পাতা:সংসার (রমেশচন্দ্র দত্ত).pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ পরিচ্ছেদ। Sy) সদ্ব্যবহার করিলেন, কেহ বা । ঝাড় লাষ্ঠান-পরিশোভিত ৈ জনাকীর্ণ বৈঠকখানায় দরিদ্রকে আসিতে দিয়া এবং দুই একটী সগৰ্ব্ব কথা কহিয়া ভদ্রাচরণ বজায় রাখিলেন, এবং নিজ "বড়মানুষি প্ৰকটিত করিলেন । কেহ হেমচন্দ্রের কথাবার্তা ও সদাচারে তুষ্ট হইয়া শরতের সহিত হেমকে দুই একদিন আহারে নিমন্ত্রণ করিলেন, কেহ বা নব্য সভ্যতার সুন্দর নিয়মানুসারে হেমচন্দ্রের “একোয়েণ্টানস ফরম” করিতে ‘ভেরি হ্যাপি” হইলেন। কোন বিষয় কৰ্ম্মে ব্যস্ত বড়লোকের কার্পেটমণ্ডিত ঘরে হেমচন্দ্র অনেকক্ষণ অপেক্ষা করিয়াও সাক্ষােতামৃত লাভ করিতে পারিলেন না, অন্য কোন বড় লোক, তিনিও বিষয় কার্যে অতিশয় ব্যস্ত, জুড়ী করিয়া বাহির হইবার সময় ব্রুহীমের জালানার ভিতর হইতে সহাস্য মুখচন্দ্ৰ বাহির করিয়া সানুগ্রহ বচনে জানাইলেন যে হেমবাবু কলিকাতায় আসিয়া ভবানীপুরে আছেন শুনিয়া, তিনি (উপরিউক্ত বড় লোক) বড় সুখী হইয়াছেন, আদ্য তিনি (উপরিউক্ত বড় লোক) বড় “বিজি,” কিন্তু তিনি “হোপ” করেন। শীঘ্ৰ এক দিন বিশেষ আলাপ সালাপ হইবে । আর যদি হোিম বাবু তাহার (উপরি উক্ত বড় লোকের) বাগান দেখিতে মানস করেন তবে শনিবার অপরান্ত্রে আসিতে পারেন। সেখানে বড় “পার্ট” হইবে, তিনি (উপরি উক্ত বড় লোক) হেম বাবুকে ‘রিসিভ” করিতে বড় “হ্যাপি” হইবেন! ঘর ঘর শব্দে ব্রুহুম বাহির হইয়া গেল, অশ্বক্ষুরোদগত কৰ্দম হেমচন্দ্রের বস্ত্ৰে দুই এক ফোঁটা লাগিল, হেমবাবু সেই অমৃত হাস্য ও অমৃতবচনে বিশেষ আপ্যায়িত হইয়া ধীরে ধীরে ঘাড়ী গেলেন । A.