পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা প্রথম খণ্ড.djvu/৫১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্পাদকীয় èግጭ পৃ. ১৭৮–পরাণচন্দ্র বাবু। পরাণচন্দ্র বা প্রাণচন্দ্র বাবু বৰ্দ্ধমানাধিপতি তেজচন্দ্র বাহাদুরের দেওয়ান ছিলেন । র্তাহার ভগিনী কমলকুমারী, ও পরে কস্ত বসন্তকুমারী তেজচন্দ্রের সহিত বিবাহিত হন । প্রাণচন্দ্রের অষ্টম পুত্রকে তেজচন্দ্র পোষ্যপুত্র লইয়াছিলেন । ১৮৩১ সনের আগষ্ট মাসে র্তাহার মৃত্যুর পর এই পোষ্যপুত্রই মহতাবচন্দ্র নামে বৰ্দ্ধমানের সিংহাসন অলস্কৃত করেন । দেওয়ান প্রাণচন্দ্র তেজচন্দ্রের আদেশে একখানি সুবৃহৎ মঙ্গলকাব্য রচনা করিয়াছিলেন । ইহার নাম হরিহর মঙ্গল সংগীত’ । সমগ্র গ্রন্থটি গীত হইবার উদ্দেশ্যে রচিত। প্রত্যেকটি কবিতায় রাগ-রাগিণী দেওয়া আছে । গ্রন্থের বিষয়বস্তু অনেকটা অন্নদামঙ্গল ও বিদ্যাসুন্দরের ধরণের । এই গ্রন্থের আখ্যাপত্রহীন একটি খণ্ড বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষদ গ্রন্থাগারে আছে। ইহার পৃষ্ঠা-সংখ্যা ৩২৪ ; রামধন স্বর্ণকারের খোদিত ৭১ খান লাইন-এনগ্রেভিং গ্রন্থের সৌন্দৰ্য্য বৃদ্ধি করিয়াছে। ২• পৃষ্ঠায় গ্রন্থকার নিজের পরিচয় এইরূপ দিয়াছেন – “রাজার পুরীর পূর্ব দিশাতে । শু্যাম বাজার নাম আছে তাতে । তাহাতে আমার নিবাস ধাম । ক্ষত্র কুলোদ্ভব প্রাণচন্দ্র নাম । প্রাণচন্দ্র বাবু প্রসিদ্ধ খ্যাতি । দেওয়ান আখ্যান দিল। ভূপতি । নিজ অনুগ্রহ মোর উপরে । করিয়া নৃপতি এতেক করে । রাণী কমলকুমারী যে গ্রন্থকারের বংশ উজ্জ্বল করেন, ৩২৪ পৃষ্ঠায় তাহারও উল্লেখ আছে -- “এইসব প্রকারে সংগীত মুখবন্ধ । নান। রাগ রাগিণীতে শ্রবণ আনন্দ আজ্ঞা দিল । BBS BBBB BBBB S BB BB BBBB BBBB BBBB BBBS BBB BB BB রূপবতী । গুণে বুঝা যায় কুপ কৈলা সরস্বতী ॥ দরিদ্র দুর্বল জনে জননী সমান। পতিব্ৰত৷ মধ্যে ষার প্রথমে ব্যাখ্যান । -- হেন মহারাণী রাজলক্ষ্মী রাজপ্রিয়ে । কত যশ কব তার প্রত্যেকে গণিয়ে । সংক্ষেপে কহিমু কিছু আপন শুধিতে । মমকুল উজ্জ্বল যাহার উদয়েতে।” ১৮৩১ সনে রাজা তেজচন্দ্র বাহাদুরের মৃত্যুর পূর্বেই ‘হরিহর মঙ্গল সংগীত’ প্রকাশিত হইয়াছিল । গ্রন্থের রচনা ও প্রকাশকাল গ্রন্থশেষে এইভাবে ব্যক্ত করা হইয়াছে – “ইত্যেক শ্ৰীহরিহর মঙ্গলসংগীত । আরম্ভ সমাপ্তি কাল তাহ কহি কিঞ্চিক, ব্ৰহ্ম বাহু গুণ পাখী কর অবলম্ব । এই সনে প্রথম বৈশাখে গ্রন্থারম্ভ । বেদগুরু চন্দ্ৰবাণ পণ গও ছয় । কর কড়া ভুজক্ৰাস্তি পাতন নিশ্চয় । বামভাগে পূরিলে যতেক অঙ্ক হয় । এই সন মাঘে গ্রন্থ সাঙ্গ সমুচ্চয় । মম্বন্তর দিব। তিথি শীতদশমীতে স্বৰ্য্য স্থত বারে নিশি প্রহর একেতে । হরিহর মঙ্গল পরমগীতবন্ধ । ভাষাছন্দে আনন্দে কহুেন প্রাণচন্দ্র ৷” ( পু. ৩২৪ ) ১৭ পৃষ্ঠায় তেজচন্দ্রের জমিদারী বৰ্দ্ধমানের এইরূপ বর্ণনা আছে – * -রাগিণী পূরবী । তাল ধামার । ত্রিপদী । জমিদারী বৰ্দ্ধমান জগতে প্রধান নাম ক্রল তেজশ্চন্দ্র যার পতি । মহারাজ বাহাদুর যশে পূর্ণ মহীপুর যার গুণে ধন্ত বসুমতী । বৰ্দ্ধমান চাকলার যত দূর অধিকার সংক্ষেপেতে নাম শুন তার । দক্ষিণের সীমা তার কাসাই নদীর ধার পূৰ্ব্বসীমা পশ্চিমে গঙ্গার । উত্তরে রাজ্যের সুস্থ্য শুন কহি তার লেখা মুরশিদাবাদের দক্ষিণে । পশ্চিমে গণনা এই পঞ্চ কুট পূৰ্ব্ব যেই এই চতুঃসীমার গণনে । ইহার সামিল আর নাম শুন পরগণার অভয়া আপনি অধিষ্ঠান। শেরগড় সেনপাহাড়ী শুামরূপার গড় বাড়ী ঐযুত ধীরাজে কৃপাবান । বাঘ মুজাফর শাহী হাবেলী আজমত শাহী গোপন্ডুম চাম্পাই নগরী । স্বযুত্ত্বরে সৰ্ব্বক্ষণে পূজে যথা চাদ বেণে চাদ সহ দ্বন্দ্ব বিষহরি । বায়ড়া মনোহর শাহী সমর শাহী নলছি ইন্দ্রাণী পাটুলী জাঙ্গিরাবাদ । রাণীহাটী রায়পুর বরদা সেলামপুর বালিগড়ি চেতো শাহাবাদ । BBB BB BBB BBD DD BBB BBBBB gDDD BBBS BBBB BBB DDD বিষ্ণুপুর বারহাজারি পাণ্ডুয়ায় মানাদ জাঙ্গাল। জাহানাবাদ জয়পুর লিখিলাম দুরাদুর ভূরশিট আদি