পাতা:সংসার (রমেশচন্দ্র দত্ত).pdf/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

南怀冲列缸瓦而 Sye রাত্ৰি পৰ্যন্ত কথাবাৰ্ত্ত কহিতেন। হেমচন্দ্ৰ কলিকাতায় যাহা যাহা দেখিতেন তাহাই বলিতেন ; শুরুৎ কলেজের কথা, পুস্তকের কথা, শিক্ষক বা ছাত্রদিগের কথা, কলিকাতার নানা গল্প, নানা কথা, সংসারের সুখ দুঃখের কথা, জগতে ধন ও দারিদ্রের কথা অনেক রাত্ৰি পৰ্য্যন্ত কহিতেন। তাহার নবীন বয়সের উৎসাহ, ধৰ্ম্মপরায়ণতা ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞা সেই কথায় দেদীপ্যমান হইত, জগতের প্রকৃত মহৎ লোকের উৎসাহ, মহত্ব ও অবিচলিত প্ৰতিজ্ঞার গল্প করিতে করিতে শরৎচন্দ্রের শরীর কণ্টকিত হইত, জগতের প্রতারণা মিথ্যাচরণ ও অত্যাচারের কথা কহিতে কহিতে সেই যুবকের নয়নীদ্বয় প্ৰজলিত श्ऊ। হেমচন্দ্ৰ জেষ্ঠ্য ভ্রাতার মেহের সহিত সেই উন্নত হৃদয় যুব, কের কথা শুনিয়া আতিশয় তুষ্ট ও প্রীত হইতেন, বিন্দু বাল্যসুহৃদের হৃদয়ের এই সমস্ত উৎকৃষ্ট চিন্তা ও ভাব দেখিয়া পুল, কিত হইতেন এবং মনে মনে শরতের ভূয়োভূয়ঃ প্রশংসা করিাতেন ; বালিকা সুধা নিদ্ৰা ভুলিয়া যাইত, একাগ্রচিত্তে সেই যুবকের দীপ্ত মুখ মণ্ডলের দিকে চাহিয়া থাকিত ও তাহায় অমৃত ভাষা শ্রবণ করিত। শরতের তেজঃপুৰ্ণ গল্পগুলি শুনিয়া বালিকার হৃদয় হর্ষ ও উৎসাহে পূর্ণ হইত, শরতের দুঃখকাহিনী শুনিয়া বালিকার চক্ষু জলে ছল ছল করিত। J9 , হেমচন্দ্ৰ কলিকাতায় যাহা যাহা দেখিতেন সে কথা সৰ্ব্বদাই সন্ধ্যার সময় গল্প করিতেন। এক দিন কলিকাতার ‘বড় ৰাজায়ের’ মাহান্ত্র্যের কথা বর্ণনা করিয়া হামিতে হাসিতে বুলিলেন, শরৎ ! দেশহিতৈষিতা, পরোপকারিতা প্রভৃতি সাদ