ব্যাকরণবোধাভাবে অনেকের বক্তব্যে বৈষর্থ্যহওনে ব্যাঘাত নাই স্বতরাং বাক্যের শুদ্ধির নিমিত্ত সংস্কৃত ব্যাকরণ ও অলঙ্কার সাহিত্য দর্শন অবগুই কৰ্ত্তব্য কেননা ংস্কৃতানুযায়ি ভাষাকেই সাধুভাষা কহিয়াছেন এমতে তদ্ব্যাকরণে দৃষ্টি থাকিলেই বঙ্গভাষায় পারিপাট্য সহজেই হইতে পারে। কিন্তু সংস্কৃত ব্যাকরণ অধ্যয়ন সাধারণের দুঃসাধ্য অথচ এ