পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা প্রথম খণ্ড.djvu/৪৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্পাদকীয় @8愈 ১৮১৬ সনে গঙ্গাকিশোর ভট্টাচাৰ্য্য আরও একখানি পুস্তক প্রকাশ করেন ; ইহা ভারতচন্দ্রের ‘wantoroi' I v Gottfä Sose wift-R Government Gazette "ß & পুস্তকের ষে বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়, নিম্নে তাহা উদ্ধত করিতেছি – মে- ফেরিস এন কোম্পানি সাহেবের ছাপাখানায় সিস্ত্র প্রকাষ হুইবেক অন্নদামঙ্গল ও বিদ্যাসুন্দর পুস্তক অনেক পণ্ডিতের দ্বারা শোধিয়৷ শ্ৰীযুত পদ্মলোচন চূড়ামণি ভট্টাচাৰ্য্য মহাস য়ের দ্বারা বক্স" সুদ্ধ করিয়া উত্তম বাঙ্গলী অক্ষরে ছাপা হইতেছে পুস্তকের প্রতি উপক্ষণে এক২ প্রতিমূৰ্ত্তি থাকিবেক মূল্য ৪ টাকা নিরুপণ হইল জাহার লইবার ইচ্ছা হয় আপন নাম ছাপাখানায় কিম্বা এই আপিষে শ্ৰীযুত গঙ্গকিশোর ভট্টাচার্য্যের নিকট পাইবেন ইতি— এই অন্নদামঙ্গলে’র এক থও বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষদ গ্রন্থাগারে কাছে । ইহাতে ছয়খানি ছবি আছে, প্রায় সবগুলিই লাইন-এনগ্রেভিং ; ছবির ব্লকগুলি রামচাদ রায়ের তৈয়ারী ; ছবির উপর তাহার নাম ক্ষোদিত আছে । ইহার পূৰ্ব্বে প্রকাশিত আর কোন সচিত্র বাংল। বই এখনও আমার নজরে পড়ে নাই। বইখানির আখ্যাপত্র এইরূপ — Oonoodah Mongul, exhibiting the Tales of Biddah and Soonder. To which is added, The Memoirs of | Rajah Prutapadiiyu. } – } Embellished with Six Cuts. | – | Calcutta: ; From the Press of Ferris and Co. I — 1816. [ পৃ. সংখ্যা ৩১৮ ] গঙ্গাকিশোর আরও কতকগুলি পুস্তক রচনা করিয়াছিলেন। তন্মধ্যে আমরা যে-কমুখানির সন্ধান পাইয়াছি নিম্নে তাহার উল্লেখ করিলাম :-— (ক) শ্ৰীশ্ৰীহরিঃ I ] শ্ৰীভগবদগীতা ॥ | — | ৷ নমো ভগবতে বাসুদেবায় ॥ | অষ্টাদশ অধ্যায় সংস্কৃত মূলগ্রন্থ । ] [ এবং ] গদ্যরচিত ভাষাঅর্থ সংগ্রহ ৷ | — | শ্ৰীগঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য্যেন প্রকাশিত ॥ | বাঙ্গাল। যন্ত্রে । দ্বিতীয়বার মুদ্রাঙ্কিত হইল। । মোকাম বহর । ] সন ১২৩১ সাল | [ পৃ. সংখ্যা ২১৬ ] সাহেবের প্রধান সবৰ্ণধ্যক্ষ মহামহোপাধ্যায় ঐযুত মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কারের অমৃসেবক শ্রীরামসেবক কর্তৃক দূরস্থ ইঙ্গ,লিববিদ্যা সামৗপ্যকারক ইঙ্গ,লিষ দর্পণ নামে দুরদর্শক অর্থাৎ দূরবীন নির্মিত হইল— হে বঙ্গবাসি বিজ্ঞসকল এই দর্পণকে প্রজ্ঞাহীন অজ্ঞের নির্মিত জ্ঞান করিয়া অবজ্ঞা করিবেন না কেননা ইহার মধ্যস্থ উদাহরণরূপ শীসকসকলকে অধ্যাপক অগ্রগণ্য মান্ত Dr. Lindley Murry. এবং Dr. John Wolker. প্রভৃতি গ্রন্থকৰ্ত্তারা সংস্কৃত করিয়া নিশ্চয় করিয়াছেন এইক্ষণে তাহার কেবল ইঙ্গ,লিষ ভাষা স্বরূপ গুরুভার বিশিষ্ট লোহকাঠের আবেষ্টন অর্থাৎ স্বত্র বা আদেশ সকলকে পরিবর্ত করিয়া সংস্কৃত স্বর্ণরেখাতে খচিত বঙ্গীয়ভাষারূপ শরল কাষ্ঠেতে পূববং চারি পবর্ণ বিশিষ্ট করিয়া রচিত করা গিয়াছে--- - “মহামহোপাধ্যায় ঐযুত মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কারের অমৃসেবক” এই “রামচন্দ্র” ফোট উইলিয়ম কলেজের বাংলা-বিভাগের সহকারী পণ্ডিত রামচন্দ্র রায় । তিনি ১৮•৩ সনে প্রথম এই কলেজে প্রবেশ করেন। ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের বাংলা-বিভাগের প্রধান পণ্ডিত ছিলেন মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার ।