পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা প্রথম খণ্ড.djvu/৪৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SoS9 মংবাদ পত্রে মেকালের কথা মুদ্রাঙ্কিত হয়, তাহার প্রত্যেক গ্রন্থের মূল্য ৩২ টাকা নির্দিষ্ট করিয়া চন্দ্রিকাসম্পাদক ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় বাবু টাকা লইয়াছেন, রাজা শিবচন্দ্র রায় বাহাদুর সে টাকা গ্রহণ করেন নাই । রাজা বাহাদুর পুনৰ্ব্বার ঐ কস্তাকে জিজ্ঞাসা করিলেন তুমি কি লেখাপড় শিক্ষা করিয়াছ, কি২ পড়িয়াছ আমার সাক্ষাতে বল, শঙ্কা নাই, তখন রাজকন্তু পিতার সাক্ষাতে তাবৎ সত্য বলিলেন, এবং বিদ্যাভ্যাস বিষয়ে তাহার ষে উৎসাহ জন্মিয়ছিল পিতাকে তাহাও জানাইলেন, তাহীতে বিদ্যামুরগি রাজ বাহাদুর তৎক্ষণাৎ রাজকন্যার নামে বিংশতি সহস্র টাকার কোম্পানির কাগজ স্বাক্ষর করিয়া দিয়া কহিলেন এই টাকার বুদ্ধিদ্বারা তোমার পাঠ্য পুস্তকাদি ক্রয় করিব, তদবধি রাজকন্ত। ইচ্ছামুরূপ সংস্কৃত গ্রন্থ ক্রয় করিতে আরম্ভ করিলেন, কিন্তু মধ্যে কিঞ্চিৎ কাল তাহার অসুখ হইয়াছিল, যথোচিত সময়ে পিতা বিবাহ দিলেন, শ্বশুরালয়ে ত্রয়োদশ বৎসর পর্য্যস্ত বন্ধুভাবে রছিলেন, প্রকাশ্বে গ্রন্থ পাঠ করিতে পারিতেন না, অনস্তর চতুর্দশ বৎসর বয়ঃক্রমে রাজকন্যার গন্তু হয়, সেই গন্তেসস্তানেৎপত্তি হইলে সুতিকাগার হইতে বহির্গত হইয়। ঐ সন্তানকে ক্রোড়ে করিয় ভুগ্ধ দিতেই পুনৰ্ব্বার গ্রন্থ পাঠ করিতে আরম্ভ করেন সস্তানের আট বৎসর বয়ঃক্রম পৰ্য্যন্ত পতিগৃহে গোপনে নানা পুস্তক পাঠ করিয়াছেন, পরে সস্তানকে পারস্য ভাষা শিক্ষকের নিকট সমর্পণ করিয়াঁ “রূপ গঙ্গোপাধ্যায়” যিনি “রূপন্তায়ালঙ্কার" নামে বিখ্যাত হইয়। বর্তমান আছেন তাহার নিকট রামায়ণ মহাভারত পুরাণাদি তাবৎ শিক্ষা করিলেন, এবং কবিরাজ কি ব্রাহ্মণ পণ্ডিত যাহারদিগকে জ্ঞানী এবং কবী দেখিয়াছেন রাজকন্যা তাহারদিগকে মাসিক বেতন দিতেন, এইরূপে হরসুন্দরী দাসী হিন্দুজাতির তাবৎ শাস্ত্রার্থ বুঝিয়াছিলেন। রাজকন্যা হরসুন্দরী রাত্রি চারিঘণ্টার পরে গাত্রে খান করিয়া পুরাণ পাঠ করিতেন, এবং প্রভাতকালে মুখ প্রক্ষালনাদি সমাপনানস্তর এক পবিত্র কুঠরীতে ষাইয়। কম্বলাশনে কিঞ্চিৎকাল মৌনাবলম্বনে থাকিতেন, দাদীরা বোধ করিত তিনি পূজা করিতেছেন কিন্তু তাহার পূজাগৃহে নৈবেদ্য পুষ্পপাত্ৰাদি রাখিতেন না, ইহাতেই কি লোকের বুঝিতে পরিবেন না রাজকন্যা হরমুন্দরী দাসী বিদ্যাভ্যাস গুণে ব্ৰহ্মজ্ঞান প্রাপ্ত হইয়াছিলেন, পরে ঐ রাজকন্যা হবিষ্যাশিনী হইলেন, এবং সন্ধ্যার পরে দক্ষিণ বামে দুই বাতীর আলোকে রাত্রি দুই প্রহর পর্য্যন্ত মহাভারত পুরাণাদি পাঠ করিতেন, এরূপ গুণবতী কোন স্ত্রীলোকে কি আমরা দেখিব, স্বজাতীয় স্ত্রীলোকের বেশভূষাদি দ্বারা সুন্দরী হইয় তাহার নিকট গেলে তিনি ঈষদ্ধাস্য করিয়া সংস্কৃত কবিতার দ্বারা তাহারদিগের রূপবর্ণন করিতেন, এক পৰ্ব্বদিনে সুবর্ণ বণিকজাতীয় স্ত্রীলোকের বেশভূষা দ্বারা সজ্জীভূত হইয়া হরমুন্দরীর নিকট গমন করিয়াছিলেন এবং তাহারাই হরক্ষুন্দরীকে কছিলেন অদ্য কি তোমার অলঙ্কারাদি ও উত্তম বস্ত্র পরিতে নাই, হরসুন্দরী উত্তর দিলেন অলঙ্কারের শোভাকে তিনি শোভা জ্ঞান করেন না ‘নক্ষত্র ভূষণং চন্দ্রে। নারীণাং ভূষণংপতিঃ । পৃথিবী ভূষণং রাজা বিদ্যা সৰ্ব্বত্র ভূখণং” ঐ সকল নারীগণকে এই কবিতার অর্থও বুঝাইয়া দিলেন । এতদেশীয় লোকের শঙ্কা করেন স্ত্রীজাতি বিদ্যাবতী হইলে পতির প্রতি অশ্রদ্ধা করিবেন কিন্তু হরমুন্দরী দাসী এরূপ বিদ্যাবর্তী হইয়াও কখনও স্বামির প্রতি অশ্রদ্ধা প্রকাশ করেন নাই, তিনি কখনই

  • ২৫ আগষ্ট ১৮৫৯ তারিখে রূপচাদ হায়ালঙ্কারের মৃত্যু হইলে সংবাদ প্রভাকরে ‘কস্যচিৎ কুমারহট্ট নিবাসিনঃ" লেখেন :

SBB BS BB BBBBDD BBDD DB BBB BB BBB BBBB BBDD DBB BBB gg BBB DBB BBBB BBBBDD DBBB BDDD BBB BBBB BBB BBBB BBBB BBBBBB BBBB BBB S তাহার সংস্কৃত শাস্ত্রে অলৌকিক নৈপুণ্য ও বিশেষ পারদর্শিতা ছিল। অধুনা উক্ত সমাজে তাহার সমকক্ষ লোক অতি বিরল বলিলেই হয় । বিশেষতঃ পুরাণ স্থায়শাস্ত্র ও আয়ুৰ্ব্বেদ প্রভৃতি কতিপয় শাস্ত্রে উহার BBBBB BB BBBB BBBB DD BS BBBB BBB BBDD BBBB BBB DBBD BB BBB হইয়াছেন।" ( সংবাদ প্রভাকরা, ১৫ অগ্রহায়ণ ১২৬৬ বুধবার, ও• নবেম্বর ১৮৫৯) ।