পাতা:সংসার (রমেশচন্দ্র দত্ত).pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ, পরিচ্ছেদ । Se: শীঘ্ৰ নেয়ে নি ; রোদ উঠেছে, এখনি গয়লানী দুদ আনিবে উনুন ধরাতে হবে। কলিকাতায় কুয়োর জলে নাইতে সুখ হয় না, এর চেয়ে আমাদের পাড়া গেয়ে পুখুর ভাল, বেশ নেবে স্নান করা যায়। আর কুয়োর জলে কেমন একটা গন্ধ । সুধা হাসিয়া বলিল, তোমার বুঝি কলিকাতার সবই খারাব, লাগে ? কেন কলিকাতার কলের জল কেমন সুন্দর। ঝি খাবার জনো এক কলসী করে আনে, সে যেন ক্যাগের চক্ষু, আর কেমন মিষ্টি । বিন্দু। নে বোন, তোর বাির্লকুমতাৰ্থভঁখ্যাতি আর শুনিষ্ঠত, পারি না । সুধা। কেন দিদি, তুমি মWীক দ্রুেঞ্জ দীঘল। কত বড় সহর, কত বাজার, দোকান, ঘাঁহ,গাড়ী, ঘোড়া, লোক জন, এমন কি আমাদের তালপুখুরে আছে ? এমন দোতলা বাড়ী কি আমাদের তালপুখুরে আছে ? বিন্দু। তা না থাকুক বন, আমাদের তালপুখুরের সোণার বাড়ী। চারিদিকে নড়বার চড়বার জায়গা আছে, একটু বাতাস আসে, একটু রোদ আসে, দুটা নাউ গাছ আছে, দুটা অ্যাব গাছ: আছে, এখানে কি আছে বল তো ? গাড়া ঘোড়া যাদের আছে তাদের আছে, আর দোতলা পাকা বাড়ী নিয়ে কি ধুয়ে খাব ? ঘরে বাতাস আসে না, ছোট অন্ধকার উঠানে রোদ আঁসে 可, পাড়ায় লোকের বাড়ী দেখা করতে যাবার যে নেই, পাল্কা না ? হলে বাড়ীর বাইরে যাবার যে নেই,-ও মা এ কি গো ? যে পিজারের ভিতর পাখী রেখেছে! . . . সুধা । কেন দিদি, সে দিন আমরা গাড়ী করে কত বেড়িয়ে ।