পাতা:সংসার (রমেশচন্দ্র দত্ত).pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Αδο ংসার ৷ ” ইহার নাম ‘সমাজ সংরক্ষণ” ইহাতে বিলাতী মালের ভেজাল নাই, সকলে একবার চাৰ্ম্মিা দেখা। হেমচন্দ্র একটু চাকিয়া দেখিলেন, দেখিলেন মালটা ষোল আনা বিলাতী, বিলাতী। পাত্রে বিক্রিত, বিলাতী মালমসলায় প্ৰস্তুত, কেবল একটু দেশী ঘিয়ে ভেজে নেওয়া মাত্ৰ। হেমচন্দ্ৰ দরিদ্র হইলেও লোকটা একটু সৌখিন, তাহার বোধ হইল ঘিটাও ভাল খাটি দেশী ঘি চনহে। ঈষৎ পচা, ও দুৰ্গন্ধ ! সেই ঘিয়ে ভাজা গরম গরম এই “প্ৰকৃত দেশী” মাল বিক্রয় হইতেছে । রাশি রাশি খরিদার সেই হাটের দিকে ধাইতেছে। সের দরে, মন দরে, হঁাড়ি করিয়া, জালায় করিয়া, সেই মাল বিক্রয় হইতেছে। মুটের রাশি রাশি মাল বহিয়া উঠিতে পারিতেছে না, তাহার সৌরভে সহর আমোऊि छ्छेहङहछ् ! তাহার পর সাধুত্বের বাজার, বিজ্ঞতার বাজার, পাণ্ডিত্যের বাজার,-হেমচন্দ্ৰ কত দেখিবেন ? সে সামান্য পাণ্ডিত্য নহে, অসাধারণ পাণ্ডিতা ; এক শাস্ত্ৰে নহে, সৰ্ব্ব শাস্ত্রে ; এক ভাষায় নহে, সকল ভাষায় ; এক বিষয়ে নহে, সকল বিষয়ে ; কম বেশি নহে, সকল বিষয়েই ‘সমান সমান ; অল্প পরিমাণে নহে, সের দরে, মণ দরে, জালায় জালায় পাণ্ডিত্য বিকাশিত রহিয়াছে। সে গাঢ় পাণ্ডিত্যের ভরে দুই একটা জালা ফাসিয়া গেল, পথৰীঘাট পাণ্ডিত্যের লহরীতে কৰ্দমময় হইল, পিপীলিকা ও মধুমক্ষিকার দল বঁটাকে বঁাকে আসিল, হেমচন্দ্ৰ আর দাড়াইতে পারিলেন না, সেই পাণ্ডিত্যের উৎস হইতে নাকে কাপড় দিয়া ছুটয়া পালাইলেন। * , , তাহার পর ধৰ্ম্মের বাজার, যশের বাজার, পরোপকারিভায়