পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা প্রথম খণ্ড.djvu/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মই বাদ পত্রে মেকালেৰ কথা سob يخ J ( ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৮২১ । ১৪ ফণজ্বন ১২২৭ ) * বাবুর উপাখ্যান –অমরাবতী নগরে রাজচক্রবর্তী নামে এক জন অতিবড় ধনবান কুলীন ব্রাহ্মণ ছিলেন । চক্রবর্তী প্রথমাবস্থায় রাজকীয় ও জমীদারী সংক্রাস্ত নানাপ্রকার বড়ই কৰ্ম্ম করিয়া ধনোপার্জন করিয়াছিলেন । - তিনি বড় বিজ্ঞ মন্ত্ৰী বুদ্ধিমান আদালতের রীতিজ্ঞ এবং বড় চাকুরিয়া প্রচরন্দ্রপে ব্যক্ত হইবাতে স্থলতান অহম্মদ খলীফা ভারতবর্ষের ব্যাপক মনাজন তাহাকে ডাকাইয়া আফীমের কুঠার দেওয়ানি কৰ্ম্মে নিযুক্ত করিলেন। আফীম মহলের কৰ্ম্ম বড় উপার্জনের সীমা নাই। অত্যন্ত্র খরচে আফীম প্রস্তুত হইয়া চীন দেশে যায় সেখানে বিক্রয় হইয়া স্থলতান খলীফার যথেষ্ট লাভ হয়। দেওয়ান চক্রবর্তী দেখিলেন যে আকাজক্ষমত ধনবৃদ্ধি হয় না অতএব কৃত্রিম আকৃত্রিম আফীম প্রস্তুত করিতে লাগিলেন। তাহাতেই তিনি অসংখ্য ধনশালী হইলেন । কিন্তু চক্রবর্তী নিঃসন্তান সৰ্ব্বদা দুঃখী কহেন যে আমার এত বড় নাম ডুবিল নিৰ্ব্বংশ হইলাম সস্তান নাই ধন কাহাকে দিয়া যাইব । তৎপ্রযুক্ত সৰ্ব্বদা যাগ দান করেন। পরে এক চন্দ্রতুল্য উত্তম পুত্র জন্মিল। তাবৎ সংসারে আহ্নাদের সীমা নাই দেওয়ানজীর পুত্র হইয়াছে । চক্রবর্তী অtহলাদে প্রফুল্লচিত্ত হওত যথেষ্ট দানাদি করিলেন ও বাটতে টিক্‌টিকীর নাচ ও ভেকের গান ইত্যাদি মাঙ্গলিক কৰ্ম্ম করাইলেন । এমতে পুত্রের বয়স ছয় মাস হইল অন্নপ্রাশন কাল উপস্থিত নাম করণ হইবেক । চক্রবর্তী সভাসৎ পণ্ডিত লোককে প্রশ্ন করিলেন যে ভো ভো পণ্ডিতেরা আমার পুত্রের নাম কি হইবেক । প্রধান পণ্ডিত যিনি নিয়ত সভায় থাকেন এবং কুলাচাৰ্য্য কহিলেন যে দেওয়ানজী অাপনকার পুত্রের অনেক স্বলক্ষণ আছে যাহা কলিতে প্রায় সম্ভবে না যদি ঈশ্বর ইচ্ছায় ইনি বঁাচেন তবে প্রাকৃত মনুষ্য হইবেন না ইনি কুলীনের ঔরসে জাত আর কুলীনের নবগুণের লক্ষণ আছে সে কি কি । আচারো বিনয়ো বিদ্যা প্রতিষ্ঠ তীর্থদর্শনং । নিষ্ঠা বৃত্তিস্তপোদানং নবধা কুললক্ষণং। ইহার তাবতেরি চিহ্ন আছে ইনি আপনকার বংশের তিলক হইবেন অতএব ইহার নাম কুলীনচন্দ্র কিম্বা তিলকচন্দ্র রাখুন। দ্বিতীয় জন কহিলেন যে দেওয়ানজী আপনকার যে পুত্র ইনি কত কাল তপস্যা করিয়াছেন সেই বরে তোমার ঘরে জন্মিয়াছেন ইনি অতি বড় স্বর্থী মহাবাবু হইবেন ইহার আপন কৰ্ম্মানুষায়ি নাম আর দেখি না বরং মধুমক্ষিকার চাকনাশক বাবু নাম রাখহ। তৃতীয় কহিলেন যে দেওয়ানজী বিদ্যালঙ্কার উত্তম কহিয়াছেন আপনকার এত ঐশ্বৰ্য্যে এ সস্তান হইয়াছেন ইনি বাবু হইবেন অত্র সন্দেহোনাস্তি আর বাবুর চিহ্ন গণনার দ্বারা কিঞ্চিৎ অনুভব হইয়াছে সে কি২ । - ঘুড় তুড়ী জস দান আখড়া বুলবুলি মণিয়া গান। অষ্টাহে বন ভোজন এই নবধা বাবুর লক্ষণ। অতএব ইহার নাম তিলকচন্দ্র বাবু রাখুন। পরে অনেক বিবেচনাতে তিলকচন্দ্র বাবু নাম স্থির হইল। তিলকচন্দ্র বাবু ক্রোড়ে ব্যতীত স্মৃত্তিকাতে পদার্পণ করেন না মহা অাদর্ঘ্য