পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা প্রথম খণ্ড.djvu/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নৈতিক অবস্থা ( ১২ ডিসেম্বর ১৮১৮ । ২৮ অগ্রহায়ণ ১২২৫ ) মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায় —.উলানিবাসী মুক্তারাম মুখোপাধ্যায় নামে এক মহাকুলীন সদ্বক্তা ছিলেন তাহার সহিত মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায় সৰ্ব্বদা বয়স্ততা করিতেন ও তাহাকে যথেষ্ট অনুগ্রহ করিতেন । এক দিন ঐ মুখোপাধ্যায় মহারাজকে ভোজন করিতে আপন বাটতে নিমন্ত্ৰণ করিলেন ও চৰ্ব্ব্য চুষ্য লেহ পেয়রূপ চতুৰ্ব্বিধ ভোজনীয় সামগ্ৰী প্রস্তুত করিলেন। মহারাজ ভোজনার্থে বসিয়াছেন মুখোপাধ্যায় সম্মুখে কৃতাঞ্জলি হইয়া আছেন মহারাজ অনেক ব্যঞ্জন দেখিয়া কৌতুক করিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন যে হে মুখোপাধ্যায় কোন ব্যঞ্জন আগ্রে খাইলে ভাল হয়। মুখোপাধ্যায় উত্তর করিলেন যে মহারাজ বেগুণ পোড়া অগ্ৰে খাইলে পোড়া মুখে যাহা খাইবেন তাহাই ভাল লাগিবেক। এই কটু অথচ সদুত্তর শুনিয়া মহারাজ সন্তুষ্ট হইলেন । এই রূপ অনেক২ কথা আছে। ( ১২ সেপ্টেম্বর ১৮১৮ । ২৮ ভাদ্র ১২২৫ ) অনেক চিকিৎসকেরা ওলাউঠার কারণ অনুসন্ধান করে তাহাতে কেহ কোন প্রকার ও আর কেহ কোন প্রকার কারণ কহে অতএব যত চিকিৎসক তত কারণ এইপ্রযুক্ত তাহারদিগকে উপহাস করিয়া গত ররিবারের সমাচার পত্রেতে এক দরখাস্ত ছাপান গিয়াছে সে ইংগ্রওঁীয় ভাষাতে বাঙ্গালি লোকের লিখনের মত দরখাস্ত । তাহার বিষয় এই কোন ব্যক্তি দরখাস্ত করিতেছে । ষে সকল বাঙ্গালিরা বিবেচনা করিয়া স্থির করিয়াছে যে লালবাজারের নূতন গির্জ। ঘরের উপরে যে মুরগ আছে সেই কেবল ওলাউঠার কারণ। যেহেতুক সে মুরগ যে দিকে আপন মুখ ফিরায় সেই দিকের লোক মরে। এবং সে মুরগ প্রাতঃকালে বড় সাহেবের ঘরের দিকে মুখ করিয়া থাকে বিকালে বড় বাজারের দিকে মুখ করিয়া থাকে। আমার তিন জন আত্মীয় লোক মুরগ দেখিবার কারণ কয়লাঘাটে গেল সেখানে দেখিল যে মুরগ তাহারদের দিকে মুখ করিয়া আছে তাহাতে তাহারা ভীত হইয়া তথাহইতে পলাইয়া খিদিরপুরে গেল সেখানেও মুরগ মুখ ফিরাইল পরে তথাহইতে বৈঠকখানাতে পলাইয়া গেল সেখানেও তাহারদের দিকে মুরগ মুখ ফিরাইল পরে তিন জনের মধ্যে দুই জন বৃদ্ধ ছিল সেই দুই জন আর দৌড়িয় পলাইতে পারিল না অতএব ওলাউঠা হইয়া সেখানেই মরিল । তৃতীয় জন যুবা ছিল এইপ্রযুক্ত পলাইয়া রক্ষা পাইল। অতএব সেই মুরগকে যদি হরিণবাটীতে কএদ করা যায় তবে ওলাউঠ৷ রোগ নিবৃত্ত হয় ইতি ।