পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা প্রথম খণ্ড.djvu/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য (-ఫి কারণ হইতেছে অতএব যে মহাশয় যখন যে পুস্তক মুদ্রাঙ্কিত করেন তিনি কিঞ্চিং বিবেচনা করিলে আপনার সম্ভাবিত উপকার হয় এবং পরেরও উপকার হইতে পারে কিমধিকমিতি । কস্যচিৎ পত্রগ্রাহকস্য । ( ১৮ জুলাই ১৮২৯ । ৪ শ্রাবণ ১২৩৬ ) চিহ্নবিষয়ক পত্রের উত্তর —শ্ৰীযুত চন্দ্রিকা প্রকাশক মহাশয় সমীপেযু। গত ১৭ আষাঢ়ীয় চন্দ্রিকায় কস্তচিৎ বিদেশি পাঠকের লিখিত এক পত্র পাঠে তুষ্ট হইলাম যেহেতুক তিনি লেখেন যে বাঙ্গালা লেখার শেষাদি নির্ণায়ক চিহ্নাভাবে অনেক ব্যাঘাত হয়। এ কথা আমি স্বীকার করি কিন্তু চিহ্নভিন্ন পাঠে ভিন্নদেশীয়দিগের যে প্রকার ব্যাঘাত এতদেশীয়fদগের তাদৃশ নহে যেহেতুক বালককালে অর্থাৎ পাঠদশায় যে সংস্কার জন্মে তাহার অন্যথা হয় না। ঐ ভিন্তদেশীয় মহাশয়ই তাহার প্রমাণ কেননা তাহার বালককালে ইংগ্রণ্ডাদি দেশের ভাষা অভ্যাস হুইয়া থাকিবে তত্তং পুস্তকাদিতে যে সকল ছেদ ভেদ চিহ্ন আছে তাহাতেই সংস্কার হইয়াছে অন্য ভাষায় তাদৃশ চিহ্ন না থাকিলে ক্লেশকর হয় যাহা হউক তিনি যে প্রকার চিহ্ন দিতে পরামর্শ দেন তাহা চলিত হইলে ভাল হয় কিন্তু ব্যবহার হওয়া মুকঠিন যেহেতুক অস্মদেশীয় ভাষা ও অক্ষর আধুনিক নহে ইহার মূল সংস্কৃত তাহার লিখন পঠনের যে ধারা ও ছেদ ও ভেদের যে চিহ্ন এক দাড়ি আছে তাহাই তাবদেশ অর্থাৎ সংস্কৃত শাস্ত্র ও তন্ম লক ভাষা ব্যবসায়িদিগের চলিত আছে এক্ষণে নুতন কোন বিষয় কি প্রকার চলিত হইতে পারে যদ্যপি ইংগ্রণ্ডীয় অক্ষরের সহিত ব্যবহৃত চিহ্ন বাঙ্গল অক্ষরে ব্যবহার করা যায় তবে তত্তং চিহ্নানভিজ্ঞ ব্যক্তিরা ঐ চিহ্নসকল কোন অক্ষর জ্ঞান করিয়া যথার্থে সন্দিগ্ধ হইতে পারেন যদ্যপি লেখক মহাশয় ইহার এক ব্যাকরণ স্বষ্টি করিতে পারেন ও তাহ পাঠশালায় ব্যবহার করান তবে কালে চলিত হইবেক আমার বোধ হয় পত্ৰলেখক বিজ্ঞ ইহাকর্তৃক চিহ্ননিমিত্তে এক ব্যাকরণ প্রস্তুত হওয়া অসম্ভব নহে অলমিতিবিস্তরেণ ২৭ আষাঢ় —কস্তচিৎ হিন্দুপাঠকস্ত । ( ৬ ফেব্রুয়ারি ১৮৩০ । ২৫ মাঘ ১২৩৬ ) বাঙ্গল গ্রন্থ ও গ্রন্থকারক –লিটিরেরি গেজেটনামক সম্বাদপত্রের সংপ্রতি প্রকাশিত ংখ্যক পত্রে শ্ৰীযুত বাবু কাশীপ্রসাদ ঘোষ বাঙ্গল গ্রন্থ ও গ্রন্থকারকের বিষয়ে এক প্রকরণ মুদ্রাঙ্কিত করিয়াছেন পাঠকবর্গের উপকারার্থে তাহার স্থল বিবরণ আমরা তর্জমা করিয়াছি এবং শ্রীরামপুরের বিষয়ে তাহাতে যাহা প্রস্তাব করিয়াছেন তদ্বিষয়ে আমরা দুই এক বিবেচ্য কথা প্রকাশ করিতেছি । বাবু কাশীপ্রসাদ ঘোষ ঐ প্রকরণের আরম্ভে কহেন যে পদ্যাপেক্ষ গদ্যরচনায় এতদেশীয় লোকেরদের মনোযোগের অল্পতা ছিল এবং কেবল গত ত্রিশ বৎসরাবধি বাঙ্গলা ভাষায় গদ্যরচনায় গ্রন্থ প্রকাশ হইতেছে। কিন্তু তিনি লেখেন যে শ্রীরামপুরের মিসিনরি সাহেবেরা