পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা প্রথম খণ্ড.djvu/৪৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Bミわ〜 BBDD KJT BBBBBBD BesLL কাশীনাথ তর্কালঙ্কার ; শিবচন্দ্র সাৰ্ব্বভৌম ; হরিনারায়ণ তর্কসিদ্ধান্ত ; হরচন্দ্র স্থায়বাগীশ । এই চারি জন বিখ্যাত পণ্ডিতের মৃত্যুতে ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৮৫৭ (বৃহস্পতিবার ১ তারিখে ‘সমাচার চন্দ্রিক।” লেখেন :– মহামহোপাধ্যায় পণ্ডিতগণের মৃত্যু —...সম্প্রতি সৰ্ব্বসহ পৃথিবী ৪ চারিটি মহারভুকে সংহার করিয়া শোভাহীন হইয়াছেন, কলিকাতার হাতীবাগান প্রবাসি অদ্বিতীয় স্মাৰ্ত্ত মতামহোপাধ্যায় কাশীনাথ তর্কালঙ্কার ভট্টাচাৰ্য্য উদরাময় রোগে গত বুধবারে সজ্ঞানে গঙ্গালাভ করিয়াছেন দ্বিতীয় ইহার কিঞ্চিৎ কাল পূৰ্ব্বে বাকল চক্ৰীপ নিবাসি vগঙ্গাবাসি অদ্বিতীয় নৈয়ায়িক শিবচন্দ্র সার্বভৌম ভট্টাচার্য্যের কাশীপুরে v গঙ্গালাভ হইয়াছে, ঋষিফল নিবাসি ঋষি বিশেষ প্রধান স্মার্জ হরিনারায়ণ তর্কসিদ্ধাস্ত ভট্টাচাৰ্য্য, তথা দেবীপুরথামাস নিবাসি প্রসিদ্ধ নৈয়ায়িক হরচন্দ্র ন্যায়বাগীশ মহাশয়দ্বয় স্বৰ্গারোহণ করাতে রাড়দেশ অন্ধকার হইয়াছে অতএব প্রাগুক্ত মহারভু চতুষ্টয়ের তিরোভাবে বঙ্গরাজ্য শোভাহীন হইয়াছেন । পৃ. ৪৫—বাণেশ্বর বিদ্যালঙ্কার । মহারাজা নবকৃষ্ণের সভায় পণ্ডিতগণের শাস্ত্রীয় বিচার হইত । এইরূপ একটি বিচারে বাণেশ্বর বিদ্যালঙ্কার একবার যোগদান করিয়া প্রচুর পারিতোষিক লাভ করিয়াছিলেন । ২৩ মে ১৮৫৪ তারিখে পণ্ডিত গৌরীশঙ্কর তর্কবাগীশ তৎসম্পাদিত 'সস্বাদ ভাস্কর’ পত্রে লিখিয়াছিলেন – শোভাবাজারীয় মহারাজ নবকৃষ্ণ বাছাছুরের শ্ৰীবৃদ্ধি কালেও ব্রাহ্মণ পণ্ডিতেরা তাহার সভায় বিচার করিয়া পারিতোষিক পাইতেন আমরা মহারাজ নবকৃষ্ণ বাহাদুরের এক খাত। দেখিয়াছি তাহাতে লিখিত আছে শঙ্কর তর্কবাগীশ, বলরাম তর্কভূষণ, মাণিক্যচন্দ্র তর্কভূষণ, বাণেশ্বর বিদ্যালঙ্কার, জগন্নাথ তর্কপঞ্চাননাদি মহামহিম অধ্যাপকদিগের এক সপ্তাহ বিচারে সন্তুষ্ট হইয়া মহারাজ নবকৃষ্ণ বাহান্থর এক দিনেই ব্রাহ্মণ পণ্ডিতগণকে লক্ষ টাকা দিয়াছেন,...। BBB BBBB BB BBLSSSBBBDTSBBBBSBBBBSB BBBB BBBBB BBB BBBBB BBS মহাশয়ের একটি তথ্যপূর্ণ প্রবন্ধ প্রকাশিত হইয়াছে। পৃ. ৪৫—মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার । মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার সে-যুগের এক জন অদ্বিতীয় পণ্ডিত ছিলেন । হিন্দুশাস্ত্রে তাহার গভীর জ্ঞান ছিল । বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে গদ্যলেখক হিসাবে মৃত্যুঞ্জয় একটি বিশিষ্ট স্থান অধিকার করিয়া আছেন । কেহ কেহ তাহাকে গদ্য-সাহিত্যের স্রষ্ট বলিয়াছেন—এ সম্মান তাহাকে দিলে বিশেষ অঙ্গায় হয় না । ১৩৪৩ সালের শনিবারের চিঠি’তে এবং দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থমালার ৪র্থ গ্রন্থ ‘বেদান্ত চন্দ্ৰিকা' পুস্তকের ভূমিকায় আমি মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কারের সংক্ষিপ্ত জীবনী ও গ্রন্থপঞ্জী প্রকাশ করিয়াছি । ক্রীরামপুরের পাদরি উইলিয়ম ওয়ার্ডের গ্রন্থপাঠে জানা যায়, ১৮১৭ সনে বাগবাজারে মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কারের চতুষ্পাঠী ছিল ; সেখানে ১৫ জন ছাত্র অধ্যয়ন করিত —A View of the History, Literature, and Mythology of the Híndoos, Vol. IV (1820), 3rd ed., p. 495. পৃ. ৪৭-৪৮–ফেলিক্স কেরী। ফেলিক্স কেরী পাদরি উইলিয়ম কেরীর জ্যেষ্ঠপুত্র । ১৮২২ সনের ডিসেম্বর মাসের ‘ফ্রেণ্ড অব ইণ্ডিয়া পত্রের ৩৫০-৫১ পৃষ্ঠায় ফেলিক্স কেরীর মৃত্যু-সংবাদ ও র্তাহার রচনাবলীর সংক্ষিপ্ত বিবরণ আছে ।