পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা প্রথম খণ্ড.djvu/৪৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংবাদ পত্রে মেকানের কথা । بسيt&8 এই পুস্তিকার শেষ কয় পংক্তি উদ্ধত করিতেছি – যেমন অমরগণে, রাখিলা গে। মহারণে, আমারেও নিজ গুণে, রািখ দুর্গা তদাকারে । ভদ্রকালি ভদ্র কর, অভদ্র সকল হর, শ্রীহরি ভক্তি বিতর, নিজদয়। সহকারে । নীলরত্ব এই চায়, ধরিয়া তোমার পায়, মুক্তির তুমি উপায়, বুঝেছি শাস্ত্র বিচারে ৷ ১৯ অক্টোবর ১৮৫৪ তারিখের সম্বাদ ভাস্করে’ এই পুস্তিকার সমালোচন দেখিতেছি । পুস্তিকার কিছু কিছু অংশ উহাতে উদ্ধত করিয়া দেওয়া হইয়াছে। রাধাকান্ত দেবের লাইব্রেরিতে এই পুস্তিকার এক খণ্ড আছে । নীলরত্ব হালদারের আরও দুইখানি পুস্তকের উল্লেখ পাওয়া যাইতেছে — (১) দম্পতীশিক্ষা । ১৮৩৪ | “Itafi sk falfaltisa, “In 1834 Nil Ratna Haldar published Dampali Shikha on the duties of husband and wife taken from the Sh*" o ১৫ মার্চ ১৮৩৪ তারিখের সমাচার দর্পণে দম্পতী শিক্ষা-প্রকাশের বিজ্ঞাপন মুদিত হইয়াছে কিন্তু তাহাতে গ্রন্থকারের নাম নাই । (২) সৰ্ব্বামোদতরঙ্গিণী । ১২৫৮ সাল ( = ১৮৫১ ) । ইণ্ডিয়া আপিস লাইব্রেরির বাংলা পুস্তকের তালিকায় (vol. ii, PL iv, p. 211) এই পুস্তকখানি নীলরত্ন হালদারের রচনা বলিয়ু উল্লেখ আছে। সাহিত্য-পরিষদে এই পুস্তকের এক খণ্ড আছে, তাইপ BBBBB BB BBB BBBBB BB BBBB BBB BBS BBBBBB SBBBS BBBB BBS উদ্ধত করিতেছি – “ইহাতে হিন্দু, মুসলমান, ইহুদী, খৃষ্টান এই চারি জাতির স্ব স্ব ধৰ্ম্ম বিচার ছলে সৰ্ব্বধর্শ্বের মৰ্ম্ম এক পরমেশ্বরোপাসন, ইহাই শাস্ত্রোক্তি ও সদুযুক্তি দ্বারা প্রতিপাদিত হইল। এবং অজ্ঞানত প্রযুক্ত পরস্পর বিবাদ করিলে কোন ফল দশে না ; বরং স্বদেশীয় পরম্পরা প্রাপ্ত ধৰ্ম্মাচার করাতেই সকল ফল ফলে ও সদাচারে সিদ্ধ হয়, ইহাই বহুবিধ কুতক্ক ছেদ পূৰ্ব্বক নির্যাস করা গেল । গ্রন্থের প্রয়োজন কেবল সাধুজনের স্বধৰ্ম্মস্থাপন এবং পরকীয় ধৰ্ম্মে প্রবৃত্তি নিবারণ মাত্র। যেহেতুক ইদানী কলিকাতানগরে অনেকে অনেক প্রকার ধৰ্ম্ম শ্রবণ করিয়া, কোন ধৰ্ম্ম উত্তম কোন ধৰ্ম্ম অধম এই প্রকার সংশয়সন্দিগ্ধচিত্ত ব্যক্তিসকল সৰ্ব্বশেষে সৰ্ব্বধৰ্ম্মত্যাগী হইয়া নাস্তিকপথাবলম্বন পূর্বক "ইতোভষ্ট স্ততে নষ্ট” হইতেছেন। অতএব সকল ধৰ্ম্মের মৰ্ম্ম এক ঈশ্বরকে মান এবং তৎস্থই সৰ্ব্বজীবের প্রতি সমভাবে দয়া করা ইহাই পরিণামে উপদেশ করা গেল। এবং তাহাতেই নাস্তিকতাও রহিত করা হইল । বভূধৰ্ম্মেয় বাদানুবাদ ঘটিত বিচার রাজসভা ব্যতিরেকে বর্ণন করাতে সুশ্রাব্য হয় না । যেহেতু পূৰ্ব্বকালে গৌড়দেশের রাজসভায় নানা ধৰ্ম্মের বিচার হওয়াতে তদুপলক্ষে বিদ্বন্মোদতরঙ্গিণী নামক এক গ্রন্থ হইয়াছিল । অতএব সেই দৃষ্টাস্তে সম্প্রতি স্ত্রলীযুক্ত গবর্ণর জেনরেল বাহাদুরকে এতদ্দেশের রাজস্বরূপ নিশ্চয় করিয়া, রূপকালঙ্কারে সেই দরবারে সভা কল্পনা পূর্বক হিন্দু, মুসলমান, ইহুদী, পৃষ্ঠানের পরস্পর বিচার বর্ণন করিলাম। এবং রাজা প্রজার প্রতি সহজেই অপক্ষপাতি, সকলের পক্ষে সপক্ষ কাহারে পক্ষে বিপক্ষ নহেন ; সুতরাং সেই অভিপ্রায়ে রাজমন্ত্রী কর্তৃক সর্ব সাধারণের সারোপদেশ অবশেষে প্রকাশ করিলাম ।...এতদগ্রন্থে নিৰ্ম্মৎসর ধৰ্ম্মকথনপূৰ্ব্বক সৰ্ব্ব ধৰ্ম্মাবলম্বির প্রতি স্ব স্ব ধৰ্ম্মে প্রবৃত্তি দেওয়াতে, সৰ্ব্বজনেরি আমোদ বিস্তার করা গেল, এজন্য এ গ্রন্থের নাম সৰ্ব্বামোদতরঙ্গিণী হইল ...কলিকাতা শোভাবাজার বালথান স্ট্রীট সন ১২৫৮ সাল ।